পুণ্ড্রবর্ধন/পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তির ওপর একটি সংক্ষিপ্ত বর্ণনা লেখো।

পুণ্ড্রবর্ধন/পুণ্ড্রবর্ধন ভুক্তির ওপর একটি : প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে অবিভক্ত বাংলার উত্তরাংশ ‘পুণ্ড্রবর্ধন’ নামে পরিচিত ছিল। এই অঞ্চল পশ্চিমে মহানন্দা এবং পূর্বে করতোয়া নদী দ্বারা বেষ্টিত ছিল। ‘আত্রেয় ব্রাহ্মণ’ (7 century, BC)-এ প্রথম ‘পুণ্ড্র’ শব্দের উল্লেখ পাওয়া যায়। এখানে ‘পুণ্ড্র’ শব্দটি জনজাতি অর্থে ব্যবহূত হয়েছে। তবে প্রাচীনকালে জাতি এবং ভৌগোলিক ক্ষেত্র উভয় অর্থেই ‘পুণ্ড্র’ শব্দটি ব্যবহৃত … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের মানুষদের খাদ্য ও পানীয় সংস্কৃতি সম্পর্কে বিস্তারিত লেখো ?

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের মানুষদের খাদ্য ও পানীয় সংস্কৃতি : প্রাচীন উত্তরবঙ্গের মানুষ সাধারণ বাঙ্গালি খাবারই খেত। ভাতই ছিল এখানকার মানুষের প্রধান খাদ্য। এ ছাড়া চিনার ভাত এবং ‘পষরার গুড়া’ (যবের ছাতু) লোকে ভক্ষণ করতেন। ভাতের সঙ্গে ডাল, শাকসবজি, মাছ-মাংস, দুধ, ঘি ইত্যাদি ছিল তাদের খাদ্য। বিবিধ ফলমূলও তারা আহার করত। ভাজা চাউলের ছাতু দরিদ্র লোকেরা অধিক … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের বিলাসিতা ও অনৈতিকতার ওপর একটি সংক্ষিপ্ত টীকা  লেখো।

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের বিলাসিতা ও অনৈতিকতা : রামচরিত ও পবনদূতে রামাবতী ও বিজয়পুরের বর্ণনা এবং বানগড়, রামপাল, মহাস্থান দেওপাড়া প্রভৃতি স্থানের ধ্বংসাবশেষ থেকে মনে হয়, সমৃদ্ধ নগরবাসীরা ইট-কাঠের তৈরি ক্ষুদ্র গৃহে বসবাস করতেন। রাজপ্রাসাদও তৈরি হত ইট-কাঠের গ্রামে ইট-কাঠের বাড়ি খুব একটা ছিল না। দরিদ্র নিম্নকোটির লোকেরা তো পার্টেই এমনকি বিত্তসম্পন্ন মহত্তর গৃহস্থরাও সাধারণত মাটি, খড়, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের পরিবহণ ব্যবস্থা সম্পর্কে একটি সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো। 

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের পরিবহণ ব্যবস্থা : প্রাচীন বাংলাসহ উত্তর বাংলায় যানবাহনের মাধ্যম ছিল গোরুর গাড়ি, ঘোড়ার গাড়ি, নৌকা, হাতি প্রভৃতি। সাধারণ লোকেরা স্থলপথে পদব্রজে এবং জলপথে ভেলা এবং নৌকাযোগেই যাতায়াত করত। নৌকার সঙ্গে বাঙালি জীবনের ঘনিষ্ঠ আত্মিক যোগের কথা ধরা পড়েছে চর্যাগীতিতে। নৌকায় খেয়া-পারাপারের ইঙ্গিতও আছে। খেয়া-পারাপারের মাশুল আদায় হত কড়ি দিয়ে। খেয়া-পারাপারের কাজ অনেক সময় … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের সংগীত ও নৃত্য সংস্কৃতির ওপর একটি বর্ণনামূলক আলোচনা করো।

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের সংগীত ও নৃত্য সংস্কৃতি : নৃত্যগীতবাদ্যের প্রচলন ও প্রসার সম্বন্ধে প্রমাণ সুপ্রচুর। রামচরিত, পবনদপ্ত প্রভৃতি কাব্যে, নানা লিপিতে, সদুক্তিকর্ণামৃতের শ্লোকে, চর্যাগীতি ও দোহাকোশের নানা জায়গায় নানা সূত্রে নৃত্যগীত বাদ্যের উল্লেখ পাওয়া যায়। উচ্চ ও নিম্নকোটি উভয় শ্রেণির মানুষদের মধ্যে এই দুই বিদ্যা সম্বন্ধে সমাদর ছিল যথেষ্ট। বারাসনা ও দেবদাসীরা যে নানা কলানিপুণ ছিলেন, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের শহরের ওপর একটি বর্ণনামূলক আলোচনা করো।

প্রাচীন উত্তরবঙ্গের শহর : বর্তমানে গঙ্গা নদীর বিভাজিকা ধরে পশ্চিমবলাকে দুটি ভাগে ভাগ করা হলেও, এই বিভাজন সম্পূর্ণ অপ্রশাসনিক। বর্তমানে আটটি জেলা নিয়ে উত্তরবঙ্গের বিস্তৃতি। প্রাচীন যুগে এই উত্তরবঙ্গ ছিল পুণ্ড্রবর্ধনের অংশ। অবিভক্ত বাংলার রাজশাহি, বগুরা এবং অবিভক্ত দিনাজপুর নিয়ে গঠিত ছিল পুণ্ড্রবর্ধন। মহাস্থানগড় শিলালেখ থেকে জানা যায় এই পুণ্ড্রবর্ধন মৌর্যদের সাম্রাজ্যভুক্ত ছিল। পরবর্তী সময়ে … বিস্তারিত পড়ুন

পাহাড়পুর ভাস্কর্য সম্পর্কে যা জানো লেখো।

পাহাড়পুর ভাস্কর্য সম্পর্কে যা জানো লেখো

আদি বৌদ্ধ এবং জৈন গ্রন্থে পুণ্ড্রদের উল্লেখের ওপর একটি টীকা লেখো।

আদি বৌদ্ধ এবং জৈন গ্রন্থে পুণ্ড্রদের অবস্থান : প্রাচীন বঙ্গদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ জনপদ হল পুণ্ড্রবর্ধন। মহাকাব্য, পুরাণ এবং বিভিন্ন বৌদ্ধ ও জৈন গ্রন্থে পুণ্ড্রদের উল্লেখ পাওয়া যায়। হরিসেন রচিত ‘বৃহৎ কথাকোষ শীর্ষক গ্রন্থ থেকে জানা যায় পুণ্ড্রবর্ধনের অন্তর্গত কোটিবর্ষের ভদ্রবাহু ছিলেন মৌর্য সম্রাট চন্দ্রগুপ্তের গুরু। জৈন আগম গ্রন্থের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থ হল ‘কল্পসূত্র’। এটির … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন উত্তরবঙ্গে নারীর ভূমিকা ও অবস্থান আলোচনা করো।

প্রাচীন উত্তরবঙ্গে নারীর ভূমিকা প্রাচীন উত্তরবঙ্গের গ্রামের মেয়েদের মধ্যে যে সামাজিক রীতিনীতি, আচার-অনুষ্ঠানের দেখা পাওয়া যেত, আধুনিক উত্তরবঙ্গের নারীদের মধ্যেও মোটামুটি সেই আদর্শ এখনও বর্তমান। লক্ষ্মীর মতো কল্যাণী, বসুন্ধরার মতো সর্বসংহা, পাতিব্রত্য অঞ্চলে নারীত্বই ছিল প্রধান আদর্শ। স্ত্রী হবেন বন্ধুর মতো এবং স্বামীর ইচ্ছাস্বরূপিনী। অর্থাৎ প্রাচীন উত্তরবঙ্গে নারী-পুরুষের বৈষম্য একটি সাধারণ বিষয় ছিল। তবে ধনী … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন বাংলার সামাজিক-ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান ও উৎসব সম্পর্কে  আলোচনা করো।

প্রাচীন বাংলার সামাজিক-ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান : বর্তমান উত্তরবঙ্গ প্রাচীন যুগে পুণ্ড্রবর্ধন নামে পরিচিত ছিল। ঐতিহাসিক নানা কারণে একসময় উত্তরবঙ্গ প্রাচীন জনপদরূপে চিহ্নিত হয়েছিল। কিন্তু গৌড় সাম্রাজ্যের পতনের পর এই অঞ্চল বৃহত্তর বঙ্গ ও ভারত থেকে বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছিল। প্রাচীন উত্তরবঙ্গে সংখ্যাগরিষ্ঠ ছিল রাজবংশী ক্ষত্রিয়রা। দেশি-পলি ও কোচদেরও এই জনগোষ্ঠীর অংশ বলা হয়ে থাকে। প্রাচীন উত্তর বাংলার … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress