② সমাজতত্ত্বের সংজ্ঞা দাও।
Ans- এমন যে বিজ্ঞান মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক, তার সাংগঠনিক প্রকাশ, কার্যপ্রক্রিয়া * সমস্যা, সামাজিক বিবর্তন, প্রগতি এবং সামাজিক মূল্যবিচার ও নিয়ন্ত্রণ বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে অনুশীলন ও বিশ্লেষণ করে তাকেই সমাজতত্ত্ব বলে।
③ সমাজতত্ত্বের ব্যুৎপত্তিগত অর্থবিশ্লেষণ করো।
উত্তর সমাজতত্ত্ব শব্দটি এসেছে ইংরেজি Sociology থেকে। এই Sociology শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে যা বোঝা যায় তা হলো-ল্যাটিন শব্দ ‘Socius’ যার অর্থ সমাজ এবং গ্রিক শব্দ ‘Logos’ যার অর্থ বিজ্ঞান। অর্থাৎ সমাজের বিজ্ঞানভিত্তিক পর্যালোচনা যে বিষয় করে থাকে তা-ই হলো সমাজতত্ত্ব।
② সমাজতত্ত্বের প্রবক্তা সম্পর্কে যা জানো লেখো।
উত্তম সমাজতত্ত্বের প্রবস্তা বা জনক হলেন ফরাসি দার্শনিক অগাস্ত কোৎ। তিনি তাঁর প্রথম গ্রন্থ ‘Social Physics’-এ সমাজতত্ত্ব বিষয়ে প্রথম দৃষ্টিপাত করেন। পরবর্তীকালে (1842) তিনি গ্রন্থটির নাম পরিবর্তন করে ‘Positive Philosophy’ করেন এবং সমাজতত্ত্বের বিষয়বস্তু সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
② সমাস্ততত্ত্বকে কি বিঞ্জন বলা যায় ?
Ans- মা অপাস্ত কোং বর্ণিত সমাজতত্ত্বের প্রধান উদ্দেশ্য হলো বিজ্ঞানসম্মতভাবে মানবসমাজের পর্যালোচনা করা এবং সমাজের বিভিন্ন অংশ যেমন- পরিবার, বিবাহ, অক্টীয়তা, ধর্ম ইত্যাদিকে বিচারবিশ্লেষণ করে বিজ্ঞানসম্মতভাবে এর স্বরূপ এ্যাটন করা
② সমাজতত্ত্বের বিষয়বস্তু পর্যালোচনা করো।
Ans- মতন অল্পকথায় সমাজতত্ত্বের বিষয়বস্তু সম্পর্কে মাথা করা অত্যন্ত কঠিন। তার সংক্ষেপে বলা যায়, সমাজতত্ত্ব সামাজিক ঘটনা, সামাজিক প্রতিষ্ঠান, সামাজিক সম্পকের নানাবিধ ভটাজাল, সামাজিক কাঠামো ও কার্যাবলি, মিথস্ক্রিয়া, সামাজিক দ্বন্দু ত্যাদি বিষয়ে গভীর ও বিজ্ঞানসম্মত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে থাকে।
② বিশ্লেষণাতক মতবাদের মূলকথা আলোচনা করো।
সামাজিক সম্পর্কের একটি নির্দিষ্ট দিক নিয়ে সমাজতত্ত্ব আলোচনা করে।
• সামাজিক সম্পর্কের আলোচনা বস্তুনিরপেক্ষ।
• সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের পাবস্পরিক সম্পর্কের বাহ্যরূপ সমাজতত্ত্বে গুরুত্ব পায় এবং সমাজতত্ত্বকে অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞান থেকে সম্পূর্ণ পৃথকভাবে পর্যালোচনা করা হয়ে থাকে।
② সংশ্লেষাত্মক মতবাদের মূলকথা আলোচনা করো।
উত্তম (ক) সমাজতত্ত্ব অন্যান্য সামাজিক বিজ্ঞানের ভিত্তিস্বরূপ।
(খ) সম্পূর্ণ সমাজজীবনের পর্যালোচনাই সমাজতত্ত্বের মূল উদ্দেশ্য।
(গ) সমাজের পারস্পরিক সম্পর্কের অন্তর্নিহিত রূপ এখানে ধরা পড়ে এবং
সমাজতত্ত্বকে একটি পূর্ণাঙ্গ সত্তা হিসাবে প্রদর্শন করে।
বিশ্লেষণাত্মক মতবাদের কয়েকজন পথিকৃতের নাম লেখো।
উত্তর ফিয়ারকান্দ, সিমেল, ম্যাক্সওয়েবার প্রমুখ হলেন বিশ্লেষণাত্মক মতবাদের মূলপ্রবক্তা।
@ সংশ্লেষাত্মক মতবাদের কয়েকজন পথিকৃতের নাম লেখো।
উত্তর অগাস্ত কোৎ, এমিল ডুরখ্যাইম, হবহাসস, সরোকিন প্রমুখ হলেন সংশ্লেষাত্মকমতবাদের মূলপ্রবক্তা।
② বিষয় হিসাবে সমাজতত্ত্বের গুরুত্ব কীরূপ?
উত্তর সমাজতত্ত্বই একমাত্র বিষয় যেখানে মানুষের সঙ্গে মানুসের সামাজিক সম্পর্কের বিজ্ঞানভিত্তিক বিশ্লেষণ করা হয় এবং মানবসমাজের নানাবিধ স্বার্থপ্রণের লক্ষ্যে নিয়োজিত সামাজিক প্রতিষ্ঠানগুলোর ভূমিকা অনুধাবন করা যায়। এছাড়াও মানুষের সাংস্কৃতিক জীবনধারার অনুধাবন, সামাজিক পরিকল্পনা প্রণয়ন, সামাজিক পরিবর্তনের গতিপ্রকৃতি অনুধাবন, সামাজিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে সমাজগঠন ও গোষ্ঠীবদ্ধ মানুষের অবস্থানগত গতিপ্রকৃতির ক্ষেত্রে সমাজতত্ত্ব গুরুত্বপূর্ণ সহায়কের ভূমিকা পালন করে।
③ সমাজবিজ্ঞানের সাথে নৃবিজ্ঞানের সম্পর্ক আলোচনা করো।
উত্তর সমাজবিজ্ঞানের সাথে নৃবিজ্ঞানের নির্বিড় সম্পর্ক বায়ছে। উভয়েই সামাজিক বিজ্ঞানের দু’টি গুরত্বপূণ শাখা। নৃবিজ্ঞান মানুষের পূর্ণাঙ্গা কি নিয়ে আলোচনা করে, তেমনি সমাজতত্ত্ব মানবসমাজের পূর্ণাঙ্গ দিক নিয়ে আলোচনা করে। সমাজতত্ত্বের সাথে সামাজিক-সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞানের গভীর যোগযোগ রয়েছে, বলা যেতে পারে, একটি মুদ্রার
দু’দিকের মতো। সাংস্কৃতিক নৃবিজ্ঞান তার পঠনপাঠন ও গবেষণার ক্ষেত্রে জাতিতত্ত্ব, তুলনামূলক তত্ত্ব, ভাষাতত্ত্ব ইত্যাদির সাহায্য গ্রহণ করে। অন্যদিকে সমাজতত্ত্ব মানবসমাজের সম্পূর্ণ দৃষ্টিভঙ্গি তার বিভিন্ন বিষয়ের সাপেক্ষে আলোচনা করে। যেমন-বিবাহ, পরিবার, ধর্ম, সংস্কৃতি ইত্যাদি।
@ সমাজতত্ত্ব ও নৃতত্ত্বের মধ্যে কয়েকটি পার্থক্য আলোচনা করো।
ANS- সমাজতত্ত্ব ও নৃতত্ত্বের মধ্যে নিবিড় সম্পর্ক থাকা সত্ত্বেও উভয়ের মধ্যে কিছু পার্থক্য লক্ষ করা যায়।
• সমাজতত্ত্বে সাধারণত পরিসংখ্যান, আদমশুমারি, ও প্রশ্নমালার উপর ভিজি করে গবেষণা করা হয়। অন্যদিকে নৃবিজ্ঞানে প্রত্যক্ষ অংশগ্রহণ ও পর্যবেক্ষণের মাধ্যমে গবেষণা করা হয়।• সমাজতত্ত্ব সমাজের কোনো বিশেষ ঘটনাতে পাঠ করে, অন্যদিকে নৃবিজ্ঞান সমাজপাঠে পূর্ণাঙ্গ দৃষ্টিভঙ্গি প্রয়োগ করে।• সমাজতত্ত্ব মানুষের সঙ্গ্যে মানুষের সম্পর্ক নিয়ে আলোনা করে, অন্যদিকে নৃবিজ্ঞান মানুষ সম্পর্কে ভালোচনা করে।
① সমাজতত্ত্বের সঙ্গে ইতিহাসের সম্পর্ক আলোচনা করো।
Ans- এ সমাজতত্ত্ব ও ইতিহাস উত্তয়েই সেনিরি। ইরিয়াতে অরীরের খাঁনাবলি, পর্যায়ক্রমে লিপিবদ্ধ থাকে। সমাজতত্বে লিপিবদ্ধ থাকে মানবসমাজের উৎপত্তি, প্রভৃতি ও ক্রমবিবর্তনধারা প্রভৃতির বিবরণ।• সমাজতত্ত্ব বিতিয় সামজিক সমস্যা সমাধা, সমস্যার শুশ্রুতি ইতাদি নিয়ে আলোচনা করে। ইতিহাস এইসব নিয়ে কাজ করে। উভয়বিষয়ের মধ্যে সম্পর্কের কারণ হলো উভয়শাস্ত্র মানুষের জীবনব্যবস্থা, সমাজ-সদায়া সম্পর্কে আলোচনা করে।• সমাজতত্বের কোনো বিষয় সম্পর্কে সুযাহত আনার্জনের জন্য প্রথানি ইরিয়াস জানতে হয়। অন্যদিকে ইতিহাসের বিষয়বস্তুকে যথার্থ অনুধাবন করতে হলে সমাজতত্ত্বের মৌলিক ধারণাগুলি সম্পর্কে জানতে হয়।
@সমাজতত্ত্বের মতো ইতিহাসের পার্থক্য লেখো।
Ans- সহীত ও বর্তমান উভয়সমাসের আলোচনা করলেও ইতিহাস শুধুমাত্র অতীত সমাজ নিয়ে আধোচন করে। • সমাজ সম্পর্কিত যাবতীয় বিষয় সমাজতত্ত্বের পরিধিভুত্ব। কিন্তু সমাজের সকল বিষয়ই ইতিহাসের পরিধিভুক্ত নয়। ইতিহাসে সমাজের প্রধান বিষয়সমূহকে প্রাধান্য দেওয়া হয়, অন্যদিকে সমাজতত্ত্বে সমাজের সাধারণ ঘটনা এবং সাধারণ মানুষের দ্বারা ঘটিত মানুষের সাথে সংশ্লিষ্ট বিষয়কে তুলে ধরা হয়। • সমাজতত্ব সমাজের ঘটনাবলিকে সামাজিক সম্পর্কের ভিত্তিতে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে কিন্তু ইতিহাস ঘটনাকে বিশ্লেষণ করে সময়ের ভিত্তিতে।
② সমাজতত্ত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের সম্পর্ক লেখো।
Ans- সমাজতত্ত্বের আলোচনার বিবয়বস্তু মানুষ, তাব সমাজ ও তাদের মধ্যে সামাজিক সম্পর্ক। অন্যদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয় সমাজের মানুষ ও তাদের রাষ্ট্রীয় কার্যাবলি। • সমাজতত্ত্ব থেকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভিন্ন উপাদান ও উপকরণ সংগ্রহ করে। তেমনি রাষ্ট্রবিজ্ঞানও বিভিন্ন উপাদানের জোগান দেয়। সমাজতত্ত্বকে বাদ দিয়ে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের আলোচনা অসম্ভব।• সমাজতত্ত্ব ও রাষ্ট্রবিজ্ঞান একে অপরের পরিপূরক। সাধারণ সমাজকাঠামোর অংশ হিসাবে রাষ্ট্রের প্রকৃতি, সংগঠন ও কার্যাবলি সম্পর্কে সমাজতত্ত্ব আলোচনা করো।
② সমাজতত্ত্বের সঙ্গে রাষ্ট্রবিজ্ঞানের পার্থক্য লেখো।
Ans– সমাজতত্ত্ব সমাজের কাঠামো, প্রথা, প্রতিষ্ঠান, সামাজিক পবিবর্তন, সংস্কৃতি প্রভৃতি নিয়ে আলোচনা করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান রাষ্ট্রের উৎপত্তি, সরকারের রূপ ও প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে।• সমাজতত্ত্বের আলোচনার পরিধি রাষ্ট্রবিজ্ঞানের তুলনায় ব্যাপক সমাজতত্ত্ব পূর্ণাঙ্গ সমাজব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করে। অন্যদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান শুধুমাত্র বাষ্ট্রব্যবস্থা নিয়ে আলোচনা করে।• সমাজতত্ত্ব একটি মৌলিক সামাজিক বিজ্ঞান, অন্যদিকে রাষ্ট্রবিজ্ঞান একটি বিশেষীকৃত সামাজিক বিজ্ঞান।
সমাজ কাকে বলে?
Ans- নিতম সমাজ বলতে আমরা বুঝি সামাজিক সম্পর্কের একটি জটিল দল এবং এই সম্পর্কের দ্বারা মানুষ তার সাথীদের সাথে সম্পর্কযুক্ত হয় যা জীবনপ্রবাহের কালক্রম স্বরূপ।সমাজ বন্ড চকান ও নদী ফাও মতন সমাজের বিভিন্নতা নিয়ে সমাজত ভূবিদদের মধ্যে মতসগুল্য এনেছে। ভালে খুব সাধারণভাবে বলতে গেলে সমাজ সাধারণত সাত প্রকার। সল-প্রতীন এফজ, আদিবাসী সমাজ, গ্রামীণ সমাজ, শহুরে সমাজ, শিলসমাজ নিয়োত্তর সমাজ ও ইপের টনিক সমাজ।
সমাজের উপাদানগুলি কী?
উতয় (ক) সমাজে বিভিন্নতার পাশাপাশি অভিন্নতাও।কে (খ) পারস্পরিক সহযোগিতার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। (গ) পারস্পরিক নির্ভরশীলতার পরিবেশ গঠিত হ্যা।(ঘ) প্রাতিষ্ঠানিক ধ্যানধারণার মধ্য দিয়ে সামাজিক শৃঙ্খলাকে রক্ষা করাসমাজের বৈশিষ্ট্যগুলি কী?
উভয় (ক) সমাজ একটি সর্বজনীন সংশ্য। (খ) সমাজ একটি বিশ্বজনীন সংস্থা, পৃথিবীব্যাপী এর অস্তিত্ব রয়েছে। (গ) সমাজ হলো একটি বিমূর্ত ধারণা, যা শুধুমাত্র অনুভব করা যায়। (ঘ) সমাজ একটি ধারাবাহিক এবং প্রাচীনতম সংস্থা।
আদিবাসী সমাজ বলতে কী বোঝো?
উতয় আদিবাসী সমাজ হলো প্রাচীন একটি জনজাতি। তাদের একটি স্বতন্ত্র জীবনধারা, সংস্কৃতি, খাদ্যাভ্যাস, ভাষা রয়েছে এবং তারা কেবল কোনো একটি নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চলেই বসবাস করে। সর্বোপরি সমাজের মূলধারার জীবনবৈচিত্র। থেকে আদিবাসী সমাজ পুরোপুরি আলাদা।
গ্রামীণ সমাজ কাকে বলে?
Snd- অমন পৃথিবীর বিভিন্ন সমাজের মধ্যে গ্রামীণ সমাজ অন্যতম। এটি ১খুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। সাধারণ অর্থে গ্রামীণ সমাজ বলতে বোকায় কৃষিকাজের উপর নির্ভর করে যে সমান গড়ে ওঠে ও বিকাশলায় করে দেই সমাজকে।
নগরসমাজ কাকে বলে?
Ans- শিখকে কে। মরে যে সাব্যস্থা গড়ে ওঠে তাকেই নগরসমাজ বল। তাই সমাজের কিছু উপাদান রয়েছে যেখানে শিল্পনির্ভরতা, জন সেভির ১০৩, ব্যক্তির শরিচয়হীনতা, মিশ্র সংস্কৃতি, উঃত অর্থনীতি, নৈর্ব্যক্তিকতা, কঠোর নিয়ন্ত্রণ, মন্ডিত ব্যপ্তিঃ প্রভৃতি অবস্থান করে:
মিনিটে: শিল্পসমাজ কাকে বলে?
Ans- অমর শিল্পবিপ্লবকে পাথেয় করে বিশ্বজুড়ে যে শিল্পের প্রাদুর্ভাব দেখা দেনা এবং তাকে কেন্দ্র করে যেসকল সমাজ গড়ে উঠেছে তাকেই শিল্পসমাজ বলে।
শিল্পসমাজের দু’টি বৈশিষ্ট্য আলোচনা করো।
Ans- (ক) শ্রমবিভাজননির্ভর সামাজিক কাঠামো। (খ) বিচ্ছিন্নতাবোধের উৎপত্তি। (গ) নারীমুক্তি বা নারীস্বাধীনতা। (ঘ) বিভিন্ন প্রকার সামাজিক ও মানসিক সমস্যার উৎপত্তি।
মুক্তসমাজ কাকে বলে?
Ans- যে সকল সমাজব্যবস্থা জাতিগত বিবিকধনমুক্ত, পরিবর্তনশীলতার অনুগামী, আর্থ-সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক প্রেক্ষাপটে উন্মন্ত ধ্যানধারণাকে পাথেয় করে প্রগতিশীল সমাজের পথে এগিয়ে চলে তাকে মুক্তসমাজ বলে।
মুক্তসমাজের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans- (ক) শিক্ষার উর্ধ্বগতি, (খ) একক পরিবারের প্রাধান্য, (গ) নারীস্বাধীনতা, নারীর অধিকার ও মুক্তি. (ঘ) উন্নত অর্থনৈতিক পরিস্থিতি।
বন্ধসমাজ কাকে বলে?
উত্তর যে সামাজিক পরিস্থিতিতে চিরাচরিত ধর্মীয় মানসিকতা, কৃষিভিত্তিক অর্থনীতি, অশিক্ষা, নারীস্বাধীনতা, দুর্বল যোগাযোগ ব্যবস্থা ও বিজ্ঞান ও কারিগবি দৃষ্টিভঙ্গির অনুপস্থিতি ইত্যাদি লক্ষ করা যায়, তাকেই বন্ধসমাজ বলে। গ্রামীণ সমাজ এই বন্ধসমাজের একটি প্রকৃষ্ট উদাহরণ।
বন্দসমাজের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans- (ক) দুর্বল অর্থনীতি, (খ) কুসংস্কারাচ্ছন্ন মানসিকতা, (গ) ধর্মভীরুতা, সাম্প্রদায়িকতা, (ঘ) অশিক্ষা, অনুন্নত জীবনধারা।
সম্প্রদায় বা সমষ্টি কাকে বলে?
উত্তর সম্প্রদায় বা সমষ্টি হলো এমন একটি অন্তরঙ্গ গোষ্ঠী যারা একই অঞ্চলে বসবাস করে, যার সদস্যদের মধ্যে একাত্মবোধ থাকে। অন্যদের তুলনায় স্বাতন্ত্রতাবোধ গড়ে তোলে এবং সর্বোপরি যেখানে সম্প্রদানের সদস্যদের মধ্যে যাবতীয় সামাজিক উদ্দেশ্য চরিতার্থ হয়।
সম্প্রদায় বা সমষ্টির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
ans- (ক) সম্প্রদায়ের অন্তর্ভুক্ত সদস্যদের মধ্যে সমষ্টিগত মানসিকতা গদে ৫০০।(খ) সম্প্রদায়ের কোনো নির্দিষ্ট ভৌগোলিক অঞ্চল থাকে। (গ) সদস্যদের মধ্যে অভিন্নতাবোধ বিরাজ করে। ঘ) এটি একটি স্থায়ী, বৃহত্তর উদ্দেশ্যভিত্তিক সংগঠন।
সমিতি কাকে বলে?
Ans- সমিতি মানবসমাজের এক বিশেষ সংগঠন যার কতগুলি নির্দিষ্ট উদ্দেশ্য থাকে, যেগুলি সমাজের প্রকৃতির সাথে সামঞ্জস্যবিধান করে অবস্থান করে এবং যার কিছু সাংগাঠনিক বহিঃপ্রকাশ আছে। অতএব বলা যেতে পারে, যখন কিছু সংখ্যক মানুষ কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যসাধনের জন্য একত্রিত হয়ে সংগঠিত রূপধারণ করে এবং সুনির্দিষ্ট কর্মসূচির মাধ্যমে পরিচালনার ব্যবস্থা গড়ে তোলে তাকেই সমিতি বলে।
সমিতির কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
উভয় (ক) সমিতি এক বা একাধিল উদ্দেশ্য নিয়ে গড়ে ওঠে এবং সদস্যদের মধ্যে উদ্দেশ্যগত অভিন্নতা থাকে। (খ) সমিতির নির্দিষ্ট কিছু কর্মসূচি রয়েছে। (গ) সমাজে সমিতির কিছু স্বতন্ত্র সত্তা আছে। (ঘ) পারস্পরিক সহযোগিতা বিরাজ করে।
সম্প্রদায় ও সমিতির পার্থক্য লেখো।
Ans- (ক) সমিতির তুলনায় সম্প্রদায়ের আকৃতি বড়ো। (খ) সম্প্রদায় কোনো নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যভিত্তিক নয় কিন্তু সমিতির কিছু উদ্দেশ্য রয়েছে। (গ) সম্প্রদায় একটি স্বাভাবিক সংগঠন এবং এটি কোনো পরিকল্পনাকে ভিত্তি করে গড়ে ওঠে না। অন্যদিকে সমিতি মানুষের ইচ্ছাকৃত এবং কল্পনাপ্রসূত একটি সংগঠন যেখানে মানুষের প্রবণতা কাজ করে। তাই এটি একটি কৃত্তিম সংগঠন। (ঘ) সম্প্রদায় একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সংস্থা এবং সমিতিকে কখনোই একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ সংস্থা বলা যায় না।
প্রতিষ্ঠান কাকে বলে?
Ans-, সমাজতত্ত্বে প্রতিষ্ঠান শব্দটি ভিন্ন অর্থে ব্যবহৃত হয়। তাই বলা যায় প্রতিষ্ঠান হলো এমন একটি বিধিব্যবস্থা, যেগুলির মাধ্যমে সংঘের অপরিহার্য কার্যাবলির বৈশিষ্ট্যমূলক দিক প্রকাশিত হয়। সুতরাং সামাজিক সংগঠনগলির প্রাত্যহিক কার্যকলাপ কতগুলি সামাজিক রীতিনীতির মাধ্যমে সম্পাদিত হয় এবং এর দ্বারা সদস্যদের পারস্পরিক সম্পর্ক ও আচার আচরণ নিয়ন্ত্রিত হয়। এইরূপে সামাজিক সংগঠনগুলি থেকে সম্পাদিত এই স্থায়ী নিয়মবিধিগুলির বাস্তবায়নের পরিপ্রেক্ষিতে প্রতিষ্ঠান গড়ে ওঠে।
প্রতিষ্ঠানের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
Ans- (ক) প্রতিষ্ঠান মানুষের প্রাথমিক প্রয়োজনগুলি চরিতার্থ করে। (খ) সমাজে বসবাসকারী মানুষের পারস্পরিক সম্পর্ক ও আচার-আচরণের অন্যতম নিয়ন্ত্রকের ভূমিকা পালন করে। (গ) সামাজিক নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমগুলির মধ্যে এটি অধিকতর স্থায়ী। (ঘ) প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে জড়িত রীতিনীতিগুলিকে মানুষ বাধ্যতামূলকভাবে মেনে চলে।
সমিতি ও প্রতিষ্ঠানের মধ্যে দু’টি পার্থক্য লেখো।
উত্তর (ক) সমিতি হলো একটি সংগঠিত ও পরিকাঠামোভিত্তিক সংস্থা, অন্যদিকে সমিতি যেসকল রীতিনীতি দ্বারা পরিচালিত হয় তাকে প্রতিষ্ঠান বলে। (খ) সমিতির সংখ্যা প্রতিষ্ঠানের তুলনায় অধিক। (গ) সমাজের অভ্যন্তরে অবস্থিত সমিতিগুলি পরস্পর নির্ভরশীল কিন্তু প্রতিষ্ঠানগুলি সেভাবে একে অপরের উপর নির্ভরশীল নয়।
প্রতিষ্ঠান কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর প্রতিষ্ঠান আট প্রকার। এগুলি হলো যথাক্রমে বিবাহ, পরিবার, আত্মীয়তা, অর্থনৈতিক প্রতিষ্ঠান, রাজনীতি, ধর্ম, শিক্ষা ও গণমাধ্যম!
② সংস্কৃতি কাকে বলে?
উত্তর ইংরেজি Culture’ শব্দটি এসেছে ল্যাটিন শব্দ ‘Colere’ থেকে যার অর্থ কর্ষণ করা। একে আবার অনেক সমাজতত্ত্ববিদ কৃষ্টিও বলে থাকেন। যে প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে মানুষের শিক্ষাদীক্ষা, আচার-আচরণ, রীতিনীতি মার্জিতরূপ লাভ করে তাকে সংস্কৃতি বলে।
সংস্কৃতি কত প্রকার ও কী কী?
উত্তর সংস্কৃতি দুই প্রকার। যথা-বস্তুগত সংস্কৃতি ও অবস্তুগত সংস্কৃতি।
সংস্কৃতির বৈশিষ্ট্য লেখো।
উত্তর ও সংস্কৃতি কোনো জন্মগত বিষয় নয়, এটি শিক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত একটি বিষয়। মানুষ সমাজের মধ্যেই সংস্কৃতিকে আয়ত্ত করে। যেমন-নমস্কার করা বা প্রতিনমস্কার করা বিষয়টি মানুষের সহজাত নয়, শিক্ষার মাধ্যমে প্রাপ্ত বিষয়।
• সংস্কৃতি বিষয়টি সামাজিক, ব্যক্তিগত নয়। সামাজিক সম্পর্কের পরিপ্রেক্ষিতেই। এর উদ্ভব ও বিকাশ ঘটে তথা ব্যক্তি তার মানবিক বৈশিষ্ট্যকে ফুটিয়ে তোলে।
• সংস্কৃতি একটি প্রবহমান বিষয়। এটি এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে প্রবাহিত হয়ে থাকে। এটি প্রথা, ভাষা প্রভৃতি বাহনের মাধ্যমে অনুকরণ, অনুসরণ, নির্দেশ পালন প্রভৃতি পদ্ধতির মাধ্যমে প্রজন্ম থেকে প্রজন্মে প্রবাহিত হয়।
বস্তুগত সংস্কৃতি কাকে বলে?
Ans- মানুষের সংস্কৃতি যখন বাস্তবরূপে ধারণ করে অর্থাৎ তার মানসিক ধারণা, মূল্যবোধ প্রভৃতি যখন বাস্তব উপাদানসমূহের মাধ্যমে ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য হয়ে ওঠে, তখন তাকে বস্তুগত সংস্কৃতি বলা হয়। অতএব বলা যায়, বস্তুগত সংস্কৃতি ইন্দ্রিয়গ্রাহ্য, দৃষ্টিগ্রাহ্য ও সহজে উপলব্ধিযোগ্য। সংস্কৃতির এই প্রকারটি সমাজের সদস্যদের যা আছে এবং যা কিছু তারা ব্যবহার করে তার সবকিছুর অন্তর্ভুক্ত।
অবস্তুগত সংস্কৃতি কাকে বলে?
Ans- গিতায় সাধারণভাবে সংস্কৃতির যেসকল উপাদান ধরাছোঁয়ার বাইরে, বাহ্যিক অস্তিত্বহীন এবং পরিমাপযোগ্য নয়, তাকে অবস্তুগত সংস্কৃতি বলে। মানবসংস্কৃতির অন্তর্ভুক্ত কতগুলি উপাদান সমাজস্থ ব্যক্তিবর্গের আদর্শ, বিশ্বাস ধ্যানধারণা ইত্যাদি মানসিক অনুভূতি নির্দেশ করে থাকে। যেমন-সাহিত্য, সংগীত, নাটক, শিল্পকলা ইত্যাদি।
উপ-সংস্কৃতি কাকে বলে?
Ans- একটি বৃহত্তর সমাজব্যবস্থার মধ্যে প্রধান একটি সংস্কৃতি বর্তমান। আবার ঐ বৃহত্তর সমাজব্যবস্থার, মধ্যে ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র গোষ্ঠী বা সংগঠনের নিজস্ব বা স্বতন্ত্র যে সংস্কৃতি দেখা যায় তা হলো উপ-সংস্কৃতি। যেমন-ভারতীয় সংস্কৃতিতে বিভিন্ন রাজ্যের অধিবাসীদের নিজস্ব ভাষা, আচার, খাদ্যাভ্যাস, পোশাক-পরিচ্ছদ প্রভৃতি।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে?
ANS- যে পন্থা বা পদ্ধতি সমাজের সদস্যদের অসংযত ও সমাজবিরোধী আচরণ, কুপ্রবৃত্তি দমন করে এবং সামাজিক সংহতি ও শৃঙ্খলাবোধ জাগিয়ে তুলে সমাজকে সুসংহত করে তোলে ঈপ্সিত লক্ষ্যের দিকে এগিয়ে নিয়ে নিতে সাহায্য করে, তাকেই। সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বলে।ও সামাজিক নিয়ন্ত্রণের প্রধান বাহনসমূহের নাম উল্লেখ করো।এমন সামাজিক নিয়ন্ত্রণের বাহনসমূহের মধ্যে প্রধান হলো রাষ্ট্র, আইন, ধর্ম, পরিবার, শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, সামাজিক নীতিমালা, শিল্পকলা ও সাহিত্য, আচার-অনুষ্ঠান, জনমত, লোকভয় ইত্যাদি।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণ কত প্রকার ও কী কী?
ANS- ১০ম সামাজিক নিয়ন্ত্রণ সাধারণত দুই ধরনের হয়। বিধিবদ্ধ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ও অবিধিবদ্ধ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ।
বিধিবদ্ধ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে?
ANS- চা বিধিবদ্ধ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বলতে বোঝানো হয় রাষ্ট্র দ্বারা প্রণীত আনুষ্ঠানিক বিভিন্ন আইনকানুন। উদাহরণ হিসাবে বলা যায়-পুলিশ প্রশাসন, আদালত ইত্যাদি।
অবিধিবদ্ধ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ কাকে বলে?
ANS- ১৩ অবিধিবদ্ধ সামাজিক নিয়ন্ত্রণ বলতে সুসংহত সমাজজীবনের স্বার্থে প্রচলিত নিয়মনীতিকে বোঝানো হয়। উদাহরণস্বরূপ বলা যেতে পারে, সমাজস্বীকৃত লোকাচার, লোকনীতি, পরিবার এবং ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কথা।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণের কয়েকটি বৈশিষ্ট্য লেখো।
ANS- সামাজিক নিয়ন্ত্রণ নির্দিষ্ট উদ্দেশ্যভিত্তিক হয়ে থাকে।
• সামাজিক নিয়ন্ত্রণ ব্যক্তির তুলনায় গোষ্ঠীকে বেশি প্রভাবিত করে থাকে।
• সামাজিক নিয়ন্ত্রণ সহজাত এবং স্বাভাবিক।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে পরিবারের ভূমিকা কী?
ANS- মন্ত্র পরিবারে ব্যক্তি শৃঙ্খলা ও দায়িত্ব-কর্তব্য সম্পর্কে শিক্ষা পায়। বস্তুত, ভালো-মন্দ, ন্যায়-অন্যায়, সৎ-অসৎ ইত্যাদি বিষয় পরিবার নামক প্রতিষ্ঠানেই শিক্ষা দেওয়া হয়ে থাকে। সেই কারণেই সামাজিক নিয়ন্ত্রণে পরিবারের গুরুত্ব অপরিসীম।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে ধর্মের ভূমিকা লেখো।
ANS- ভিতর ধর্ম সমাজ নিয়ন্ত্রণের একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার। ধর্মীয় মূল্যবোধ মানুষের আচরণ ও কার্যাবলিকে নিয়ন্ত্রণ করে। আদিকাল থেকেই ধর্মের মাধ্যমে সমাজ নিয়ন্ত্রিত হয়ে আসছে। ধর্মের নিয়মকানুন অনুযায়ী সমাজে অপরাধীদের শাস্তি প্রদান করা হয়। ফলে সামাজিক অপরাধ সৃষ্টি হতে পারে না। তাই ধর্ম হলো সমাজের অন্যতম নিয়ন্ত্রক।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে শিক্ষার ভূমিকা কী?
ANS- সামাজিক নিয়ন্ত্রণের অন্যতম চাবিকাঠি হলো শিক্ষা। সমাজে ব্যক্তিগত আদর্শ গড়ে তুলতে শিক্ষার প্রয়োজন অনস্বীকার্য। শিক্ষা ব্যক্তির আদর্শগত চেতনা, দায়িত্ব ও কর্তব্যবোধ সৃষ্টি করে। উচ্ছৃঙ্খল জীবন থেকে শৃঙ্খলায় ব্যক্তিকে ফিরিয়ে আনে শিক্ষা। কারণ শিক্ষা মানুষকে নানারকম কুসংস্কার থেকে মুক্ত করে।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে আইনের ভূমিকা কী ?
ANS- আইন জনসাধারণকে অসামাজিক বা সমাজবিরোধী কাজকর্ম করা থেকে বিরত থাকতে আবেদন জানায়। আইনবিরোধী কাজ করা থেকে বিরত থাকা এবং আইন অনুযায়ী কর্তব্যপালন করে যাওয়াই হলো আইনের শিক্ষা। সামাজিক নিয়ন্ত্রণে আইন তাই গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমের ভূমিকা উল্লেখ করো।
উত্তর সমাজনিয়ন্ত্রণে গণমাধ্যমগুলোর ভূমিকা অপরিসীম। গণমাধ্যম সমাজের গলদ, অন্ধবিশ্বাস, অনিয়ম ইত্যাদি সম্পর্কে জনগণকে সচেতন করে তোলে এবং সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করে। বেতার, পত্রপত্রিকা, টেলিভিশন, ছায়াছবি ইত্যাদি গণমাধ্যমে ভূমিকা এই প্রসঙ্গে উল্লেখ করা যায়। গণমাধ্যমের বলিষ্ঠ সতর্কবাণী ও ভূমিকা বিপথগামী মানুষকে রক্ষা করে।
সামাজিক নিয়ন্ত্রণে সামাজিকীকরণের ভূমিকা লেখো।
ANS- সুস্থ সামাজিকীকরণ সামাজিক নিয়ন্ত্রণকে ত্বরান্বিত করে। যদি কোনো ব্যক্তির উপর সামাজিকীকরণের প্রভাব যথাযথভাবে প্রকাশিত হয়, তাহলে সামাজিক নিয়ন্ত্রণ যথাযথ হয়, ত্বরান্বিত হয়। সুস্থ সামাজিকীকরণের ফলে ব্যক্তি নিজেকে সংযত রাখে এবং দায়িত্বশীল হয়, বৃহত্তর সমাজের কথা ভেবে ব্যক্তিস্বার্থ ক্ষুদ্রস্বার্থে রূপান্তরিত হয়।