বর্ণব্যবস্থা
ভারতে বর্ণবৈষম্যের সূচনা ঋগ্বৈদিক যুগের পূর্বে, আর্য ইতিহাসের ইন্দো-ইরানীয় পর্বে হয়েছিল। অধ্যাপক সুনীল চট্টোপাধ্যায় বলেছেন যে, আর্যরা আজ থেকে প্রায় 3500 বছর আগে ভারতবর্ষের সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে বসতির বিস্তার ঘটায়। তখন গৌরবর্ণের আর্যরা কৃষ্ণবর্ণের আর্যদের থেকে নিজেদের পৃথক রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। পরবর্তীতে বৈদিক সমাজে পেশাগত ভিত্তিতে চারটি বর্ণের উদ্ভব হয়। এই চারটি বর্ণ হল, যথা- ব্রাহ্মণ, ② ক্ষত্রিয়, বৈশ্য এবং শূদ্র।
ঋগ্বেদের একটি দশম মণ্ডলের পুরুষ সূক্তের একটি শ্লোকে বলা হয়েছে যে, ব্রহ্মার মুখমণ্ডল থেকে ব্রাহ্মণ, বাহুদ্বয় থেকে ক্ষত্রিয়, উরুদেশ থেকে বৈশ্য এবং চরণযুগল থেকে শূদ্রের উৎপত্তি হয়েছে। আর্য সমাজে ব্রাহ্মণদের স্থান ছিল সবার ওপরে এবং এদের কাজ ছিল পূজার্চনা করা ও বিদ্যাচর্চা করা। ক্ষত্রিয়দের কাজ ছিল দেশশাসন ও দেশরক্ষা করা। বৈশ্যদের কাজ ছিল ব্যাবসাবাণিজ্য, কৃষিকাজ ও পশুপালন করা। সর্বশেষ বর্ণ শূদ্রের কাজ ছিল ওপরের তিন বর্ণের সেবা করা।