শিক্ষাদর্শনের পরিধি আলোচনা করো।

Ans :-

Table of Contents

(১) সহজাত মানসিক সামর্থ্য: ব্যক্তি সহজাতভাবে কিছু মানসিক সামর্থ্য নিয়ে পৃথিবীতে আসে। যেমন-বুদ্ধি, প্রক্ষোভ, স্মৃতি, কল্পনা, চিন্তন ইত্যাদি। শিক্ষার ক্ষেত্রে এই সামর্থ্যগুলি বিশেষ তাৎপর্যপূর্ণ। শিক্ষামনােবিজ্ঞানে এই সহজাত সামর্থ্যগুলি সম্পর্কে বিশদ আলােচনা থাকে।

(২) জীবনবিকাশের ধারা: শিক্ষামনােবিজ্ঞান শিশুর দৈহিক, মানসিক, প্রাক্ষোভিক বিকাশের ধারাগুলি আলােচনা করে এবং শিশুর সুষ্ঠু বিকাশের জন্য যে পরিবেশের প্রয়ােজন তার রূপরেখাও শিক্ষামনােবিজ্ঞানে আলােচিত হয়।

(৩) ব্যক্তিস্বাতন্ত্র্য: ব্যক্তিগত পার্থক্য একটি স্বাভাবিক ঘটনা। ব্যক্তিগত পার্থক্যের কারণ কী, কীভাবে এই পার্থক্যকে ভিত্তি করে শিক্ষার গুরুত্বপূর্ণ দিকগুলি, যেমন পাঠক্রম, শিক্ষাদান পদ্ধতি, মূল্যায়ন প্রভৃতির বিচারবিবেচনা করা যায় তার আলােচনা শিক্ষামনােবিজ্ঞানের পরিধির অন্তর্ভুক্ত।

(৪) শিখনতত্ত্ব: গতানুগতিক শিখনের পদ্ধতি হিসেবে উদ্দীপক প্রতিক্রিয়ার পরিবর্তে আধুনিক অপেক্ষাকৃত জটিল আচরণমূলক ও জ্ঞানমূলক তত্ত্ব শ্রেণিশিখনে অধিকতর কার্যকরী বলে প্রমাণিত হয়েছে।

(৫) শিখনেরভিত্তি: শিখনের ভিত্তিকে দুটি ভাগে ভাগ করা যায়—জ্ঞানমূলক এবং অনুভূতিমূলক। বুদ্ধি, স্মৃতি এবং মনােযােগ জ্ঞানমূলক ভিত্তির অন্তর্ভুক্ত। অন্যদিকে প্রেরণা, মনােভাব এবং আগ্রহ অনুভূতিমূলক ভিত্তির অন্তর্ভুক্ত।

(৬) শিক্ষাপ্রযুক্তি: শিক্ষাপ্রযুক্তি কাকে বলে, কী ধরনের প্রযুক্তি শিক্ষাক্ষেত্রে কার্যকরী, কীভাবে শিক্ষাক্ষেত্রে প্রযুক্তির প্রয়ােগ করা যায়—এসবই বর্তমানে শিক্ষামনােবিদ্যার গুরুত্বপূর্ণ আলােচ্য বিষয়।

(৭) শ্রেণিব্যবস্থাপনা: সম্প্রতি শ্রেণি ব্যবস্থাপনা শিক্ষামনােবিদ্যার অন্তর্ভুক্ত হয়েছে। শিক্ষা-শিখন প্রক্রিয়াকে আরও কার্যকরী করে তুলতে শ্রেণিকক্ষে উদ্ভূত বিভিন্ন সমস্যার সমাধানে শ্রেণি ব্যবস্থাপনার কৌশল গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading