অথবা, আর্য কারা?
আর্য কারা?
‘আর্য’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল ‘সদ্বংশজাত’। কিন্তু শব্দটি কখনও জাতিবাচক, কখনও ভাষাবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে পারসিক সম্রাট দরায়ুস নিজেকে আর্যবংশোদ্ভূত বলে দাবি করেছেন। ‘আর্য’ শব্দটিকে জাতিবাচক অর্থে ব্যবহার করে আর্যজাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন হিটলার ও তাঁর নাৎসি দল।
কিন্তু বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় ‘আর্য’ শব্দটি কখনোই জাতিবাচক অর্থে ব্যবহার করা হয়নি। তখন শব্দটি আধুনিক ‘ভদ্রলোক’ অর্থেই ব্যবহৃত হত। ভাষাতত্ত্ববিদগণ ‘আর্য’ বলতে একটি ভাষাগোষ্ঠীকে বোঝান, যার নাম হল ইন্দো-ইউরোপীয়। সংস্কৃত, ইরানীয়, গ্রিক, লাতিন, জার্মান, গোথিক, কেলটিক এই সাতটি ভাষা এর মধ্যে পড়ে। পরবর্তীকালে বিভিন্ন ভাষার উদ্ভব হয় এগুলি থেকেই। বর্তমানে ‘আর্য’ বলতে কোনো মানবগোষ্ঠীকে না বুঝিয়ে আর্য ভাষা ব্যবহারকারী জনগোষ্ঠীকে বোঝানো হয়। প্রখ্যাত ভারততত্ত্ববিদ উইলিয়াম জোন্স ও জার্মান পণ্ডিত তথা ভারত অনুরাগী ম্যাক্সমুলারও এই অভিমত সমর্থন করেছেন।