ব্যঞ্জনধ্বনির সংজ্ঞা সহ শ্রেণিবিভাগের পরিচয় দিন।

ব্যঞ্জনধ্বনি শব্দের উৎপত্তি “ব্যঞ্জন” ও “ধ্বনি” দুটি শব্দ থেকে।

ব্যঞ্জন (Consonant): বাংলা ভাষায় শব্দের অংশ হিসেবে এমন বর্ণ যা স্বরবর্ণের সাথে যোগযোগ্য নয়, তাদেরকে ব্যঞ্জন বর্ণ বলা হয়। যেমন – ক, খ, গ, ঘ, চ, ছ, জ, ঝ, ট, ঠ, ড, ঢ, ত, থ, দ, ধ, ন, প, ফ, ব, ভ, ম, য, র, ল, শ, ষ, স, হ, র, য়, ওঁ, ক্ষ, ত্র, জ্ঞ ইত্যাদি।

ধ্বনি (Sound): শব্দের সাথে সাথে যে আওয়াজ উত্পন্ন হয়, তা হচ্ছে ধ্বনি।

ব্যঞ্জনধ্বনি হলো এমন ধ্বনি যা ব্যঞ্জন শব্দের সাথে মিলে থাকে এবং শব্দের উচ্চারণে অবদান রয়েছে। ব্যঞ্জনধ্বনি হতে ব্যঞ্জন বর্ণের কোনো স্বরবর্ণের সাথে সম্পর্কিত একটি বা একাধিক আওয়াজ হতে হবে।

ব্যঞ্জনধ্বনির প্রকার:

বাংলা ভাষায় ব্যঞ্জনধ্বনি দুই প্রকারে বিভক্ত হয় – স্বরবর্ণ সংযোজন হলে হয় বিসর্গবর্ণ সংযোজন হলে হয়।

স্বরবর্ণ সংযোজন (Vowel Consonant Combination): এমন ব্যঞ্জনধ্বনি যে স্বরবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণের সংমিলনে হয়, উদাহরণস্বরূপ: খো, গা, মে, তি, নৌ, ইত্যাদি।

বিসর্গবর্ণ সংযোজন (Consonant Consonant Combination): এমন ব্যঞ্জনধ্বনি যে ব্যঞ্জনবর্ণ এবং ব্যঞ্জনবর্ণের সংমিলনে হয়, উদাহরণস্বরূপ: ত্রা, স্থ, চ্ছ, ত্ত, ড্ড, ন্ন, ক্ল, ইত্যাদি।

উদাহরণ:

খো – খ (ব্যঞ্জন) + ো (স্বরবর্ণ)

গা – গ (ব্যঞ্জন) + া (স্বরবর্ণ)

চ্ছ – চ (ব্যঞ্জন) + ছ (ব্যঞ্জন)

ত্রা – ত (ব্যঞ্জন) + র (ব্যঞ্জন) + া (স্বরবর্ণ)

ব্যঞ্জনধ্বনি শব্দের উচ্চারণ মোকাবিলা, কথনমোকাবিলা, ও স্থানমোকাবিলার উচ্চারণ বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। এটি ভাষার সুন্দর ও ভিন্নগুলির সম্পর্কে আমাদের শব্দ শৃঙ্গার করে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading