সংবিধানের ৩৬৮ ধারায় ৩ টি সংবিধান সংশোধনের পদ্ধতি উল্লিখিত হয়েছে। যেমন—
(ক) প্রথম পদ্ধতিটি হল সরকারী বা বেসরকারী বিলের মাধ্যমে সংবিধান সংশোধনের প্রস্তাব সংসদের যে কোন কক্ষে উত্থাপিত হতে হবে। প্রস্তাবটি উভয় কক্ষে পৃথকভাবে মোট সদস্যের অর্ধেক এবং উপস্থিত ও ভোটদানকারী সদস্যের ২% অংশ দ্বারা অনুমোদিত হওয়া প্রয়োজন। তবে এই, অংশকে সংশ্লিষ্ট কক্ষের সদস্যসংখ্যার সংখ্যাগরিষ্ঠের সমান হতে হবে। উভয় কক্ষে প্রস্তাব পাশ হলে রাষ্ট্রপতির সম্মতি লাভ করলেই সংশোধন সম্পূর্ণ হয়।
(খ) প্রথম পদ্ধতিটির মত উভয় কক্ষে পাশ হওয়ার পর প্রস্তাবটি অন্তত অর্ধেক রাজ্য আইনসভার দ্বারা অনুমোদিত হতে হবে। এক্ষেত্রে রাজ্য আইনসভাগুলি বিলের আকারে প্রস্তাবটি গ্রহণ বা প্রত্যাখ্যান করতে পারে, কিন্তু কোন পরিবর্তন করতে পারে না। অর্ধেক রাজ্য আইনসভা কর্তৃক পাশ হলে তা রাষ্ট্রপতির সম্মতির জন্য হয়।
(গ ) সংবিধান সংশোধনের তৃতীয় পদ্ধতিটি অত্যন্ত সরল। এক্ষেত্রে সাধারণ আইন পাশের পদ্ধতিতে সংসদের উভয়কক্ষে সাধারণ সংখ্যাগরিষ্ঠের সমর্থনে সংবিধান সংশোধন করা যায়। তবে প্রথম পদ্ধতিতে যদি দুই কক্ষের মধ্যে মতবিরোধ দেখা দেয় , তবে সংশ্লিষ্ট বিলটি বাতিল হয়ে যাবে।