অথবা, রাজ্যসভা গঠন প্রণালী আলোচনা কর ?
রাজ্যসডার গঠন:
ভারতের কেন্দ্রীয় আইনসভা পার্লামেন্ট বা সংসদ হল একটি দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইন। এর উচ্চকক্ষ বা দ্বিতীয় করেন নাম রাজ্যসভা এবং নিম্নকক্ষের নাম লোকসভা। রাজাসডার গঠনটি একটি ছকের সাহায্যে দেখানো হল-
ভারতের সংবিধানের ৪০ নং ধারায় বলা হয়েছে যে, অনধিক 250 জন সদস্য নিয়ে রাজ্যসভা গঠিত হবে। এর সদস্যদের দু-ভাগে ভাগ করা যায়। যথা-
[1] রাষ্ট্রপতি দ্বারা মনোনীত সদস্য এবং
[2] অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে পরোক্ষভাবে নির্বাচিত সদস্য।
রাজ্যসভায় 12 জন সদস্যকে রাষ্ট্রপতি মনোনয়ন করেন। সাহিত্য, বিজ্ঞান, চারুকলা, সমাজসেবা প্রভৃতি বিষয়ে পুণসম্পন্ন ব্যক্তিদের মধ্য থেকে এইসব সদস্যদের রাষ্ট্রপতি মনোনীত করেন। তবে প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ অনুধরেই তিনি এঁদের মনোনীত করে থাকেন। অঙ্গরাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে 238 জন সদস্য পরোক্ষন্তবে নির্বাচিত হন।
নির্বাচন পদ্ধতি:
প্রতিটি অঙ্গরাজ্যের আইনসভার নির্বাচিত প্রতিনিধিগণ একক হস্তান্তরযোগ্য সমানুপাতিক ভোট পদ্ধতির দ্বারা রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচিত করেন। যেসব রাজ্যে দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভা আছে, সেইসব রাজের আইনসভার উচ্চকক্ষ অর্থাৎ বিধান পরিষদের সদস্যগণ রাজ্যসভার নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন না। বিধানসভায় রাজাপাল একজন ইঙ্গ-ভারতীয় সদস্য মনোনয়ন করেন, এই মনোনীত ইন-ডারতীয় সদস্যও রাজ্যসভার সদস্য নির্বাচনে ভোটাধিকার পান না।
কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে যেসব প্রতিনিধি রাজ্যসভায় আসেন তাঁরা একটি নির্বাচক সংস্থার (Electoral College) দ্বারা নির্বাচিত হন। এই নির্বাচক সংস্থাও একক হস্তান্তরযোগ্য সমানুপাতিক ভোট পদ্ধতির দ্বার রাজ্যসভার সদস্যদের নির্বাচিত করেন। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলি থেকে রাজ্যসভায় সদস্যদের নির্বাচন সম্পর্কিত পদ্ধতি সংসদ আইন করে ঠিক করে দেয়। সংবিধানের ৪4 নং ধারায় রাজ্যসভার সদস্য হতে গেলে কী কাঁ যোগ্যতা থাকা প্রয়োজন তার উল্লেখ করা হয়েছে। বলা হয়েছে যে-
যোগ্যতা:
[1] প্রার্থীকে অবশ্যই ভারতীয় নাগরিক হতে হবে।
(2) প্রার্থীর বয়স হতে হবে কমপক্ষে 30 বছর।
[3] সংসদ অধিনপ্রণয়ন দ্বারা যেসব যোগ্যতা ঠিক করে দেবে প্রার্থীকে সেইসব যোগ্যতার অধিকারী হতে হবে