“তপস্বী ও তরঙ্গিণী” নাটক হলো রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি মহাকাব্য নাটক, যা তিনি ১৯২৬ সালে রচনা করেছেন। এই নাটকে তিনি সাধারণ সমাজ ও মানবজীবনের প্রসারমূলক একটি চিত্রণ করেছেন। নাটকটির মূল আখ্যান সংক্ষেপে নিচে দেওয়া হলো:
“তপস্বী ও তরঙ্গিণী” নাটকের কাহিনী প্রাচীন ভারতীয় সভ্যতা ও তার ধার্মিক পরম্পরার চেতনার চিরকালকে নিয়ে। নাটকের মুখ্য চরিত্র হলো তপস্বী, যে ধ্যান ও তপস্যার মাধ্যমে মনোবল এবং আত্মবিকাশের উদাহরণ স্থপন করতে চেষ্টা করেন। এটি তার আত্মসাক্ষাৎকারের সময়ে তার বিচারে আসা ধার্মিক সিদ্ধান্তগুলির বিকাশের চিত্রও দেখা যায়। এর পাশাপাশি, এক দিন তার শিষ্যা তরঙ্গিণী আসে এবং তার সঙ্গে ধর্ম, দান, এবং মানবিক দারিদ্রজীবনের সমর্থনে আসতে চায়।
তপস্বী এবং তরঙ্গিণীর মধ্যে সৃষ্টি হয় একটি দীর্ঘস্থায়ী দুর্বৃত্তান্ত, যেটি তাদের অভিজ্ঞান এবং বিচারের মাধ্যমে মনোবল এবং আত্মবিকাশ করতে সাহায্য করে। এই নাটকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর তার অদ্ভুত ধার্মিক এবং মানবিক চিন্তাধারার মাধ্যমে মানব জীবনের উদ্দীপনা দেন।
“তপস্বী ও তরঙ্গিণী” নাটকটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ধার্মিক এবং দার্শনিক চিন্তাধারার একটি উদাহরণ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে, এবং এটি আধুনিক বিশ্বের জনপ্রিয় নাটক হিসেবে থাকে।
“তপস্বী ও তরঙ্গিণী” নাটকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর নিজের চিন্তা, আদর্শ, এবং ধার্মিক দৃষ্টিকোণ ব্যক্ত করতে চেয়েছেন। তার মাধ্যমে একটি বিশেষভাবে পৌরাণিক এবং ধার্মিক কাহিনীর মাধ্যমে মনোবল এবং আত্মবিকাশের উপকরণ চিত্রিত হয়েছে।
তপস্বী ও তরঙ্গিণী নাটকে বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন ধার্মিক দৃষ্টিকোণ উপস্থাপন করেন। তপস্বীর চরিত্রের মাধ্যমে তিনি ধ্যান ও তপস্যার মাধ্যমে আত্মবিকাশ এবং আত্মসাক্ষাৎকার এবং সত্যের অনুভূতি প্রকাশ করেছেন। এটি রবীন্দ্রনাথের ধার্মিক মৌল্যবোধ এবং আধুনিক মানবজীবনের প্রতি তার আত্মবিশ্বাস দেখাতে সাহায্য করে। তপস্বী তার আত্মসাক্ষাৎকারের মাধ্যমে পৃথিবীর ভ্রান্তি থেকে মুক্তি পাওয়ার চেষ্টা করে এবং এটি তার সৃষ্টির মূল লক্ষ্য হয়।
তরঙ্গিণী চরিত্রটি রবীন্দ্রনাথের দৃষ্টিকোণে পুরুষ-স্ত্রী সম্বন্ধের নতুন দর্শন বা নতুন ধার্মিক বোধনের প্রতি তার আবেগ প্রকাশ করে। এই চরিত্র একটি সুপরিকলিত ধার্মিক বোধন বা দর্শনের মাধ্যমে মুক্তিপ্রাপ্তির দিকে ধারণা করে এবং তার উদ্দীপনা হয় এক সহজ, সুখী জীবনে।
তপস্বী ও তরঙ্গিণী নাটকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বিভিন্ন ধার্মিক এবং দার্শনিক চিন্তাধারার উপর ভিত্তি করে একটি মহাকাব্য তৈরি করেন, যা ধারণা করে মানব জীবনের নতুন দিকে। এই নাটকটি তার সমৃদ্ধ চিন্তা, ধার্মিক বোধন, এবং মানবিক সম্পর্কের উদাহরণ হিসেবে প্রশংসিত হয়েছে এবং এটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের উপন্যাসের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ।