পাঠ পরিকল্পনার উদ্দেশ্য:
১। শিক্ষার্থীদের আর্থ সামাজিক অবস্থা,বয়স, সামর্থ্য ও চাহিদা।
২। সময় বিবেচনা।
৩। পাঠের উদ্দেশ্য সমূহ।
৪। বিষয় বস্তু নির্বাচন ও প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহ।
৫। পাঠের পরিবেশ সৃষ্টির উপায় উল্লেখ ও পাঠ ঘোষণা।
৬। শিখন শিক্ষণ পদ্ধতি ও শিক্ষক শিক্ষার্থীদের কাজ।
৭। উপযুক্ত উপকরণ নির্বাচন।
৮। পাঠ মূল্যায়নের জন্য যথাযথ প্রশ্ন প্রণয়ন যার মাধ্যমে শিখন ফল যাচাই করা যায়।
৯। শিক্ষার্থীর দুর্বলতা চিহ্নিত করণ ও পুনরালোচনা।
১০। বাড়ির কাজ প্রদান।
আদর্শ পাঠ পরিকল্পনার বৈশিষ্ট-
১। বিষয় বস্তু নির্বাচন করা।
২। উদ্দেশ্য নির্ধারণ।
৩। পাঠের বিষয় বস্তুকে বিভিন্ন পর্বে বিন্যাস।
৪। কোন অংশের জন্য কত টুকু সময় প্রয়োজন তা নির্ধারণ করে নিতে হবে।
৫। শিক্ষার্থীদের জানা বিষয় থেকে পাঠ শুরু করে পরে অজানা বিষয়ে অবতারণা করতে হবে।
৬। যে সব বিষয় শিক্ষার্থীরা আয়ত্ত করতে পারে সেগুলো প্রথমে উপস্থাপন করে পরে কঠিন বিষয়ের দিকে যেতে হবে।
৭। একটি বিষয় সম্পূর্ণ না বুঝিয়ে ছোট ছোট অংশে ভাগ করে বুঝালে শিক্ষার্থীরা বিষয়টি সহজে বুঝতে সক্ষম হয়।
পাঠ পরিকল্পনার গুরুত্ব-
১। পাঠ পরিকল্পনার মাধ্যমে শিক্ষণ শিখনের উদ্দেশ্য জানা যায়।
২। পাঠের বিষয় সম্পর্কে বিস্তারিত ধারণা পাওয়া যায়।
৩। উপযুক্ত পদ্ধতি ও কৌশল ব্যবহার করা যায়।
৪। সুশৃঙ্খল, ধারাবাহিক ও মনোবিজ্ঞান সম্মত ভাবে পাঠ উপস্থাপন করা যায়।
৫। সময় অপচয় রোধ করা যায়।
৬। শিক্ষার্থীদের সক্রিয় অংশ গ্রহন নিশ্চিত করা যায়।
৭। মূল্যায়নের কৌশল সম্পর্কে দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়।
৮। শিক্ষার্থীর জ্ঞান, দক্ষতা ও কোন কোন ক্ষেত্রে মনোভাব যাচাই করা যায়।
৯। পিছিয়ে পড়া শিক্ষার্থীদের জন্য নিরাময় ব্যবস্থা গ্রহন।
১০। অগ্রগামী শিক্ষার্থীদের শিখনে সহায়তা করা যায়।
১১। পাঠ দান পক্রিয়া আনন্দদায়ক ও ফলপ্রসূ হয়।
১২। যথা সময়ে সিলেবাস শেষ করার দিক নির্দেশনা পাওয়া যায়।