1948 খ্রিস্টাব্দের 5 ই নভেম্বর স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। এর সভাপতি ছিলেন সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। এই কমিশনের মোট সদস্য ছিলেন 10 জন এবং এই 10 জনের মধ্যে 3 জন ছিলেন বিদেশি। কমিশের সদস্য সম্পাদক ছিলেন ডক্টর নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত। কমিশনের সদস্যগণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপদ্ধতি পরিদর্শন এবং দেশের শিক্ষা সংক্রান্ত সমস্যাবলির বিভিন্ন দিক পর্যালোচনা করে 747 পৃষ্ঠার একটি দীর্ঘ প্রতিবেদন প্রস্তুত করেন।
উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে রাধাকৃষ্ণন কমিশনের সুপারিশ :
রাধাকৃষ্ণন কমিশন ভারতে উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রযুক্ত পূর্ব প্রধানমন্ত্রী সার্বজনীন রাধাকৃষ্ণনের নেতৃত্বে 1948 সালে গঠিত হয়। এই কমিশনটির কাজের মূল উদ্দেশ্য ছিল উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে সামাজিক এবং আর্থিক উন্নতির দিকে উন্নত উদ্দেশ্য হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হওয়া সুশশাসনের একটি পথনির্দেশ।
রাধাকৃষ্ণন কমিশনের সুপারিশগুলি বিভিন্ন দিকে তার উদ্দীপনা এবং উচ্চশিক্ষা ব্যবস্থার সংরক্ষণ ও উন্নতির জন্য প্রস্তুতি করে।
প্রযুক্ত ও বাণিজ্যিক শিক্ষা:
কমিশনটি প্রযুক্ত ও বাণিজ্যিক শিক্ষায় উন্নতি করার জন্য বিভিন্ন উপায়ে প্রস্তুতি করে। এটি প্রযুক্তি শিক্ষা ও বাণিজ্যিক প্রশিক্ষণের মাধ্যমে বিভিন্ন ক্ষেত্রে নিয়োজিত এবং কৌশল প্রাপ্ত করা ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উন্নতি করার জন্য সুপারিশ দেয়।
আচার্য্য প্রশিক্ষণ:
কমিশনটি শিক্ষক প্রশিক্ষণের পরিস্থিতি উন্নত করার জন্য আচার্য্য প্রশিক্ষণ প্রদানের জন্য প্রস্তুতি করে।
উচ্চতর অধ্যয়নের সুযোগ:
কমিশনটি বাঙালি ছাত্র-ছাত্রীদের জন্য উচ্চতর অধ্যয়নের সুযোগ বৃদ্ধি করতে প্রস্তুতি নেয়।
গবেষণা এবং উন্নতি:
কমিশনটি গবেষণা এবং উন্নতির ক্ষেত্রে বিশেষ উপায়ে প্রস্তুতি নেয়। গবেষণা প্রতিষ্ঠানের ক্ষেত্রে নতুন সুযোগ ও উন্নতি বৃদ্ধি করার জন্য এবং উচ্চতর অধ্যয়নে নতুন আইডিয়া উদ্ভাবন করার জন্য কমিশন প্রস্তুতি করে।
শোধাগার ও সংগঠন:
রাধাকৃষ্ণন কমিশন শোধাগার ও সংগঠনের উন্নতির দিকে মনোনিবেশ করে এবং এটির মাধ্যমে বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গবেষণা কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য সুপারিশ দেয়।
এই সুপারিশগুলি দেখাচ্ছে যে রাধাকৃষ্ণন কমিশন উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে একটি পূর্বানুভূতি এবং প্রগতির দিকে উদ্দীপনা দিতে চেষ্টা করেছিল।