নিমন্ত্রণপত্র রচনার সূত্র :-
পত্রের শুরু,সম্ভাষণ, পত্রের মূল অংশ,পত্রের সমাপ্তি,ঠিকানা ও তারিখ, অনুষ্ঠানসূচি, আমন্ত্রিত অতিথির ঠিকানা |
নিমন্ত্রণ পত্রের গঠন শৈলী অন্যান্য দাপ্তরিক পাত্র হতে আলাদা | নিম্নে নিমন্ত্রণ পত্রের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য গুলো আলোচনা করা হলো :
নিমন্ত্রণ পত্র লেখার নিয়ম :
পত্রের শুরু : নিমন্ত্রণ পত্রের শুরুতেই , অনুষ্ঠানের নাম এবং বিষয়সূচি উল্লেখ করতে হবে । নিমন্ত্রণ পত্র যেহেতু , জাতি ধর্ম বর্ণ গোত্র নির্বিশেষে সকলকে নিমন্ত্রণ করার উদ্দেশ্যে লিখিত হয় সুতরাং এ জাতীয় পত্র বিশেষ কোন ধর্মীয় বা কল্যাণ ব্যঞ্জক শব্দ ব্যবহৃত হয় না । তবে বিয়ের নিমন্ত্রণ এর ক্ষেত্রে ,” পরম করুণাময়ের নামে ” অথবা ” শ্রীশ্রী প্রজাপতয়ে নম” লেখা যেতে পারে শুরুতেই উল্লেখ করেছি পত্রের শুরুতে অনুষ্ঠানের শিরোনাম উল্লেখ থাকে । যেমন , ” পিঠা উৎসব 2023 “
সম্ভাষণ : নিমন্ত্রণ পত্রের শুরুতেই , প্রাপকের উদ্দেশ্যে সৌজন্যে সূচক অথবা স্নেহ মুলক কিছু শব্দ ব্যবহার করা হয় । শব্দগুলো মূলত আন্তরিকতা প্রকাশে সহায়ক । কিছু সম্ভাষণ হিসেবে ব্যবহৃত শব্দের উদাহরণ : সুধী , মহোদয় , শ্রদ্ধেয় , প্রিয়তমেষু , জনাব , সুজন প্রভৃতি । বয়স ও সম্পর্ক ভেদে সম্ভাষণ মূলক শব্দ নির্বাচনে সচেতনতা অবলম্বন করা শ্রেয় ।
পত্রের মূল অংশ : নিমন্ত্রণপত্রে অংশটি হয় তথ্য বহুল । সারসংক্ষেপে, অনুষ্ঠানের ধরন , সময়সূচী , স্থান প্রভৃতি উল্লেখিত থাকে পত্রের এই অংশে । তাই এটাকে পত্রের মূল অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয় । বিভিন্ন সামাজিক অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে , অনুষ্ঠানের বিষয় ও সময়ের পাশাপাশি উপস্থিত প্রধান অতিথি, বিশেষ অতিথি ও দর্শক হিসেবে কারা উপস্থিত থাকবেন সংক্ষেপে এসব তথ্য ও উল্লেখ থাকে ।
বিয়ের নিমন্ত্রণ পত্রের ক্ষেত্রে , বর ও কনের পরিচিতি , কোন সময় শিক্ষাগত যোগ্যতা , ঠিকানা প্রকৃতি উল্লেখ থাকে । নিমন্ত্রণ পত্র লেখার সময় খেয়াল রাখতে হবে , পত্রের ভাষা যেন সহজ ও বোধগম্য হয় । প্রয়োজনীয় তথ্য যেন উল্লেখ থাকে । এছাড়াও এ ধরনের পত্রের ভাষায় বিনীত ভঙ্গি প্রকাশ পাওয়া জরুরি ।
পত্রের সমাপ্তি : পত্রের এই অংশে , প্রাপক কে বিনীতভাবে উপস্থিতির জন্য অনুরোধ জানানো হয় | এ অংশের শেষভাগে , বিনীত নিবেদক লেখার পর প্রেরকের নাম উল্লেখ থাকে ।
ঠিকানা ও তারিখ : নিমন্ত্রণপত্রে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ হলো , অনুষ্ঠানে তারিখ অনুষ্ঠানে উদ্দেশ্যে নির্ধারিত স্থান । প্রচলিত রীতি অনুযায়ী , নিমন্ত্রণপত্রে সর্ববামে তারিখ এবং নিমন্ত্রণের প্রেরণকারীর নামের নিচে ঠিকানা লেখার নিয়ম রয়েছে । তবে সময়ের সাথে সাথে , অধুনা এই যুগে এ নিয়মে কিঞ্চিৎ পরিবর্তন পর্যবেক্ষণ করা যায় । বর্তমানে , তারেক এবং ঠিকানা নিমন্ত্রণ পত্রের বামদিকে লেখার প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে ।
অনুষ্ঠানসূচি : নির্ধারিত দিনের বিশেষ আয়োজনে , কোন সময়ে কোন অনুষ্ঠান কত কতক্ষণ সময় ব্যাপী অনুষ্ঠিত হবে তার উল্লেখ নিমন্ত্রণপত্রে দেয়া হয়ে থাকে । এতে , আমন্ত্রিত অতিথি গণ আয়োজিত অনুষ্ঠান কতক্ষণ ব্যাপী চলবে তা ধারণা করে নিতে পারেন ।
আমন্ত্রিত অতিথির ঠিকানা : নিমন্ত্রণ পত্রের এক পর্যায়ে , খামের উপর স্পষ্ট হরফে কাঙ্খিত ব্যক্তির ঠিকানা সম্ভব হলে ফোন নম্বর সংযোজিত করতে হবে যাতে করে সঠিক সময়ে পত্রখানা সঠিক ব্যক্তির নিকট পৌঁছাতে পারে ।