বাংলা কাব্য, উপন্যাস ও ছোটগল্প Short Question Answer

(ক) ‘মরীচিকা’ কাব্যখানি যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত কাকে উৎসর্গ করেছিলেন? উৎসর্গপত্রে কী লেখা ছিল?

ANS- যতীন্দ্রনাথ সেনগুপ্ত তাঁর প্রথম কাব্যগ্রন্থ মরীচিকা কে উৎসর্গ করেছিলেন তাঁর পিতা দ্বারকানাথ সেনগুপ্তকে

(খ) আশাপূর্ণা দেবীর উপন্যাস ত্রয়ীর নাম ও প্রকাশকাল লেখো।

ANS- আশাপূর্ণা দেবীর উপন্যাস ত্রয়ী। এই উপন্যাসটি ১৯৬১ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। ত্রয়ী একটি সামাজিক উপন্যাস, যা তিনটি নারী চরিত্রের মধ্য দিয়ে নারী জীবনের বিভিন্ন দিক এবং সমাজের প্রতি তাদের সংগ্রামের কথা তুলে ধরে।

(ঘ) বৈয়াকরণ শব্দের অর্থ কী? গল্পটিতে বর্ণিত বিষয়টি অনধিক ছয় লাইনে বিবৃত করো।

ANS- বৈয়াকরণ শব্দের অর্থ হল ব্যাকরণবিৎ বা ব্যাকরনের পন্ডিত ব্যক্তি। এছাড়াও, ব্যাকরণ-সম্বন্ধীয় অর্থেও বৈয়াকরণ শব্দটি ব্যবহৃত হয়। 

ভাষাবিজ্ঞানের পরিভাষায়, ব্যাকরণ বলতে ভাষার কাঠামোর গবেষণাকে বোঝায়। বিশেষ করে, শব্দ ও বাক্যের কাঠামোর গবেষণাকেই ব্যাকরণ বলে। এ অর্থে, কোনও ভাষার রূপমূলতত্ত্ব ও বাক্যতত্ত্বের আলোচনাকেই ব্যাকরণ বলা হয়।

(ঙ) “এ ধরা গোরস্থান মরণের ভিতে স্মরণের ঢিপি দু’দিনে ভূমি সমান” কোন কবিতার অংশ? সংক্ষেপে নিহিতার্থ লেখো।

ANS- এই পঙক্তিটি সুভাষ মুখোপাধ্যায়ের “এ ধরা গোরস্থান মরণের ভিতে স্মরণের ঢিপি দু’দিনে ভূমি সমান” কবিতার অংশ।

নিহিতার্থ:
এই পঙক্তিতে কবি মরণের অমোঘ বাস্তবতা এবং স্মৃতির অন্তর্নিহিত দুঃখ ও নিষ্ক্রিয়তা বর্ণনা করেছেন। কবি মনে করেন যে, মানুষ মৃত্যুর পর তার স্মৃতির মতো কিছুই পৃথিবীতে রেখে যেতে পারে, তবে তা সময়ের সঙ্গে মাটির সঙ্গে মিশে যায়, অনতিক্রম্যভাবে ভূমি সমান হয়ে যায়। এই পঙক্তিতে কবি মরণকে স্মৃতির স্তূপের সঙ্গে তুলনা করেছেন, যেখানে সব কিছু স্মৃতি হয়ে যায় এবং শেষ পর্যন্ত পৃথিবী সমান হয়ে যায়। এতে তিনি মরণের পরবর্তী অনিশ্চয়তা এবং স্মৃতির অনন্ত অস্তিত্বের বিষয়টি তুলে ধরেছেন।

(চ) মুনীমন্ত্রী চরিত্রটি কোন্ গল্পের অন্তর্গত? অতি সংক্ষেপে তার পরিচয় দাও।

ANS- মুনীমন্ত্রী চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “মুনীমন্ত্রী“ গল্পের অন্তর্গত।

চরিত্রটি একজন সরকারি অফিসের মুনীমন্ত্রী, যিনি কর্মে দক্ষ, কিন্তু ব্যক্তিগত জীবনে অত্যন্ত সংকীর্ণমনা ও আত্মকেন্দ্রিক। তিনি একটি ধর্মীয় মেলায় যান এবং সেখানে নানা ঘটনা ও মানুষের সঙ্গে যোগাযোগের মাধ্যমে তাঁর জীবন ও চরিত্রের সংকীর্ণতা এবং আত্মবিশ্বাসের অভাব প্রকাশ পায়। গল্পে মুনীমন্ত্রী চরিত্রের মাধ্যমে সমাজের নানা কুসংস্কার ও লোকাচারের প্রতি তীব্র সমালোচনা করা হয়েছে।