তোমার এলাকার ঐতিহ্যবাহী মেলায় আমন্ত্রণ জানিয়ে বন্ধুকে পত্র:
২০শে মাঘ ১৪৩০
দলুয়া, চোপড়া, উত্তর দিনাজপুর,
পশ্চিমবঙ্গ-৭৩৩২০৭
প্রিয় সুশান্ত,
আমি আশা করি তোমরা ভালো আছো। এই চিঠিতে তোমাকে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ ঘটনায় অংশগ্রহণের জন্য আমন্ত্রণ জানাতে চাই। আমাদের এলাকার একটি ঐতিহ্যবাহী মেলা অনুষ্ঠিত হবে এবং এটির অন্তর্ভুক্তির জন্য তোমার অত্যন্ত স্বাগতম।। কোনো উৎসব উপলক্ষে মুক্ত অঙ্গনে সকল গ্রামবাসীর উচ্ছ্বসিত মিলনস্থান হলো মেলা। প্রতি বছরই আমাদের পার্শ্ববর্তী গ্রামে বাঁশি, কোথাও মিষ্টি, মণ্ডা, দধি, দুগ্ধ, জিলাপি, কোথাও খেলনা-মুকুট, বিন্নি-বাতাসা, বাঁশ ও বেতের আসবাবপত্র মাটির হাঁড়ি- বিশাল এলাকা জুড়ে অস্থায়ী ছোটো ছোটো দোকানের সারি। একেক সারিতে একেক রকম পণ্যের সম্ভার। কোথাও পুতুল, খেলনা, পাতিল খেলনা ও নানারকম হস্তশিল্পের পণ্য-সম্ভারও এ মেলায় ওঠেছিল। বিনোদনের জন্যে ছিল চড়ক গাছ, সার্কাস, ম্যাজিক, লোকসংগীত ইত্যাদি। ছোটো ছোটো ছেলেমেয়েদের সমাগম ছিল সবচেয়ে বেশি। তাদের আনন্দও ছিল অফুরন্ত। তাদের প্রায় প্রত্যেকেরই হাতে ছিল বাঁশি কিংবা খেলনা। সারা বিকেল ধরে এ মেলায় ঘুরে ঘুরে আনন্দ উপভোগ করার চেষ্টা করেছি। কামার, কুমার, কাঠমিস্ত্রি, অন্যান্য কারিগরে জন্যে বৈশাখী মেলা একটি প্রদর্শনী স্থল। এ মেলা থেকে পছন্দমতো জিনিস বেশ সস্তায় জয় করা যায় । আমি এ মেলা থেকে ছোটো বোনের জন্যে খেলনা এবং মায়ের জন্য সাংসারিক কিছু তৈজসপত্র কিনেছি।
গ্রাম-বাংলার মেলাগুলো আজও অফুরন্ত আনন্দের ভাণ্ডার । আমাদের গ্রামীণ সংস্কৃতির অন্যতম উৎসব। আধুনিকতার রাহুগ্রাস থেকে গ্রামজীবনের এ ঐতিহ্যকে রক্ষা করা আমাদের সকলের কর্তব্য। তুমি সাথে থাকলে আরো আনন্দ পেতাম। তোমার আনন্দময় জীবন কামনা করে শেষ করছি।
ইতি
তোমার বন্ধু
দীপক