বেসরকারি সংস্থা বা এনজিও হলো এমন একটি সংস্থা যা বিভিন্ন ধরনের ক্রিয়াকলাপ পরিচালনা করে, যার লক্ষ্য সমাজের সুবিধার জন্য বিশেষ করে সুবিধাবঞ্চিত মানুষের জন্য। নামটি নিজেই বলে যে এটি একটি এনজিও এবং একে একটি অলাভজনক সংস্থা হিসাবেও উল্লেখ করা হয় যা স্বাধীনভাবে এবং সরকারের কাছ থেকে কোনো আর্থিক সহায়তা ছাড়াই কাজ করে যদিও এনজিওগুলি তাদের প্রকল্পগুলি কার্যকর করার জন্য সরকারি সংস্থাগুলির সাথে ঘনিষ্ঠ সমন্বয়ে কাজ করে। অতএব ভারতে এনজিওর ভূমিকা এবং কার্যাবলি সত্যিই তাৎপর্যপূর্ণ এবং উন্নয়ন ও বৃদ্ধির প্রধান উদ্দেশ্য পূরণ করে।
এনজিও (বেসরকারি সংস্থা) একটি বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) হলো এমন একটি গোষ্ঠী যা যেকোনা সরকার থেকে স্বাধীনভাবে কাজ করে। এটি সাধারণত অলাভজনক। এনজিওগুলিকে কখনো কখনো সুশীল সমাজ সংস্থা বলা হয়, সামাজিক বা রাজনৈতিক লক্ষ্য যেমন — মানবিক কারণ বা পরিবেশ সুরক্ষার জন্য সম্প্রদায়, জাতীয় – এবং আন্তর্জাতিক স্তরে প্রতিষ্ঠিত হয়।
প্রণয়ন, রাজস্ব ও ব্যয়ের পরিমাণ নির্ধারণ, শাসন বিষয়ক নীতি নির্ধারণ, সরকারি কর্মচারী নিয়োগ, যুদ্ধ ও শান্তি বিষয়ে সিদ্ধান্তগ্রহণ, অন্যান্য রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণ, বিচারকার্য সম্পাদন ইত্যাদি কার্য সম্পাদন করে। দেশের সমস্ত নাগরিক প্রত্যক্ষভাবে শাসনকার্য পরিচালনায় অংশগ্রহণের সুযোগ পায় বলে এই ধরনের গণতন্ত্র অংশগ্রহণকারী গণতন্ত্র বলেও আখ্যা দেওয়া হয়। প্রাচীন গ্রিসের ক্ষুদ্র নগররাষ্ট্রগুলিতে এই ধরনের প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র প্রচলিত ছিল।
প্রস্ত্র অবলুপ্তির কারণ :
বর্তমানে কোনো দেশে জাতীয় স্তরে প্রত্যক্ষ গণতন্ত্র নেই বললেই চলে।
প্রথমত, বর্তমানে রাষ্ট্রগুলি শুধু আকার-প্রভাবের দিক থেকে নয়, জনসংখ্যার দিক থেকেও আগের দিনের রাষ্ট্রগুলি থেকে প্রসারিত হয়েছে।
দ্বিতীয়ত, আজকের দিনে যেকোনো রাষ্ট্রব্যবস্থার সঙ্গে এত বেশি সমস্যা জড়িত থাকে এবং সমস্যাগুলি এত বেশি জটিল যে রাষ্ট্রের অন্তর্গত সমস্ত সাধারণ মানুষের পক্ষে তা সমাধান করা সম্ভব হয় না।
তৃতীয়ত, বর্তমানে অধিকাংশ মানুষই এত বেশি অর্থনৈতিক সমস্যায় জর্জরিত থাকে যে তাদের পক্ষে রাষ্ট্রনৈতিক বিষয়ে মাথা ঘামানোর কোনো অবকাশ থাকে না। এইসব কারণে প্রত্যক্ষ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা এখন অতীতের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। তবে বর্তমানকালে সুইজারল্যান্ডের কয়েকটি ছোটো ছোটো ক্যান্টনে (Canton) এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে কয়েকটি সুরকার পরিচালনায় এই ধরনের শাসনব্যবস্থা প্রচলিত আছে।
→ প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের গুণ :
প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রের সমর্থনে নিম্নলিখিত যুক্তিগুলি খাড়া করা হয়-
- প্রথমত, প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে জনগণ প্রত্যক্ষ এবং সক্রিয়ভাবে শাসনকার্যে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় বলে তাদের মধ্যে রাজনৈতিক সচেতনতা ও দায়িত্ববোধ বৃদ্ধি পায়।
- দ্বিতীয়ত, প্রত্যক্ষ গণতন্ত্রে সমস্ত মানুষের মতামতের ভিত্তিতে শাসনকার্য পরিচালিত হয় বলে এই ধরনের গণতন্ত্রকেই কেবলমাত্র বিশুদ্ধ গণতন্ত্র বলা চলে। তৃতীয়ত, এরূপ গণতন্ত্রে দেশের আপামর জনসাধারণ শাসনকার্যে অংশগ্রহণের সুযোগ পায় বলে তাদের মধ্যে একদিকে উৎসাহ-উদ্দীপনা বৃদ্ধি পায়, অন্যদিকে দেশপ্রেম হয়। চতুর্থত, সকলের মতামতের ভিত্তিতে এরূপ শাসনব্যবস্থা পরিচালিত হয় বলে সরকারের বিরুদ্ধে কারও কোনো অভিযোগ বা ক্ষোভ থাকে না; স্বাভাবিকভাবেই এরূপ শাসনব্যবস্থায় বিপ্লব বা গৃহযুদ্ধের কোনো সম্ভাবনা থাকে না।
উদাহরণস্বরূপ, এনজিওগুলি স্বাস্থ্য বা স্বাস্থ্য জরুরি অবস্থা, শিক্ষা, পরিকাঠামো, সংখ্যালঘু অধিকারের সমর্থন, দরিদ্রদের সমর্থন এবং অপরাধ হ্রাসের ক্ষেত্রে ক্রিয়াকলাপগলিতে মনোনিবেশ করতে পারে এনজিও-র কাজ হলো মানবাধিকার, সামাজিক, পরিবেশগত কাবা অ্যাডভোকেসি সংক্রান্ত বিষয়গুলিতে ফোকাস করা। তারা ব্যাপকভাবে সমাজের
সামাজিক ও রাজনৈতিক অবস্থার উন্নয়ন ও উন্নতির জন্য কাজ করে। মানবাধিকার ও শিশুর অধিকার।
এনজিওর(NGO) কাজ কী?
- পশুর অধিকার।
- সামাজিক অন্যায় প্রতিরোধ।
- পরিবেশ সংরক্ষ
- বয়স্ক মানুষের যত্নের রুটিন।
- নারীর ক্ষমতায়ন।
- রোগ নিয়ন্ত্রণ এবং অন্যান্য
- স্বাস্থ্য ও পুষ্টি পরিকল্পনা।
- বন্যপ্রাণী সংরক্ষণ :
- স্বাস্থ্যবিধি এবং স্যানিটেশন শর্তাবলি।
- মানবিক জ্ঞাপ।
- শিক্ষা পরিকল্পনা এবং সাক্ষরতা।
- উদ্বাস্তু সংকট ইত্যাদি।
এনজিও-র একটি প্রধান ভূমিকা রয়েছে এবং এটি সমাজে বর্ণিত মানুষের উন্নয়নের সবচেয়ে বড়ো কারণ। এইদিক দিয়েও একটি প্রশংসনীয় কাজ করছে। এটি দারিদ্র্য বিমোচনের মতো বিভিন্ন প্রকল্প হাতে নিয়েছে এবং বিভিন্ন সামাজিক কুফল নিয়ে কাজ করছে। এটি বাঁধ, রেলপথ এবং রাস্তা নির্মাণে অবদান রেখেছে এবং সুবিধাবস্থিত, গ্রামীণ এলাকা এবং সমাজের দুর্বল অংশের জন্য সমস্ত মৌলিক সুবিধার ব্যবস্থা করেছে। এনজিও-র কার্যাবলি মানবতার সেবায় একটি দৃষ্টান্ত স্থাপন করছে। এটি “সর্বজন হিতায়-সর্বজন সুখে”-এর মৌলিক নীতি অনুসরণ করছে এবং একে জাতি গঠনে দীর্ঘ পথ পাড়ি দিতে হবে।