আমরা বিভিন্ন প্রয়ােজনে আবেদনপত্র লিখে থাকি। পড়াশুনা শেষ করে বা পড়াশুনা চলাকালীন অবস্থায় আমরা চাকরির জন্য আবেদন করি। যে আবেদনপত্র কোনাে ব্যবসায়িক বা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বা সংস্থার কোনাে পদে নিয়ােগ প্রাপ্তির উদ্দেশ্যে লেখা আবেদনপত্র বলা হয়।
চাকরির আবেদনপত্র রচনার মূলসূত্র :
১. চাকরির ক্ষেত্রে ভাষাগত দক্ষতা খুবই আবশ্যক। এজন্য কর্তৃপক্ষের নজর কাড়ার উদ্দেশ্যে আবেদনপত্র হতে হয় সুলিখিত, সুন্দর ও নির্ভুল।
২. তারিখ : আবেদনপত্রের শুরুতে বামদিকে তারিখ উল্লেখ করতে হয়।
৩. প্রারম্ভিক শব্দ : তারিখ উল্লেখের পর বরাবর’ শব্দটি লিখতে হয়।
৪. প্রাপকের নাম/পদবি ও ঠিকানা : চাকরির আবেদনপত্রের এ অংশে নিয়ােগকর্তার পদ ও নিয়ােগকারী প্রতিষ্ঠানের ঠিকানা লিখতে হয়। অনেকসময় দেখা যায়, নিয়ােগকারী প্রতিষ্ঠান গােপনীয়তা রক্ষা বা যেকোনাে ধরনের ঝামেলা এড়াতে তাদের ঠিকানা উল্লেখ না করে পােস্ট বক্স নম্বর উল্লেখ করে বা কোনাে পত্রিকার মাধ্যমে আবেদনপত্র আহ্বান করে। এ অবস্থায় অবশ্যই পােস্ট বক্স নম্বর উল্লেখ করে বা পত্রিকার ঠিকানা বরাবর আবেদনপত্র পাঠাতে হবে। সাম্প্রতিক সময়ে অনেক প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন জবসাইটের মাধ্যমে জীবনবৃত্তান্ত আহ্বান করে।
৫. বিষয় : প্রাপকের নাম/পদবি, ঠিকানার পর অবশ্যই প্রার্থিত পদের নাম উল্লেখ করে তা বিষয় হিসেবে লিখতে হয় ।
৬. সম্বােধন ও বিজ্ঞপ্তির সূত্র : বিষয়ের পর জনাব/মহােদয়/মহাত্মন’ বলে যথাযথ সম্বােধন করে বিজ্ঞপ্তির সূত্র ও তারিখ বা বিশ্বস্ত সূত্রের কথা উল্লেখ করতে হয়।
৭. প্রয়ােজনীয় তথ্য : এ পর্যায়ে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত তথ্য (নাম, মাতা-পিতার নাম, জন্ম তারিখ, ধর্ম, জাতীয়তা, বৈবাহিক অবস্থা), স্থায়ী ও অস্থায়ী ঠিকানা, যােগাযােগের উপায় (মােবাইল/ফোন নম্বর, ই-মেইল আইডি), শিক্ষাগত যােগ্যতা ও অভিজ্ঞতা সঠিকভাবে উল্লেখ করতে হয়।
৮. অতিরিক্ত তথ্য : এক্ষেত্রে অতিরিক্ত যােগ্যতা, প্রশিক্ষণ, ভাষিক দক্ষতা প্রভৃতি সন্নিবেশ করতে হয়।
৯. সংযুক্তি : আবেদনপত্রের শেষে, আবেদনপত্রে উল্লিখিত তথ্য প্রমাণের জন্য পরীক্ষার সনদপত্র, প্রশংসাপত্র ও নম্বরপত্রের সত্যায়িত ফটোকপি এবং সদ্যতােলা পাসপোের্ট আকারের ছবি, প্রথম শ্রেণির গেজেটেড কর্মকর্তা প্রদত্ত চারিত্রিক সনদপত্র, চাহিদাসাপেক্ষে দুজন বিশিষ্ট ব্যক্তির প্রশংসাপত্র সংযুক্ত করতে হয়।