‘সুচেতনা’ কবিতায় কবি কীভাবে সু-চেতনাকে আহ্বান করেছেন কবিতা অবলম্বনে বুঝিয়ে দিন।

সুচেতনা’ কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উত্কৃষ্ট কৃতি, যেটি বিভিন্ন মাধ্যমে সোচ্চেতনা বা সত্তা অবলম্বন করার প্রস্তুতি করে। কবিতায় কবি একজন সচ্চেতন মানুষের কাছে সচ্চেতনা এবং বিচার আহ্বান করছেন।

কবিতার শীর্ষক নিয়ে সুচেতনা এবং তার অবলম্বন কে স্থান করতে এই কবিতা ব্যবহার করা হয়েছে। শব্দ ‘সুচেতনা’ শব্দটির সংমিলিত অর্থ হচ্ছে ‘সু’ এবং ‘চেতনা’ অর্থাৎ ‘ভাল বিচারের সচেতন অবস্থা’। এটি একটি প্রবৃদ্ধি, সচেতন জীবনধারা বা চেতনার উন্নয়নের অবস্থা নির্দেশ করতে পারে।

কবিতার মূল বিষয় হলো মানুষ কি ভাবে সত্যের চেতনায় জীবন যাপন করতে পারে তা বোঝায় এবং অনুভূতির মাধ্যমে সত্যের অবলম্বনে এগিয়ে যাওয়ার উপায়। কবিতায় কবি মানুষকে জীবনের অজানা ক্ষেত্রে প্রবৃদ্ধি করতে বলছেন, সত্যের মাধ্যমে জীবনের সব পার্থক্য বুঝতে এবং সচেতন হয়ে তার পথে এগিয়ে যাওয়ার জন্য।

কবিতায় কবি বিভিন্ন চিত্রে বর্ণনা করছেন সুচেতনা বা সত্যের স্থিতির উপায়। এখানে অবলম্বনের মাধ্যমে তিনি সচেতন এবং উন্নত জীবনের দিকে পোকা দিয়ে দেখতে বলছেন, যা সত্যের স্থিতির অবলম্বন করে তার মাধ্যমে মানুষ জীবনের সকল দিকে উন্নত হয়ে যায়।

কবিতার শেষে কবি বলছেন, “সুচেতনা সে যে একক সত্যে প্রাণ করে” – এখানে কবি প্রকাশ করছেন যে, সুচেতনা তার জীবন এবং প্রবৃদ্ধি হতে পারে একমাত্র সত্যের মাধ্যমে। এটি একটি সুন্দর চিত্র তৈরি করে, যেখানে সচ্চেতনা এবং সত্যের অবলম্বন একই সময়ে একটি নতুন জীবন সৃষ্টি করতে পারে।

কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সুচেতনা বা সত্যের অবলম্বন করতে একটি আহ্বান করছেন। তার কবিতায় মানুষকে সত্যের দিকে মুখ করতে এবং সত্য বা সুচেতনা এর মাধ্যমে জীবনের সত্যিকার মূল্যে পৌঁছাতে বলা হয়। তার দৃষ্টিতে, এই সত্যের অবলম্বনেই মানুষ আত্ম-উন্নত হয়, সৃষ্টি হয় নতুন একটি জীবন, এবং সব দুঃখ ও অজানা বিচার থেকে মুক্তি পায়।

কবি মাধ্যমে বলছেন, আমরা জীবনের বিভিন্ন দিকে দৃষ্টি না দিয়ে, বিচারের জন্য প্রস্তুতি না করে, আত্ম-অনুভূতি করতে পারি না। তাই, সুচেতনা অথবা সত্যের অবলম্বন করতে হলে আমাদের মন খোলে রাখতে হবে এবং সত্যের দিকে মুখ করতে হবে।

কবি এখানে একটি উপমান ব্যবহার করেন, যার মাধ্যমে তিনি সত্য অথবা সুচেতনা এর মূল্যবোধ করতে কেমন একটি মাধ্যম বা উপায় প্রদান করেন। কবি বৃষ্টি হিসেবে সুচেতনা বা সত্যের অবলম্বন করছেন। বৃষ্টি যেভাবে পৃথিবীর শোকোলে উন্নত হয়, তেমনি সত্যের অবলম্বনে মানুষ আত্ম-উন্নত হতে পারে।

এই কবিতায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বলছেন, সুচেতনা হলো মানুষকে সত্যের দিকে উত্সাহিত করে, তার জীবন এবং পৃথিবীর মাধ্যমে। সত্য বা সুচেতনা একটি নতুন দিকে, নতুন দৃষ্টিকোণে তাকিয়ে আসতে পারে, এবং এর মাধ্যমে মানুষ আত্ম-উন্নত হয়।

সুচেতনা’ কবিতা রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের একটি উদার এবং সত্যের অবলম্বন করার আহ্বান। এটি মানুষকে আত্মজাগরণে, উন্নত হয়ে উঠার দিকে উৎসাহিত করছে এবং সত্যের অবলম্বনে জীবনের সকল দিকে আগামী যোগাযোগের সাথে দেখা করার চেষ্টা করছে।

Leave a Reply

This site uses Akismet to reduce spam. Learn how your comment data is processed.

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress

Discover more from Online Learning

Subscribe now to keep reading and get access to the full archive.

Continue reading