বরেন্দ্রী সম্পর্কে একটি টীকা :
খ্রিস্টীয় দশম শতক থেকে পুণ্ড্রবর্ধনের কেন্দ্রস্থলরূপে বরেন্দ্র বা বরেন্দ্রীর নাম পাওয়া যায়। কবি সন্ধ্যাকর নন্দীর ‘রামচরিত’ কাব্যের কবি প্রশস্তি অংশে এবং গয়ারত্বঙ্গদেবের তালচের পট্রোলিতে বরেন্দ্র মণ্ডলের নামের উল্লেখ আমরা পাই। কবি সন্ধ্যাকর নন্দী বরেন্দ্র অঞ্চলকে পাল রাজাদের ‘জনক-ভূ’ বা পিতৃভূমি বলে উল্লেখ করেছেন। বৈদ্যদেবের কমৌলি লিপি, সিলিমপুর শিলালিপি, তর্পণদিঘি, মাধাইনগর পট্রোলি থেকে জানা যায় যে বরেন্দ্রী, পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তির অন্তর্ভূক্ত ছিল। সেন আমলে প্রাপ্ত তাম্রপট্রগুলি থেকে অনুমান করা যায় যে, বর্তমানে বগুরা, দিনাজপুর, রাজশাহি জেলা, এমনকি পাবনা জুড়ে প্রাচীন বরেন্দ্রী বিস্তৃত ছিল। মধ্যযুগীয় মুসলিম ঐতিহাসিকগণ বরেন্দ্র অঞ্চলকে ‘বারিন্দ’ বলে উল্লেখ করেছেন। তবে মধ্যযুগে বারিন্দের কলেবর প্রাচীন বরেন্দ্রভূমি অপেক্ষা সংকীর্ণ হয়েছিল।