(ক) ‘বাংলা ছন্দের মূলসূত্র’, ‘কবিতার ক্লাস’, ‘ছন্দের বারান্দা’- এই গ্রন্থগুলি রচয়িতাদের নাম লেখো।

ANS- ‘বাংলা ছন্দের মূলসূত্র’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন শঙ্খ ঘোষ, ‘কবিতার ক্লাস’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, এবং ‘ছন্দের বারান্দা’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মিহির সেন। এই তিনটি গ্রন্থ বাংলা কবিতা ও ছন্দের গুরুত্ব এবং তাদের শৈলী নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছে।

(খ) মোহিতলাল মজুমদারের ছন্দ সম্পর্কিত গ্রন্থটির নাম ছন্দকে কি নামে অভিহিত করেন? কী? গ্রন্থটি কত সালে প্রকাশিত? তিনি দলবৃত্ত

ANS- মোহিতলাল মজুমদারের ছন্দ সম্পর্কিত গ্রন্থটির নাম “ছন্দের পরিচয়”। এই গ্রন্থে তিনি ছন্দকে “কবিতার আধ্যাত্মিক রূপ” হিসেবে অভিহিত করেছেন। এটি ১৯৪২ সালে প্রকাশিত হয়। তিনি বাংলা সাহিত্য এবং ছন্দের প্রতি গভীর আস্থা রেখেছিলেন, এবং তাঁর রচনায় ছন্দের গুরুত্ব নিয়ে আলোচনা করেছেন।

(গ) ছেদ ও যতির পার্থক্য লেখো এবং উদাহরণ দাও।

ANS- ছেদযতি বাংলা ছন্দের দুটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।

  • ছেদ হল ছন্দের মধ্যে বিরতি বা বিরাম চিহ্ন, যেখানে শব্দ বা পদগুলি একে অপর থেকে আলাদা হয়। উদাহরণ: “কী সেই বাতাসে, উড়ে যায় পাখি।”
  • যতি হল একধরনের ছন্দের প্রাকৃতিক বিরতি, যেখানে ছন্দের শেষ বা অংশবিশেষে একটি শব্দের বিশেষ প্রয়োগ হয়।

(ঘ) পর্বকে কী কী ভাবে বিভক্ত করা হয়? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

ANS- পর্ব হল কবিতার একক অংশ, যা ছন্দের ভিত্তিতে বিভক্ত হয়। পর্বকে সাধারণত করণের পর্ব (অর্থাৎ, নির্দিষ্ট রূপে শেষ হওয়া), গাথার পর্ব (একটি গাথা বা বক্তব্য), এবং শব্দের পর্ব (কবিতার পঙক্তি) হিসেবে ভাগ করা হয়। উদাহরণ: “নদী ধারা, পাহাড় গগন” (এটি একটি পর্ব)।

(ঙ) উপমা অলংকারের কয়টি অঙ্গ? উদাহরণ দিয়ে। বুঝিয়ে দাও।

ANS- পমা অলংকারের তিনটি অঙ্গ:

  1. উপমেয় – যে বস্তু বা ভাবের সঙ্গে তুলনা করা হয়।
  2. উপমাশ্রু – যে বস্তু বা ভাবের দ্বারা তুলনা করা হয়।
  3. সংশ্লিষ্ট শব্দ – তুলনা সূচক শব্দ (যেমন: যেমন, মতো, যেমনই)।

উদাহরণ: “তোমার চোখ যেন দীপশিখা”।

  • উপমেয়: চোখ, উপমাশ্রু: দীপশিখা, সংশ্লিষ্ট শব্দ: যেন।

(চ) ‘উৎপ্রেক্ষা’ শব্দের অর্থ কী? এই অলংকারকে কয় ভাগে ভাগ করা যায় ও কী কী? উদাহরণ দাও।

ANS- উৎপ্রেক্ষা শব্দের অর্থ হলো কোনো বিশেষ বস্তুর প্রতি দৃষ্টি আকর্ষণ বা তার মাধ্যমে অন্য কোনো ভাব প্রকাশ করা। এটি দুই ভাগে ভাগ করা যায়:

  1. পদবৃত্ত উৎপ্রেক্ষা: এখানে কোনো বিশেষ বস্তু বা দৃশ্য থেকে নতুন ভাবের উদয় হয়। উদাহরণ: “তোমার হাসি হলো দীপের আলো।”
  2. বাক্যবৃত্ত উৎপ্রেক্ষা: এখানে এক বাক্য থেকে অন্য বাক্যের মধ্যে সম্পর্ক তৈরি হয়।
bn_BDBengali
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading