অবলোকিতেশ্বর মূর্তিগুলি প্রধানত বৌদ্ধ ও ব্রাহ্মণ্যধর্মের চলমান রেষারেষি ও একে অপরের বৈশিষ্ট্য গ্রহণ করে জনপ্রিয়তাকে তুলে ধরার প্রচেষ্টা মাত্র। অবলোকিতেশ্বর শব্দটি ‘অবলোকিত’ অর্থাৎ দেখা বা পর্যবেক্ষণ এবং ‘ঈশ্বর’ অর্থাৎ শিব, যা ব্রাহ্মণ্যধর্মের ত্রিত্ব-র মধ্যে একজন। অর্থাৎ, অবলোকিতেশ্বর শব্দটির অর্থ হল দেবতা যিনি পর্যবেক্ষণ করেন এবং সর্বস্থানে বিরাজমান।
উত্তর বাংলায় মূলত দু-ধরনের অবলোকিতেশ্বর মূর্তি পাওয়া যায়। যথা-ক্ষর্যপান ও লোকনাথ। ক্ষর্যপান মূর্তির সঙ্গে চারটি মূর্তি বিরাজমান থাকে, সেগুলি হল-তারা, সুধানকুমার, হুকুটি, হায়গ্রিভা। লোকনাথের সঙ্গে দুটি মূর্তি থাকে, যথা-তারা ও হায়প্রিও। বাংলাদেশের দিনাজপুর থেকে লোকনাথের একটি মূর্তি পাওয়া গেছে যেখানে তার কোনো সহকারী মূর্তি নেই। অথচ মালদায় প্রাপ্ত লোকনাথের মূর্তিতে সহকারী তারা ও বৃকুটির অবস্থান দেখা যায়। মালদা জেলায় আবিষ্কৃত ক্ষর্ষপানের মূর্তিগুলিতে তার সহকারী সহ-অলংকৃত প্রতিকৃতি পাওয়া গেছে।