বিশেষ বিদ্যালয়ে শিক্ষা (Education in special schools) বিশেষ বিদ্যালয়ে এবং বৃত্তিমূলক শিক্ষা প্রশিক্ষণ কেন্দ্র:
১৯৮৬ সালে NPE উপদেশ দিয়েছে যে বিভিন্ন বিষয়ের সমন্বয়ের বিশেষ বিদ্যালয় গড়ে তোলা ভাল। যুক্তি এই যে বিভিন্ন অসামর্থ্যযুক্ত শিশুরা একই অঞ্চলে থাকতে পারে। মাতা পিতারা দূরবর্তী অঞ্চলে তাদের শিশুদের শিক্ষার জন্যে পাঠাতে পারবে না কিংবা অনিচ্ছা প্রকাশ করবে। বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ শিক্ষক থাকলে সব ধরনের শিশুদের নিয়ে শিক্ষা দেওয়া, বৃত্তিমূলক শিক্ষক বৃত্তিমূলক শিক্ষার প্রাক্ ও উত্তর কালের কাজের জন্য এবং নানারকম বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের প্রয়োজন মেটাতে পারবে। আরও বলা হয়, যদি কোনবিশেষ অঞ্চলে একই প্রকৃতির বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের সংখ্যা খুব বেশী হয় (যেমন ৬০-৭০) তাহলে ঐ অঞ্চলের জন্য পৃথক বিদ্যালয় গড়া যেতে পারে।
প্রতিটি বিশেষ বিদ্যালয়ে বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণের কেন্দ্র থাকবে। এখানে কাজের জন্য বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে এবং অন্যান্য অত্যধিক মাত্রার বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যদিও স্থানীয় কাজের লভ্যতার উপর জোর দেওয়া তথাপি RCI কে অনুরোধ করা হবে এই প্রশিক্ষণ কেন্দ্রকে স্বীকৃতি দিতে যাতে সারা দেশে প্রশিক্ষণপ্রাপ্তরা কাজ পেতে পারে। ছেলে ও মেয়েদের জন্য পৃথক হোস্টেলের ব্যবস্থা থাকবে। ছেলেদের হোস্টেলে ৪০ জন এবং মেয়েদের হোস্টেলে ২০ জন থাকবে। হোস্টেলগুলো বিশেষ বিদ্যালয়ের এবং বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের ছাত্রদের আনন্দ দেবে। বিশেষ বিদ্যালয় স্থাপন কেন্দ্রের পরিকল্পনা হওয়া উচিত রাজ্য পরিকাঠামো বা স্বেচ্ছাসেবী প্রতিষ্ঠানের মধ্য দিয়ে। এই পরিকল্পনা বাস্তবায়িত হতে পারে। শুরু করার জন্য সব মিলিয়ে অন্তত ৬০ জন বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু থাকতে হবে।
বিশেষ শিক্ষায় শিক্ষক ও অন্যান্য পেশায় নিযুক্ত ব্যক্তি (Teachers of special Education and other professional) বিদ্যালয়সমূহের স্বচ্ছন্দ সাবলীল কাজের জন্য বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশু অনুসারে শিক্ষকদের প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা অবিলম্বে করতে হবে। মানব সম্পদ উন্নয়নমন্ত্রক ও কল্যাণমন্ত্রক Ministry of Welfare, UGC.NCERT এবং Regional colleges of Education. National Institutes of Handi- caps এবং নির্ধারিত বিদ্যালয়ের Special Education Department মারফত এই কাজ করতে পারে। National Institutes তার আঞ্চলিক কেন্দ্রের মারফত Regional Colleges of Education চাকুরীকালীন প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে। শিক্ষক ছাড়াও ৪০০ মনস্তাত্ত্বিক এবং অন্ততপক্ষে ২ জন চিকিৎসক প্রতি জেলায় প্রয়োজন। তাদের কাজ হবে বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মূল্যায়ন ও পুনর্বাসন, সুপারিশ করা হয়। পরামর্শদাতাদের ৪-৬ সপ্তাহের চাকুরী অবস্থায় প্রশিক্ষণ দেওয়া যাতে তারা বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের মূল্যায়ন করতে পারে ও য- নিতে পারে। একইভাবে ২ সপ্তাহের প্রশিক্ষণ পুনর্নবীকরণ ব্যবস্থা থাকবে। উপরন্তু অন্যান্য কর্মী যেমন Physio-therapist, Speech therapist ও অন্যান্য কাজের জন্য অন্তত ৪০০ জন প্রয়োজন। National Institutes and Regional colleges of Education অঞ্চল ভিত্তিতে ২ সপ্তাহের জন্য বৃত্তিমূলক শিক্ষক পুনর্নবীকরণ (Reorientation) প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করতে পারে।
পাঠ্যক্রম (Curriculum):
অক্ষমতার জন্য শিখনের ক্ষেত্রে যে বিশেষ সমস্যা আছে তা বিবেচনা করে এই সব বিদ্যালয়ে পাঠ্যক্রম রূপান্তর করা প্রয়োজন। উদাহরণ স্বরূপ অন্ধ ছাত্রদের বিজ্ঞানের Practical class করার অসুবিধা, বধির শিশুদের একাধিক ভাষা শেখার পাঠক্রম খাপ খাইয়ে দিতে হবে। সুতরাং সতর্কতার প্রয়োজন যাতে ঐ শিশুরা যা শিখতে পারে তা যেন তারা না হারায়।
বিশেষ শিক্ষায় প্রযুক্তির ব্যবহারের ব্যাপারে যথাযথ মনোযোগ দেওয়া উচিৎ। এজন্য সম্পদ কক্ষে শিক্ষার,
যন্ত্রপাতির রূপান্তর, সুবিন্যস্ত করে রাখা এবং পরিবর্তন করা প্রয়োজন। Electronies বিভাগ, HRD মন্ত্রক,
কল্যাণমন্ত্রক ঐ সব জিনিস প্রস্তুতের জন্য সহযোগিতা করতে পারে যাতে এই বিশেষ চাহিদা সম্পন্ন শিশুদের
শেখার সুযোগের উন্নতি ঘটে। যেমন বধিরদের জন্য সম্প্রচার লিপি সহ টি.ভি., ভি.ডি. ও ইত্যাদি। Institutes of Handicap ও NCERT-র উচিত পাঠক্রমের উন্নতি বিধান করে Curriculum guide বই এবং শিক্ষকদের Handbook বিশেষ বিদ্যালয়ে দেওয়া।