প্রিয়ম : দেখলি, আমাদের স্কুলের সামনে এত বড়ো একটা বকুল গাছ কেটে ফেলা হল। শুনলাম ওখানে ফ্ল্যাট বানানো হবে।
সায়ন : আর বলিস না ! মনটা এত খারাপ লাগছে, যে ওদিকে আর তাকাতেই পারছি না। সেই কোন ছোটবেলায় প্রথম স্কুলে আসার দিনটা থেকে গাছটার সঙ্গে বন্ধুত্ব, চেনাশোনা। মনে আছে, ছুটির পরে ওই বিশাল গাছটার নীচে বাঁধানো বেদিটায় চড়ে কত খেলেছি।
প্রিয়ম : সভ্যতার গর্বে উন্মত্ত মানুষ যেন ভুলেই গিয়েছে গাছের অবদান। নগরায়ণের এই হামলে পড়া নেশায় তরাই থেকে সুন্দরবন সর্বত্রই চলেছে অরণ্যনিধনের এই যজ্ঞ।
সায়ন : কেউ একবার অন্তত এটাও ভেবে দেখবে যে, এতে ক্ষতি আখেরে নিজেদেরই। এই ভয়ানক লোভে তো মানুষের নিজের সভ্যতাকেই ধ্বংস করছে। পৃথিবীর গড় তাপমাত্রা বাড়ছে, মেরুপ্রদেশের বরফ গলে যাচ্ছে, বেড়ে যাচ্ছে পৃথিবীর জল স্তর, নষ্ট হচ্ছে জীববৈচিত্র্য- গাছপালা কমে যাওয়ায় অতিবেগুনি রশ্মিও নির্বিরোধে প্রভাব ফেলছে পরিবেশের ওপরে। সব মিলিয়ে নানান অসুখবিসুখের প্রকোপও বেড়েই চলেছে।
প্রিয়ম : শুধু তাই নয়, তুই কি জানিস, বিশেষজ্ঞদের মতে, কোনো দেশের আয়তনের তুলনায় ভূভাগের পরিমাণ যখন ৩৫ শতাংশের নীচে নেমে যাবে, তখনই সেই দেশ বিপর্যয়ের মুখোমুখি হবে। বাংলাাদেশসহ পৃথিবীর বহু দেশই এখন এই সমস্যার সম্মুখীন।
সায়ন : আসলে কী বল তো, ‘একটি গাছ একটি প্রাণ’ এই বাক্যটিকে নিছক ¯েøাগান নয়, জীবনযাপনের অনিবার্য শর্ত করে তুলতে হবে। না ইলে এই ভয়ানক ধ্বংসের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া যাবে না।