উদাহরণসহ সংজ্ঞা দাও রূপক আলংকার

রূপক আলংকার :

যে সব শব্দ বাক্যকে নতূন রূপদেয় আর্থাত , শব্দকে অলংকারিত করে , সেই অলংকারকে বলা হয় রূক অলংকার , নারি যেমন অলংকার পরিধানের মাধ্যমে নিজের উতর্কষতা বৃদ্ধিকরে , শব্দ তেমন রূপক ব্যবহ্যারের মাধ্যমে স্ব উতর্কষতা বৃদ্ধিকরে। উদাহরন; এমন মানব জমিন র ইলো পতিত , আবাদ করিলে ফলিত সোনা ।

রূপক আলংকারের শ্রেণিবিভাগ :

নিরঙ্গরূপক, সাঙ্গরূপক,পরম্পরিতরূপক, অধিকাররূঢ় বৈশিষ্ট্য রূপক।

নিরঙ্গরূপক:

যেখানে একটি উপমেয়ের উপর আর একটি উপমানের অভেদ কল্পনা করা হয় তাকে নিরঙ্গ রূপক বলে।

উদাহরণ: যৌবনের বনে মন হারাইয়া গেলো ,

যৌবন হলো উপমান, এবং বনে । যৌবনের উপর বনের অভেদ কল্পনা করা হয়েছে। এখানে উপমেয় যেমন একটি উপমান ও একটি।

শ্রেণিবিভাগ:

নিরঙ্গ রূপক  অলংকার দু’প্রকার।যথা- কেবল নিরঙ্গ ও মালা নিরঙ্গ।

কেবল নিরঙ্গ রূপক :

একটি মাত্র অঙ্গহীন উপমেয়র উপর একটি মাত্র অঙ্গহীন উপমানের অভেদ আরোপ করলে তাকে কেবল নিরঙ্গ রূপক  অলংকার বলে।

উদাহরণ-

১। এমন মানব জমিন রইল পতিত

আবাদ করলে ফলতো সোনা ।

ব্যাখ্যা : আলোচ্য উদাহরণটি কেবল নিরঙ্গ  রূপক অলংকারের এখানে একমাত্র উপমেয় হল মানবজীবন অন্যদিকে একটিমাত্র অঙ্গহীন উপমান হলো জমিন ।এদের মধ্যে অভেদ্য কল্পনা  করা হয়েছে বলে এটি কেবল নিরঙ্গ রূপক অলংকার।

২।দেখিবারে আঁখি পাখি ধায় ।

৩।চোরাবালি আমি দূর দিগন্তে ডাকি

 কোথায় ঘোর শহর।

৪। লোকটি দুঃখের আগুনে পুড়িয়া মরিল।

মালা নিরঙ্গ রূপক :

 যে রূপক অলংকারে একটিমাত্র অঙ্গহীন উপমেয়র উপর একাধিক অঙ্গহীন উপমানের অভেদ কল্পনা করা হয় তাকে মালা নিরঙ্গ রূপক অলংকার বলে ।

উদাহরণ:

১। শীতের ওঢ়নি পিয়া গিরীষের বা বরিষার ছত্র পিয়া দরিয়ার না।  ২।শেফালি সৌরভ আমি , রাত্রির  নিশ্বাস ভোরের  ভৈরবী ।

সাঙ্গরূপক:

যে রূপক অলংকারে ,বিভিন্ন অঙ্গ সমেত উপমেয়ের সঙ্গে বিভিন্ন অঙ্গসমেত উপমানের অভেদ কল্পনা করা হয় তাকে সাঙ্গরূপক বলে।

উদাহরণ : অশান্ত আকাঙ্ক্ষা পাখি মরিতেছে মাথা খুঁড়ে পাঞ্জার পিঞ্জরে ।

পরম্পরিতরূপক :

যে রূপক আলংকারের একটি উপমানের অভেদ কল্পনা , অন্য একটি উপমানের সঙ্গে অভেদ কল্পনার কারণ হয়ে দাঁড়ায় , তাকে পরম্পরিতরূপক বলে।

উদাহরণ :-

১।জীবন উদ্যানে তোর

    যৌবন কুসুম ভাতি

        কতদিন রবে।

২। মরনের ফুল বড়ো হয়ে ওঠে

     জীবনের উদ্যানে

অধিকাররূঢ় বৈশিষ্ট্য  রূপক :

যে রূপক অলংকারে , উপমানের উপর বাস্তব , অবাস্তব , বা কল্পিত অধিকার এর অভেদ কল্পনা করা হয় তাকে অধিকার রূড় রুপক বলে ।

উদাহরণ : তুমি অচপল দামিনি।

ব্যতিরেক অলংকার :  যে সাদৃশ্যমূলক অলংকারে উপমেয়কে উপমানের চেয়ে উৎকৃষ্ট বা নিকৃষ্ট করে দেখানো হয় তাকে ব্যতিরেক অলংকার বলে ।

শ্রেণিবিভাগ :

ব্যতিরেক অলংকার দুই প্রকার উৎকর্ষাত্মক ব্যতিরেক ও অপকর্ষাত্মক ব্যতিরেক।

উৎকর্ষাত্মক ব্যতিরেক :   যে ব্যতিরেক অলংকারে উপমেয়কে উপমানের চেয়ে উৎকৃষ্ট হিসেবে দেখানো হয় তাকে উৎকর্ষাত্মক ব্যতিরেক অলংকার বলে ।

উদাহরণ :

১।যে জন না দেখিয়াছে বিদ্যার চলন

সেই বলে ভালো চলে মরাল বারণ ।

২। নবীন নবনী নিন্দিত করে দোহন করিছ দুগ্ধ।

অপকর্ষাত্মক ব্যতিরেক : যে ব্যতিরেক অলংকারে উপমেয়কে উপমানের চেয়ে নিকৃষ্ট করে দেখানো হয় তাকে অপকর্ষাত্মক ব্যতিরেক অলংকার বলা হয় ।

উদাহরণ :

১। এ পুরির পথমাঝে যত আছে শিলা

    কঠিন শ্যামার মতো কেহ নহে আর ।

২। কণ্ঠস্বরে বজ্র লজ্জাহত।

৩। কিসের এত গরব প্রিয়া

   কথায় কথায় মান অভিমান

এবার এসো ত্যাগ করিয়া

ভাটায় ক্ষীণা তরঙ্গিনী

ফের জোয়ারে দুকূল ভাঙে

জোয়ার গেলে আর কি ফেরে

নারী তোমার জীবন গাঙে।

সমাসোক্তি অলংকার :

প্রস্তুতের উপর বা উপমেয়ের উপর অপ্রস্তুতের বা উপমানের ধর্ম আরোপিত হলে তাকে সমাসোক্তি অলংকার বলে ।

(বস্তুর উপর চেতন পদার্থের ধর্ম আরোপিত হলে সমাসোক্তি অলংকার হয় )

উদাহরণ :

 ১। তটিনী চলেছে অভিসারে

২। কেরোসিন শিখা বলে মাটির প্রদীপে

    ভাই বলে ডাকো যদি গলা দিব টিপে

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading