(ক) কবি কৃত্তিবাস ওঝা কোথায় জন্মগ্রহণ করেন? তাঁর বই-এর নাম কী?
কবি কৃত্তিবাস ওঝা পশ্চিমবঙ্গের নদীয়া জেলার ফুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলায় মহাকবি রামায়ণ অনুবাদ করেছিলেন, যা “কৃত্তিবাসী রামায়ণ” নামে পরিচিত। এটি বাংলা সাহিত্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ কাব্যগ্রন্থ হিসেবে স্বীকৃত।
(খ) বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যজীবনী কাব্যটির নাম লেখো। কাব্যটি ক’টি খণ্ডে বিভক্ত?
বৃন্দাবন দাসের চৈতন্যজীবনী কাব্যটির নাম “চৈতন্য ভাগবত”। এই কাব্যটি তিনটি খণ্ডে বিভক্ত: আদিখণ্ড, মধ্যখণ্ড, ও অন্ত্যখণ্ড। এটি শ্রী চৈতন্য মহাপ্রভুর জীবন ও লীলাকে কেন্দ্র করে রচিত একটি গুরুত্বপূর্ণ বৈষ্ণব কাব্য।
(গ) বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে ক’টি যুগে ভাগ করা যায়? মধ্যযুগের সময়সীমা নির্দেশ করো।
বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসকে প্রধানত পাঁচটি যুগে ভাগ করা যায়: প্রাচীন যুগ, মধ্যযুগ, আধুনিক যুগ, রবীন্দ্র-পরবর্তী যুগ, এবং সমকালীন যুগ। মধ্যযুগের সময়সীমা হলো ১৩৫০ সাল থেকে ১৮০০ সাল পর্যন্ত। এই যুগে ধর্মীয় ও পীর-সাহিত্য, মহাকাব্য, এবং বৈষ্ণব পদাবলী রচিত হয়েছিল।
(ঘ) পূর্ববঙ্গের বিখ্যাত একজন মনসামঙ্গল কাব্যের কবির নাম লেখো। তাঁর কাব্যের নাম কী?
পূর্ববঙ্গের বিখ্যাত মনসামঙ্গল কাব্যের কবি বিজয় গুপ্ত। তাঁর রচিত কাব্যের নাম “পদ্মাপুরাণ” বা “মনসামঙ্গল”। এই কাব্যে দেবী মনসার মাহাত্ম্য ও মনসার প্রতি ভক্তির কাহিনি বর্ণিত হয়েছে। এটি বাংলা সাহিত্যের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গলকাব্য।
(ঙ) চৈতন্য-পূর্ব যুগের দু’জন বৈষ্ণব কবির নাম লেখো।
চৈতন্য-পূর্ব যুগের দু’জন বৈষ্ণব কবি হলেন:
১. জয়দেব ২. বিদ্যাপতি
এই কবিরা বৈষ্ণব সাহিত্য ও ভক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
(চ) আরাকান রাজসভার দু’জন কবির নাম লেখো। উভয় কবির একটি করে কাব্যের নাম লেখো।
আরাকান রাজসভার দু’জন বিখ্যাত কবি হলেন দৌলত কাজী এবং আলাওল। দৌলত কাজীর বিখ্যাত কাব্যের নাম “সতী ময়না ও লোর চন্দ্রানী”। আলাওলের বিখ্যাত কাব্যের নাম “পদ্মাবতী”। উভয় কবি বাংলা সাহিত্যে তাদের অবদানের জন্য বিখ্যাত।
(ছ) মালাধর বসু কোন কাব্যের অনুবাদ করেছিলেন? তাঁর কাব্যের নাম কী?
মালাধর বসু “শ্রীকৃষ্ণবিজয়” কাব্যের অনুবাদ করেছিলেন। এই কাব্যটি মূলত সংস্কৃত থেকে বাংলা ভাষায় অনুবাদ করা হয় এবং এটি ভগবান শ্রীকৃষ্ণের জীবনের বিভিন্ন ঘটনা ও লীলাকে কেন্দ্র করে রচিত।
(জ) ভারতচন্দ্রের উপাধি কী ছিল? তিনি কোন রাজসভার কবি ছিলেন?
ভারতচন্দ্রের উপাধি ছিল “রায়গুণাকর”। তিনি নদীয়া জেলার কৃষ্ণনগরের রাজা কৃষ্ণচন্দ্র রায়ের রাজসভার কবি ছিলেন।