1. প্রাচীন অনুবর্তন তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন রাশিয়ান শরীরতত্ত্ববিদ আইভান প্যাভলভ (Ivan Pavlov)।
সক্রিয় অনুবর্তন তত্ত্বের প্রবক্তা হলেন আমেরিকান মনোবিজ্ঞানী বি. এফ. স্কিনার ।
2. প্যাভলভ ক্ষুধার্ত কুকুরের উপর গবেষণা করেছেন।
কিন্তু স্কিনার ক্ষুধার্ত ইদুরের ওপর গবেষণা করেছেন।
3. প্রাচীন অনুবর্তনে নির্দিষ্ট উদ্দীপকের উপস্থিতিতে আচরন সৃষ্টি হয়, তাই এটি হল ” Type – I” বা “Respondent ” বলে।
অপরদিকে , সক্রিয় অনুবর্তনে নির্দিষ্ট কোনো উদ্দীপকের উপস্থিতিতে আচরনের সৃষ্টি হয় না, তাই এটি হল “Type – II” বা অপারেন্ট ।
4. প্রাচীন অনুবর্তনে প্যাভলভ উদ্দীপক ও প্রতিক্রিয়ার সংযোগের ওপর গুরুত্ব দিয়েছেন ।
অপরদিকে , সক্রিয় অনুবর্তনে প্রাণীর প্রতিক্রিয়ার ধারাবাহিকতার শৃঙ্খলার ওপর স্কিনার গুরুত্ব দিয়েছেন ।
5. প্রাচীন অনুবর্তনে প্রাণীর আচরন প্রাণীর ইচ্ছাধীন নয়।
অপরদিকে সক্রিয় অনুবর্তনে অনুবর্তিত আচরন প্রাণীর ইচ্ছাধীন।
6. প্রাচীন অনুবর্তন প্রাণীর স্বয়ংক্রিয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ।
অপরদিকে, সক্রিয় অনুবর্তন প্রাণীর কেন্দ্রীয় স্নায়ুতন্ত্র দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় ।
7. প্রাচীন অনুবর্তনে অনুবর্তিত প্রতিক্রিয়া সম্পুর্নভাবে প্রত্যাশামূলক ।
অপরদিকে , সক্রিয় অনুবর্তনে প্রতিক্রিয়াগুলি সবসময় নির্দেশনামূলক।
8. প্রাচীন অনুবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে সময় ।
অপরদিকে, সক্রিয় অনুবর্তনকে নিয়ন্ত্রণ করে প্রেষনা ।
9. প্রাচীন অনুবর্তনে শক্তিদায়ী প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির আগেই শক্তিদায়ী উদ্দীপকের উপস্থাপন করা হয়।
যেমন : খাদ্যের প্রয়োগের দ্বারা লালক্ষরণের সৃষ্টি ।
অপরদিকে, স্কিনারের সক্রিয় অনুবর্তনে প্রতিক্রিয়া সৃষ্টির পরে শক্তিদায়ী উদ্দীপকের উপস্থাপন করা হয়।
যেমন : লিভারে/বোতাম চাপ দেওয়ার আগেই খাদ্যবস্তুর উপস্থাপন ।