‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসে শ্যামাসুন্দরী চরিত্রটির উপযোগিতা অনেক গুরুত্বপূর্ণ। এই চরিত্রটি প্রধানত নবকুমারের ভগিনী হিসেবে পরিচিত, তবে এর মাধ্যমে উপন্যাসটিতে কিছু বিশেষ দিক তুলে ধরা হয়েছে।
১. সামাজিক প্রেক্ষাপট: শ্যামাসুন্দরী চরিত্রটি তৎকালীন সমাজের নারী এবং পরিবারের প্রতি দৃষ্টিভঙ্গী প্রকাশ করে। সে নবকুমারের প্রতি গভীর ভালোবাসা ও শ্রদ্ধাশীলতা অনুভব করে। এটি সমাজের একটি গুরুত্বপূর্ণ দিক, যেখানে নারী ও পরিবারের সম্পর্ক দেখানো হয়েছে।
২. নৈতিকতা: শ্যামাসুন্দরী চরিত্রটি নৈতিকতা ও আদর্শের প্রতীক। সে নবকুমারের প্রতি নিজের কর্তব্য ও দায়িত্ব পালন করে, যা সমাজের নৈতিক মূল্যবোধকে আরও শক্তিশালী করে।
৩. আবেগ: শ্যামাসুন্দরী চরিত্রটি উপন্যাসে আবেগ ও অনুভূতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। তার মাধ্যমে নবকুমারের প্রতি আবেগ ও ভালোবাসার গভীরতা প্রকাশ পায়।
৪. ঘটনার গতি: শ্যামাসুন্দরী চরিত্রটি উপন্যাসের ঘটনার গতি ও চরিত্রগুলির মধ্যে সম্পর্ক তৈরি করতে সাহায্য করে। তার মাধ্যমে উপন্যাসটিতে একটি মানবিকতা ও গভীরতা যোগ হয়।
মোটকথা, ‘কপালকুণ্ডলা’ উপন্যাসে শ্যামাসুন্দরী চরিত্রটি केवळ একটি সহায়ক চরিত্র নয়, বরং এটি উপন্যাসের গভীরতা, মানবিকতা ও সামাজিক প্রেক্ষাপটকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।