বিজয় গুপ্তর মনসামঙ্গল কাব্যটি কোন সময়ের রচনা বলে সিদ্ধান্ত করা যায়? তাঁর কালজ্ঞাপক শ্লোকটি উল্লেখ করো।

বিজয় গুপ্তর মনসামঙ্গল কাব্যটি কোন সময়ের রচনা বলে সিদ্ধান্ত করা যায়?

বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গল কাব্যটি বাংলা সাহিত্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ রচনা যা ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে রচিত বলে বিশেষজ্ঞরা মনে করেন। এই কাব্যটি বাংলা সাহিত্যের প্রাচীন কাব্যগুলির একটি, এবং এটি মূলত দেবী মনসার পূজা সংক্রান্ত একটি পুরাণকথা।

বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গল কাব্যের সময়কাল নির্ধারণের জন্য বেশ কিছু ঐতিহাসিক ও সাহিত্যিক প্রমাণ রয়েছে। বিজয় গুপ্তের কাব্য রচনার সময়কাল সম্পর্কে সুনির্দিষ্ট তথ্য পাওয়ার জন্য সাধারণভাবে তাঁর কালজ্ঞাপক শ্লোকগুলির ওপর নির্ভর করতে হয়। বিজয় গুপ্ত নিজেই তাঁর কাব্যে কিছু শ্লোক রেখেছেন যা তাঁর সময়কাল নির্দেশ করে।

মনসামঙ্গল কাব্যের কালজ্ঞাপক শ্লোক হলো:

“অন্ত ধনরাজ গুপ্ত পুরাণ সাগর, যাহার পরিচয় বিরল সুবোধ কভি”

এই শ্লোক থেকে বোঝা যায় যে বিজয় গুপ্ত ছিলেন একজন বিশিষ্ট কবি এবং তাঁর সময়কালের ধনরাজ গুপ্তের পরিচিতি ছিল।

এই কাব্যের শ্লোকের মাধ্যমে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য পাওয়া যায়:

  1. ধনরাজ গুপ্তের পরিচয়: শ্লোকটি থেকে জানা যায় যে বিজয় গুপ্ত নিজে ‘ধনরাজ গুপ্ত’ নামক একজন রাজা বা বড় ব্যক্তিত্বের অধীনে ছিলেন। এই তথ্যটি তাঁকে একটি বিশেষ সময়ে আছড়ে দেয় এবং রাজনীতি বা সামরিক ইতিহাসের সাথে সম্পর্কিত হতে পারে।
  2. কাব্য রচনার সময়কাল: বিজয় গুপ্তের সময়কাল প্রমাণিত হয় যখন তাঁকে রাজনীতি, অর্থনীতি বা সমাজের উপর ভিত্তি করে বিশ্লেষণ করা হয়। তাঁর কাব্য রচনার সময়কাল নির্ধারণে সাহিত্যিক বৈশিষ্ট্য এবং অন্যান্য সাংস্কৃতিক সূচকও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

বিজয় গুপ্তের কাব্য রচনার সময়কাল ১৩৫০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে নির্ধারণ করা হয় যেহেতু তখনকার বাংলা সাহিত্যের বৈশিষ্ট্য এবং সমাজের অবস্থা সেই সময়ের সাথে মেলে। তাঁর কাব্য সাধারণত দেবী মনসার পূজার প্রচলন এবং সামাজিক সংস্কৃতি সম্পর্কে নানা ধরনের মূল্যবান তথ্য প্রদান করে।

এর মাধ্যমে বিজয় গুপ্তের মনসামঙ্গল কাব্য বাংলা সাহিত্যের ঐতিহাসিক এবং সাংস্কৃতিক ইতিহাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এবং এটি তাঁর সময়কাল সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা প্রদান করে।

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading