শব্দালংকারের সৌন্দর্য
শব্দালংকারের সৌন্দর্য নিহিত থাকে শব্দের ধ্বনি, গঠন, এবং পুনরাবৃত্তি-তে। শব্দের সুনিপুণ ব্যবহার, তাল-লয়, ছন্দ এবং ধ্বনির মাধুর্যের মাধ্যমে এটি কাব্যের আবেগ ও সৌন্দর্যকে বহুগুণ বৃদ্ধি করে। শব্দালংকারে ভাবের চেয়ে শব্দের বিন্যাসই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।
শব্দালংকারের সৌন্দর্য উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা
উদাহরণ:
“ছলছল নয়ন, ঝলমল হাসি,
মিলিয়ে যায় মনে, স্মৃতির বাতাসি।“
ব্যাখ্যা:
১. ধ্বনির মাধুর্য: এখানে “ছলছল”, “ঝলমল”, এবং “মিলিয়ে” শব্দগুলোর ধ্বনিগত সাদৃশ্য কবিতার ছন্দবদ্ধতাকে সুন্দর করে তুলেছে।
২. পুনরাবৃত্তি: শব্দের গঠন ও সুরেলা পুনরাবৃত্তি (যেমন “ছলছল” এবং “ঝলমল”) পাঠকের মনে আবেগের সঞ্চার করে।
৩. সঙ্গতি: শব্দের তাল ও লয়ের মাধ্যমে এখানে আবেগ এবং সৌন্দর্যের অভিব্যক্তি ঘটেছে।