সুবর্ণলতা উপন্যাসের নামকরণ ও সার্থকতা

সুবর্ণলতাকে শুধু একজন গৃহিনীর জীবনকাহিনী বললে ভুল বলা হবে, সুবর্ণ প্রতিনিধিত্ব করে একটি নির্দিষ্ট কালের। এটা সেই সময়ের গল্প, যখন ‘মেয়েমানুষের’ পড়াশোনা করতে চাওয়ার ইচ্ছেকে ধরা হতো মহাপাপের সমান। ন’বছর বয়সে বিয়ে হওয়া সুবর্ণ কতোটা পেরেছিলো সব বাঁধা পেরিয়ে এগোতে? সে কি নিজের আলোয় উজ্বলতা ছড়াতে পেরেছিলো, নাকি দৈনন্দিন চাল-ডাল আর তেল-মসলার ফর্দতে হেঁশেলের দরজার … বিস্তারিত পড়ুন

সুবর্ণলতা উপন্যাসের নারীদের সম্পর্কে আলোচনা কর

সমাজ সংসারে যা কিছু পুরনো তা’তেই আমরা ইতিহাস খুঁজি….সেই খোঁজের ভিতর দিয়ে জন্ম নেয় আগ্রহ, সেই আগ্রহ যখন রসদ হয়ে ইতিহাসের কবর খুঁড়ে সাহিত্য উঠে আসে তখন তা হয়ে উঠে কালজয়ী —তবে সাহিত্যের হাতধরে ইতিহাস সৃষ্টি হয় এ ভাবনা ঠিক নয়, ঠিক এর উল্টো, তা আগেই বলেছি বিশ্বশান্তি স্থাপনে নারীর অগ্রগতি বা অগ্রগামী ভূমিকা ইতিহাসে … বিস্তারিত পড়ুন

“আবার আসিব ফিরে’ কবিতায় কবি জীবনানন্দ দাশের অন্তর্মানসের যে পরিচয় পাওয়া যায় তার স্বরূপ উদ্ঘাটিত করো। 

কবিতার মূলভাব : বাংলার বৈচিত্র্যময় প্রকৃতি হাজার হাজার মানুষের মন ভরে দেয়। বাংলাদেশ নদীমাতৃক দেশ। বাংলাদেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য অন্য যে কোন দেশের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য থেকে আলাদা। নদীমাতৃক বাংলাদেশের দুই পাশে শস্যক্ষেত্র, বাতাসে পাকা ধানের গন্ধ, শীতের কুয়াশা, শিমুলের ডালে বসে লক্ষ্মীপেঞ্চা, উঠোনের ঘাসে ধান ছড়িয়ে ছিটিয়ে থাকা শিশুরা, কিশোররা নদীর কর্দমাক্ত পালের মধ্যে সাঁতার কাটছে … বিস্তারিত পড়ুন

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সাধারণ মেয়ে’ কবিতার মূলভাবটি পরিস্ফুট করো।সাধারণ মেয়ে কবিতার বিষয়বস্তু

রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের “সাধারণ মেয়ে’ কবিতার মূলভাবটি পরিস্ফুট করো

উনিশ শতকে বাংলা কবিতায় আধুনিকতার সূত্রপাত ঘটেছে কবি ঈশ্বরগুপ্তের হাত ধরে – এই মত কী সমর্থনযোগ্য বলে মনে হয় তোমার উত্তরের সপক্ষে যুক্তিগুলি সাজাও।

বাংলা সাহিত্যে আধুনিকতা নিয়ে আলোচনা করার সময় দুটি যুগ আছে যা সহজেই মনে আসে। ফলস্বরূপ, সামনের পরিকল্পনা করা গুরুত্বপূর্ণ। সাহিত্য পণ্ডিতদের মতে 19 শতকে বাংলা সাহিত্যে প্রথম আধুনিকতার আবির্ভাব ঘটে এবং এটি নবজাগরণের সাথে মিলে যায়। এটি এমন কিছু যা সবাই সচেতন। বাংলা সাহিত্যে মধুসূদন দত্ত নবজাগরণের প্রথম পুরোহিত। শিবনারায়ণ রায় মহাশয়ের মতে, তিনি শুধু … বিস্তারিত পড়ুন

বৌদ্ধ সহজিয়া সাধনতত্ত্ব হলেও চর্যাগীতিতে বাস্তব সমাজ-জীবনের পরিচয় মুদ্রিত।- আলোচনা করো।

‘সহজ’ শব্দের আরেকটি অর্থ হলো যা মানুষের স্বভাবের অনুকূল, আর যা প্রতিকূল তা বক্র। এ অর্থে মনুষ্য-স্বভাবকে সম্পূর্ণ উপেক্ষা না করে বরং স্বভাবের অনুকূল পথে আত্মোপলব্ধির চেষ্টা করাই সহজিয়ামতের লক্ষ্য। সহজিয়াদের বিশ্বাস, সাধনার যিনি লক্ষ্য তিনি জ্ঞানস্বরূপ; তাঁর অবস্থান দেহের মধ্যে, দেহের বাইরে নয়। সুতরাং দেহকে বাদ দিয়ে তাঁকে পাওয়া যায় না। তাঁকে যুক্তিতর্ক বা গ্রন্থপাঠেও জানা যায় না, জানা যায় … বিস্তারিত পড়ুন

চৈতন্যোত্তর বৈষ্ণব পদকর্তা গোবিন্দ দাসের পদের বিষয়বস্তু ও কাব্যসৌন্দর্য আলোচনা করে দেখাও তাঁকে কেন ‘দ্বিতীয় বিদ্যাপতি বলা হয়।

চৈতন্যোত্তর বৈষ্ণব পদাবলি সাহিত্যের শ্রেষ্ঠ পদকর্তা গোবিন্দদাস কবিরাজ। ষোড়শ শতাব্দীর বাংলা সাহিত্যের সর্বশ্রেষ্ঠ প্রতিভা বলা চলে একাধারে সাধক, ভক্ত ও রূপদক্ষ এই কবিকেই। যৌবনের প্রান্তসীমায় উপনীত হয়ে বৈষ্ণবধর্মে দীক্ষিত হন গোবিন্দদাস। অতঃপর রূপ গোস্বামীর উজ্জ্বলনীলমণি আয়ত্ত্ব করে বৈষ্ণব রসশাস্ত্র অনুসারে রচনা করতে থাকেন রাধাকৃষ্ণ-লীলা ও চৈতন্য-লীলার পদাবলি। তাঁকে বলা হয় বিদ্যাপতির ভাবশিষ্য।  জন্মস্থান : পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান … বিস্তারিত পড়ুন

মধ্যযুগের বাংলা সাহিত্যে ময়মনসিংহ গীতিকার স্বাতন্ত্র্য নির্দেশ করো।

আমরা বাংলাদেশের মানুষরা খানিকটা গান পাগলা! আমাদের দেশের আনাচে কানাচে কত ধরনের গান যে ছড়িয়ে আছে, এইসব গানে আছে গল্প, আছে চটুলতা, গভীরতা, আবার অতলস্পর্সী স্তব্ধতা। আনন্দ উৎসবে গানের একটা বিরাট ভূমিকা থাকে। আছে সুখের গান, দুঃখের গান, আনন্দের গান… কাজে ব্যস্ত থাকা মানুষও কাজের ফাঁকে ফাঁকে গান গেয়ে আনন্দ পায়। মাঝি নৌকা বাইতে বাইতে … বিস্তারিত পড়ুন

অষ্টাদশ শতাধির সামাজিক পটভূমিকায় রচিত ভারতচন্দ্রের সৃষ্টিতে ওই শতাব্দীর প্রভাব কতটা পড়েছে  আলোচনা কর ?

যে সকল অসাধারণ প্রতিভাধর কবি-সাহিত্যিকদের হাত ধরে বাংলা ভাষা ও সাহিত্য আজ এত উন্নত ও সমৃদ্ধ হয়ে উঠেছে, তাদের মধ্যে নিঃসন্দেহে ‘ভারতচন্দ্র রায়’ নামটি বিশেষভাবে স্মর্তব্য। ভারতচন্দ্র রায় তাঁর অসাধারণ লেখনী ও কাব্যপ্রতিভাগুণে হয়ে উঠেছেন বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের অন্যতম শ্রেষ্ঠ কবি। তাঁর মৃত্যুর মধ্য দিয়ে বাংলা সাহিত্যের মধ্যযুগের পরিসমাপ্তি ঘটে। তিনি এমনই মহান এক কবি, … বিস্তারিত পড়ুন

ধর্মমঙ্গল কাব্যকে কেন রাঢ়ের জাতীয় মহাকাব্য বলা হয় ? ঘনরাম চক্রবর্তীর ধর্মমঙ্গল কাব্য আলোচনা করে এই মন্তেব্যের যোক্তিকতা প্রমান করো ? 

উত্তরঃ- ধর্মমঙ্গলকে রাঢ়ের জাতীয় কাব্য বলার কারণঃ– ১.রাঢ় বাংলার ইতিহাস-সমাজ-সংস্কৃতির আলেখ্য নির্মাণ। ২.লাউসেনের মতো জাতীয় বীর চরিত্র নির্মাণ। ৩.স্বর্গ ও মর্ত্যের কাহিনিবৃত্ত রচনা। ৪. মহাকাব্যিক বিশালতা, চরিত্রের মহত্ব,আদর্শ ও ধর্মের জয়,অধর্মের পরাজয় প্রভৃতি মহাকাব্যিক পরিবেশ রচনা করেছেন বলে মধ্যযুগীয় মঙ্গলকাব্য ধারায় ধর্মমঙ্গল কাব্যখানি বিশিষ্ট স্থানের অধিকারী এবং স্ব-মহিমায় উজ্জ্বল। ফেলারাম চক্রবর্তী এই আখ্যান কাব্যকে ‘গৌড়কাব্য’ হিসাবে আখ্যাত করলেও কথাটা নানা দিক … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress