চৈতন্য জীবনী হিসেবে বৃন্দাবন দাসের পরিচয় দাও।

চৈতন্যজীবনসাহিত্য রূপে বৃন্দাবন দাসের চৈতন্য ভাগবত কাব্যটির বিশিষ্ঠতার পরিচয় দাও ANS:-  চৈতন্য মহাপ্রভুর অন্যতম পার্ষদ শ্রীবাসের ভ্রাতুষ্পুত্রী নারায়ণীর পুত্র হলেন বৃন্দাবন দাস। গ্রন্থমধ্যে বৃন্দাবন পিতার নাম কোথাও উল্লেখ না করলেও মাতা নারায়ণীর পরিচয় দিয়েছেন। বৃন্দাবনের জন্মকথা অনেকটা রহস্যাচ্ছন্ন। মনে করা হয় কবির জন্ম বর্ধমান জেলার দেনুর গ্রামে । বৃন্দাবন দাসের জন্মসন নিয়ে পন্ডিতদের মধ্যে মতভেদ … বিস্তারিত পড়ুন

‘সধবার একাদশী’ কে রচনা করেন ? এটি কোন শ্রেণীর নাটক ? এই নাটকের নায়কের নাম কী ?

এ নাটকটি তিনি বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায়কে উৎসর্গ করেন। দীনবন্ধু মিত্র-এর দুটি উৎকৃষ্ট প্রহসন হলো সধবার একাদশী ও বিয়ে পাগলা বুড়ো। ইংরেজি শিক্ষিত নব্য যুবকদের মদ্যপান ও বারবণিতাকে উপহাস করে রচিত প্রহসন ‘সধবার একাদশী।

বাংলা গীতিকবিতার ধারায় কাকে ‘ভোরের পাখি’ বলা হয় ? তাঁর দুটি কাব্যগ্রন্থের নাম বল।

বিহারীলাল চক্রবর্তী (২১ মে, ১৮৩৫ – ২৪ মে, ১৮৯৪) বাংলা ভাষার কবি। বাংলা সাহিত্যের প্রথম গীতি-কবি হিসেবে তিনি সুপরিচিত। রবীন্দ্রনাথ তাকে বাঙলা গীতি কাব্য-ধারার ‘ভোরের পাখি‘ বলে আখ্যায়িত করেন। তার সব কাব্যই বিশুদ্ধ গীতিকাব্য।

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের তিনজন পণ্ডিতের নাম ও তাঁদের রচিত একটি করে গ্রন্থের নাম লেখ।

এঁরা ছাড়াও ফোর্ট উইলিয়াম কলেজের লেখকদের মধ্যে উল্লেখযােগ্য ছিলেন- গােলােকনাথ শর্মা: ‘হিতােপদেশ’ (১৮০২); তারিণীচরণ মিত্র: ‘ঈশপের গল্প’ (১৮০৩); রাজীবলােচন মুখােপাধ্যায়: ‘মহারাজ কৃষ্ণচন্দ্র রায়স্য চরিত্রং’ (১৮০৫); চণ্ডীচরণ মুনসি: ‘তোতা ইতিহাস’ (১৮০৫); হরপ্রসাদ রায়: ‘পুরুষপরীক্ষা’ (১৮১৫); কাশীনাথ তর্কপঞ্চানন: ‘পদার্থ

উদাহরণসহ অর্দ্ধতৎসম শব্দ কাকে বলে বুঝিয়ে দাও।

অর্ধ-তৎসম শব্দ: যে-সব সংস্কৃত শব্দ কিছুটা পরিবর্তিত হয়ে বাংলা ভাষায় গৃহীত হয়েছে সেগুলোকে বলা হয় অর্ধ-তৎসম শব্দ। যেমনঃ জ্যোৎস্না˂>জ্যোছনা, শ্রাদ্ধ >ছেরাদ্দ, গৃহিণী˂>গিন্নি, বৈষ্ণব˂>বোষ্টম, কুৎসিত >কুচ্ছিত।

অপিনিহিতি কাকে বলে ? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

শব্দ মধ্যস্থ কোনো ব্যঞ্জন ধ্বনির পর যদি ই-কার বা উ-কার থাকে তবে সেই ‘ই’ বা ‘উ’ যদি ব্যঞ্জন ধ্বনির আগে উচ্চারিত হয়ে যে ধ্বনি পরিবর্তন ঘটায় সেটাই হল অপিনিহিতি। “শব্দের মধ্যে ই’ বা ‘উ’ থাকলে, সেই ‘ই’ বা ‘উ’ যথা—নির্দিষ্ট স্থানের আগেই উচ্চারিত হলে তাকে অপিনিহিতি বলে।

প্রাচীন যুগের বাংলা ভাষার তিনটি বৈশিষ্ট্য উল্লেখ করো।

১( রুখের তেন্তলি। (২) প্রাচীন বাংলা ভাষায় করতিকারকে শূন্য বিভক্তি হয় – এখনকার বাংলার মতােই । যেমনঃ বলদ বিআএল। (৩) প্রাচীন বাংলায় কর্মকারকে ও সম্প্রদানে ‘রে’ বিভক্তি বর্তমান

‘প্রফুল্ল’ কার রচিত ? এটি কোন শ্রেণীর নাটক ? নাটকটির নায়ক চরিত্রের নাম লেখো।

“প্রফুল্ল” (১৮৮৯) :এটি গিরিশচন্দ্র ঘোষের শ্রেষ্ঠ সামাজিক নাটক। তার মধ্যে যৌথ পরিবারের প্রীতিক্নিগ্ধ পরিবেশের প্রতীকরূপে মধ্যম ভ্রাতা রমেশের স্ত্রী প্রফুল্ল বিষয় সৌন্দর্যে মণ্ডিত হয়ে দেখা দেয়। স্বামীর হাতে তার মৃত্যুতেই নাটকের জটিল কাহিনীর গ্রন্থিমোেচন হয় স্বয়ং গিরিশচন্দ্রের অভিনয়ের জন্য ‘প্রফুল্ল‘ নাটক আমাদের রঙ্গমঞ্চের ইতিহাসে একটি স্মরণীয় অধ্যায় যােগ করেছে

‘বীরবল’ কার ছদ্মনাম ? তিনি কত খ্ৰীষ্টাব্দে কোন পত্রিকার সম্পাদনা করেছিলেন ?

প্রমথ চৌধুরী বীরবল ছদ্মনামও তিনি ব্যবহার করেছেন। তার প্রথম প্রবন্ধ জয়দেব প্রকাশিত হয় সাধনা পত্রিকায় ১৮৯৩ সালে। তার সাহিত্যিক ছদ্মনাম ছিল বীরবল

ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ কত খ্রীষ্টাব্দে কার উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত হয় ? এই কলেজ প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য কী ছিল

১৮০০ সালের ০৯ জুলাই কলকাতার ফোর্ট উইলিয়াম চত্বরে এই কলেজ স্থাপিত হয়। ফোর্ট উইলিয়াম কলেজ স্থাপনের উদ্দেশ্য ছিল ব্রিটিশ আধিকারিকদের ভারতীয় ভাষায় শিক্ষিত করে তোলা। এই প্রক্রিয়ায় বাংলা ও হিন্দির মতো ভারতীয় ভাষাগুলির বিকাশ ত্বরান্বিত হয়। এই সময়টির একটি ঐতিহাসিক গুরুত্বও রয়েছে। ১৮১৫ সালে রাজা রামমোহন রায় পাকাপাকিভাবে কলকাতায় বসবাস শুরু করেন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress