কুবেরের মাছ ধরার সঙ্গী কে বা কারা ছিল?
মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের উপন্যাস ‘পদ্মা নদীর মাঝি’-তে কুবের একজন গরিব মাঝি, যিনি পদ্মা নদীতে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করেন। তার মাছ ধরার সঙ্গী ছিল গনেশ, মদন এবং হরু। তারা সবাই একসঙ্গে মাছ ধরত এবং মাছ ধরার পর তাদের উপার্জন ভাগ করা হতো।
কুবেরের মাছ ধরে উপার্জনের ভাগ-বাটোয়ারা:
- কুবেরদের মাছ ধরে উপার্জনের ভাগ-বাটোয়ারা করা হতো সমানভাবে, তবে কিছুটা ভিন্ন নিয়মে।
- কুবেরের ভাগে কিছুটা কম পড়ত, কারণ তার নৌকাটি ভাড়া করা ছিল এবং তার ওপর ঋণের বোঝা ছিল। কুবের নিজে শ্রমিক হওয়া সত্ত্বেও তার উপার্জন পুরোপুরি নিজের হতো না।
এর কারণ:
- কুবের দরিদ্র এবং ঋণগ্রস্ত ছিল। নৌকাটি তার নিজের ছিল না; এটি অন্যের কাছ থেকে ভাড়া করা। ফলে নৌকার মালিককে লাভের একটি অংশ দিতে হতো। কুবেরদের জীবিকা এবং ভাগ্যের ওপর এই প্রভাব ছিল অর্থনৈতিকভাবে দুর্বল অবস্থানের প্রতিফলন।
- এছাড়াও, নদীর আশেপাশে যারা বসবাস করত, তাদের মধ্যে নৌকাটি ভাড়া নিয়ে ভাগে মাছ ধরা ও উপার্জন ভাগ করা একটি প্রচলিত রীতি ছিল।
এভাবে, ভাগ-বাটোয়ারার নিয়ম কুবেরের অর্থনৈতিক দুর্বলতা এবং সামাজিক প্রেক্ষাপটকে প্রতিফলিত করে।