খ্রিস্টপূর্ব ষষ্ঠ শতাব্দীর পূর্বেকার ইতিহাস রচনার প্রধান উপাদান হল ‘পুরাণ’। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস জানার জন্য পুরাণগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। পুরাণ বলতে-‘প্রাচীন কাহিনি এবং ধর্মীয় অনুশাসনের সংক্ষিপ্তসার’ বোঝায়। পুরাণের সংখ্যা হল 1৪টি। এর মধ্যে-বিষ্ণুপুরাণ, বায়ুপুরাণ, মৎস্যপুরাণ, ভাগবৎপুরাণ এবং ভবিষ্যপুরাণ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।
ঐতিহাসিক গুরুত্ব পুরাণগুলি থেকে বিভিন্ন প্রাচীন রাজবংশগুলির উৎপত্তি, বংশতালিকা, প্রাচীন ভারতের ভৌগোলিক অবস্থা, নদনদী, প্রাচীন শহর ও তীর্থস্থানগুলির বিবরণ পাওয়া যায়। পুরাণে যে সমস্ত ঐতিহাসিক রাজবংশের উল্লেখ পাওয়া যায় সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল হর্ষঙ্ক, শিশুনাগ, নন্দ, মৌর্য, শুঙ্গ, কাথ, সাতবাহন প্রভৃতি। প্রাচীন ভারতের সামাজিক ক্ষেত্রের বাস্তব অবস্থার পরিচয় পেতে গেলে পুরাণ আমাদের গভীরভাবে সাহায্য করে।