র্তমান সমাজ ব্যবস্থার প্রেক্ষিতে বিজ্ঞাপনের তিনটি কুফল
বর্তমান সমাজ ব্যবস্থায় বিজ্ঞাপন অনেক গুরুত্ব পেয়েছে এবং প্রতিনিয়ত মানুষের জীবনে প্রভাব ফেলছে। তবে, বিজ্ঞাপনের কিছু কুফলও রয়েছে, যা সমাজে নেতিবাচক প্রভাব সৃষ্টি করতে পারে। নিচে বিজ্ঞাপনের তিনটি প্রধান কুফল উল্লেখ করা হলো:
১. ভোক্তা সংস্কৃতির উদ্ভব (Consumerism)
বিজ্ঞাপন প্রলোভন সৃষ্টি করে এবং মানুষকে অবলীলায় অতিরিক্ত পণ্য ক্রয়ের দিকে প্রবৃত্ত করে। এটি মানুষকে ভোগবাদের দিকে ঠেলে দেয়, যেখানে তারা শুধুমাত্র পণ্য বা সেবা কিনে খুশি হওয়ার চেষ্টা করে। এর ফলে, মৌলিক প্রয়োজনের চেয়ে ভোগের প্রতি বেশি মনোযোগ দেওয়া হয়, যা অর্থনৈতিক চাপ ও অস্থিরতা সৃষ্টি করতে পারে।
২. প্রতিযোগিতা ও মানসিক চাপ (Competition and Mental Stress)
বিজ্ঞাপন মানুষকে ক্রমাগত উচ্চ মান ও উন্নত জীবনযাপন করার ধারণায় প্রবুদ্ধ করে, যা তাদের মধ্যে অবাস্তব প্রত্যাশা সৃষ্টি করে। বিশেষ করে তরুণদের মধ্যে সামাজিক প্রতিযোগিতা বাড়ায়, যেমন—প্রযুক্তি, ফ্যাশন বা লাইফস্টাইলের ক্ষেত্রে। এই প্রতিযোগিতা ব্যক্তির মানসিক চাপ ও হতাশা সৃষ্টি করতে পারে, কারণ তারা নিজেদের পরিস্থিতির সঙ্গে বিজ্ঞাপনগুলোর প্রতিশ্রুতির মিল খুঁজে পায় না।
৩. সামাজিক মূল্যবোধের অবক্ষয় (Erosion of Social Values)
বিজ্ঞাপনে অনেক সময় সঠিক মূল্যবোধের প্রতিফলন ঘটে না, এবং এটি অশ্লীলতা, নারীর অবমাননা, বা ভুল সামাজিক বার্তা প্রচার করতে পারে। কিছু বিজ্ঞাপন প্রলোভন দেখানোর জন্য অশালীন বা অপ্রীতিকর বিষয় তুলে ধরে, যা যুব সমাজে ভুল ধারণা তৈরি করতে পারে এবং সমাজে মূল্যবোধের অবক্ষয় ঘটাতে পারে।
এই কুফলগুলো সমাজের বিভিন্ন স্তরে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে, এবং সেগুলি মোকাবেলা করার জন্য সম্যক সচেতনতা ও সঠিক নীতির প্রয়োজন।