কবীন্দ্র পরমেশ্বর কোন কাব্য অনুবাদ করেছিলেন?
কবীন্দ্র পরমেশ্বর নামে পরিচিত কবি সাধক কীর্তনবিলাসী, যিনি বাংলা সাহিত্যে বিশেষ স্থান অধিকার করেন। তিনি মূলত “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কাব্যের অনুবাদ করেছিলেন।
তাঁর কাব্যটি অন্য কী নামে পরিচিত?
শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্যটির মূল রচয়িতা বিদ্যাপতি, এবং এটি বাংলার প্রাচীন কাব্যসমূহের একটি। কবীন্দ্র পরমেশ্বরের অনুবাদ কাব্যটি মূল কাব্যের বৈশিষ্ট্য বজায় রেখে সাধককবির স্বতন্ত্র বৈশিষ্ট্যও প্রতিফলিত করেছে। তাঁর অনুবাদ মূল কাব্যটির বিভিন্ন প্রেক্ষিত এবং শ্রীকৃষ্ণের কীর্তিকে আধুনিক পাঠকের জন্য আরও উপলব্ধি যোগ্য করে তুলেছে।
অন্য নামে পরিচিত কাব্য: কবীন্দ্র পরমেশ্বরের অনুবাদ কাব্যটি অনেক ক্ষেত্রে “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” নামেও পরিচিত। এর একটি বিশেষ নামকরণ রয়েছে: “রসালিকা”।
এই নামকরণের কারণ কী?
নামকরণের কারণ: “রসালিকা” নামটি মূলত কাব্যের উপস্থাপন এবং কাব্যের কাব্যিক রসের প্রতি ইঙ্গিত করে। “রসালিকা” শব্দটির অর্থ হল ‘রসপূর্ণ’, যা এই কাব্যের মাধুর্য ও শ্রীকৃষ্ণের জীবনের সুস্বাদু কাহিনীগুলির পরিচায়ক। এই নামকরণের মাধ্যমে কবীন্দ্র পরমেশ্বর কাব্যের রসাত্মক বৈশিষ্ট্য এবং তাঁর রচনার বিশেষত্বকে তুলে ধরেছেন।
এইভাবে, কবীন্দ্র পরমেশ্বরের “শ্রীকৃষ্ণকীর্তন” কাব্যটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হয়ে উঠেছে, যা মূল রচনার সৃজনশীলতা ও বৈচিত্র্যকে নতুন আঙ্গিকে তুলে ধরেছে।