‘নব্যপ্রস্তরকালীন বিপ্লব’ বলতে কী বোঝো?

অথবা, ‘নবাশ্মীয় বিপ্লব’ বলতে কী বোঝো?

অথবা, ‘নব্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতি’ বলতে কী বোঝো?

আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪000 থেকে 4000 অব্দ পর্যন্ত সময়কালকে ‘নতুন পাথরের যুগ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষের জীবনযাত্রার অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছিল। এইসময় মানুষ যাযাবর জীবনযাপন ত্যাগ করে স্থায়ীভাবে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছিল। মানুষ খাদ্য সংগ্রহকারী থেকে স্থায়ী বসবাসকারীতে পরিণত হয়েছিল। কৃষিকাজের আবিষ্কার, চাকার আবিষ্কার এবং আগুনের আবিষ্কার নব্যপ্রস্তর যুগে তাদের জীবনে এক বিপ্লব নিয়ে এসেছিল। চাকার আবিষ্কার যেমন মানুষের জীবনে গতি এনেছিল, একইভাবে চাকার ব্যবহার করে মানুষ মৃৎপাত্র তৈরি করতে শিখেছিল। সব মিলিয়ে বলতে গেলে চাকার আবিষ্কারের ফলে মানুষের জীবনে এক বৈপ্লবিক পরিবর্তন সাধিত হয়েছিল। নব্যপ্রস্তর যুগের এই অভাবনীয় অগ্রগতির কারণে এই সময়কাল ‘নব্যপ্রস্তরকালীন বিপ্লব’ নামে পরিচিত। নব্যপ্রস্তর যুগে বস্তুবয়ন শিল্পের সূচনা হয়েছিল এবং এই যুগে হাতিয়ারের মান যথেষ্ট উন্নত হয়েছিল। মানুষ মাটির পাত্রগুলির গায়ে নানান ধরনের নকশা অঙ্কন করত সাংস্কৃতিক চিন্তাধারায় মানুষ অনেকটা এগিয়ে গিয়েছিল। তাই বলা যায়, এই যুগে সাংস্কৃতিক বিকাশ হয়েছিল। তাই নব্যপ্রস্তর যুগের সঙ্গে ‘সংস্কৃতি’ শব্দটি ব্যবহৃত হয়েছে।

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading