‘তৃতীয় দ্যুতসভা’ গল্পের মূল বক্তব্য সংক্ষেপে লেখো।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘তৃতীয় দ্যুতসভা’ গল্পের মূল বক্তব্য হলো সমাজের নৈতিক এবং সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় এবং এর ফলে সৃষ্ট মানবিক সংকট।
‘তৃতীয় দ্যুতসভা’ গল্পের সারাংশ:
‘তৃতীয় দ্যুতসভা’ গল্পে পাণ্ডবদের তৃতীয় দ্যুতক্রীড়ার (জুয়া খেলা) ঘটনা নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। পাণ্ডবরা আবার জুয়া খেলতে বসে এবং তাদের পরিণতি অত্যন্ত করুণ হয়। তারা আবার হেরে যায় এবং এর ফলে দ্রৌপদীর বস্ত্রহরণের ঘটনা ঘটে, যা মহাভারতের একটি গুরুত্বপূর্ণ ঘটনাও বটে।
গল্পের মধ্যে, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এই পুরনো পৌরাণিক ঘটনার মাধ্যমে সমাজের অভ্যন্তরীণ সংকট, নৈতিকতার অভাব, এবং মানুষের মানবিক মূল্যবোধের সংকট তুলে ধরেছেন। গল্পের মূল বক্তব্য হলো:
- ন্যায়বিচারের অভাব: সমাজে ন্যায়বিচারের অভাব এবং ক্ষমতার অপব্যবহার, যা মানুষের মানসিক ও সামাজিক অস্থিরতা বৃদ্ধি করে।
- মানবিকতার সংকট: মানুষের মধ্যে মানবিকতা ও সহানুভূতির অভাব, যা পরিণামে সমাজের দুরাবস্থা সৃষ্টি করে।
- সামাজিক অবক্ষয়: সমাজের মধ্যে যে অস্বাভাবিকতা, দুর্নীতি এবং পরস্পরের প্রতি অশ্রদ্ধা বিদ্যমান, তার ফলে সমাজের সঠিক দিশা হারিয়ে যায়।
সংক্ষেপে, ‘তৃতীয় দ্যুতসভা’ গল্পের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সমাজের নৈতিক অবক্ষয় এবং মানবিক সংকটের প্রতিচ্ছবি তুলে ধরেছেন, যা পাঠকদের ভাবিয়ে তোলে এবং সমাজের উন্নতির জন্য সচেতন করে।