নব্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

অথবা, ভারতের নব্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতির মূল বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো। নব্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্য: নব্যপ্রস্তর যুগে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মানুষজন কৃষির আবিষ্কার করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটায়। কৃষির আবিষ্কার থেকে নাগরিক সভ্যতার উদয় পর্যন্ত সময়কে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ ‘নব্যপ্রস্তর যুগ’ নাম দিয়েছেন। সময়সীমা: বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে নব্যপ্রস্তর যুগের সূচনা 9000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে হলেও ভারতে মোটামুটিভাবে খ্রিস্টপূর্ব 6000 থেকে … বিস্তারিত পড়ুন

মধ্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা করো।

মধ্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতি বলতে বোঝায়, এই সংস্কৃতি পুরোনো প্রস্তর যুগের পরবর্তী এবং নব্যপ্রস্তর যুগের পূর্ববর্তী। ভূস্তর বিন্যাসের পর্যায়ক্রমই এই ক্ষেত্রে সর্বাপেক্ষা গুরুত্বপূর্ণ বৈশিষ্ট্য। এই যুগের সময়কাল আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 4000 থেকে খ্রিস্টপূর্ব 2000 অব্দ পর্যন্ত। এই সময়ে তুষারযুগের অবসানের ফলে উত্তরণের এক অন্তবর্তী পরিবর্তনশীল অধ্যায় সূচিত হয়। ভূপৃষ্ঠে আবার দেখা দেয় বন-বনানী ও নানান নতুন জীবজন্তু। … বিস্তারিত পড়ুন

ভারতের প্রাচীন প্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।

অথবা, প্রাচীন প্রস্তর যুগের জীবনযাত্রার মান কেমন ছিল, তা আলোচনা করো। অথবা, ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে প্রাচীন প্রস্তর যুগ সম্বন্ধে যা জানো লেখো। মানব সংস্কৃতির সর্বপ্রাচীন পর্ব অর্থাৎ প্রাচীন প্রস্তর যুগ হল জৈবিক ও সাংস্কৃতিক বিকাশের আদিতম অধ্যায়। ভারতের পরিপ্রেক্ষিতে এই যুগের সূচনা হয়েছিল আনুমানিক 2,50,000 বছর পূর্বে এবং শেষ হয়েছিল 10,000 খ্রিস্টপূর্বাব্দে। এই প্রাচীন প্রস্তর যুগের … বিস্তারিত পড়ুন

প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের আলোকে ‘নব্যপ্রস্তরকালীন বিপ্লব’ বলা কতটা যুক্তিসংগত?

প্রস্তর যুগের তৃতীয় ও শেষ পর্যায় হল নব্যপ্রস্তর যুগ। আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব 4000 অব্দে ভারতে এই যুগের সূচনা হয়। এ যুগের মানুষ বড়ো হাতিয়ারের পরিবর্তে মসৃণ ছোটো আকারের পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করত। এই যুগের মানুষ খাদ্য সংগ্রাহক থেকে খাদ্য উৎপাদকে পরিণত হয়। সেই কারণে বন্য মানুষ গোষ্ঠীবদ্ধ সমাজজীবন গড়ে তুলতে সমর্থ হয়। ভ্রাম্যমান, গুহাবাসী মানুষ নিজেদের … বিস্তারিত পড়ুন

মেগালিথিক সংস্কৃতি সম্পর্কে একটি টাকা লেখো।

মেগালিথিক সংস্কৃতির সাধারণ লোকেরা মৃতদেহকে সমাধি দিত। এই সংস্কৃতির মূল আকর্ষণ হল মৃতদেহের সুরক্ষার জন্য বড়ো-বড়ো পাথর দিয়ে ঘেরা স্থানে মৃতদেহ সমাধিস্থ করা হত। মেগালিথিক শব্দটি গ্রিক শব্দ ‘মেগাস’ ও ‘লিথোস’ থেকে এসেছে। ‘মেগাস’ কথার অর্থ হল ‘বড়ো’ এবং ‘লিথোস’ কথার অর্থ হল ‘পাথর’। মেগালিথিক সংস্কৃতি ভারতের পূর্ব-মধ্য এবং উত্তর-পশ্চিম অঞ্চলে পাওয়া গেছে, কিন্তু দক্ষিণ … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন প্রস্তর যুগের মাদ্রাজি শিল্প বা মাদ্রাজি সংস্কৃতি সম্বন্ধে যা জানো লেখো।

মাদ্রাজি শিল্প বা মাদ্রাজি সংস্কৃতি: প্যাটারসন সর্বপ্রথম মাদ্রাজ অঞ্চলের পুরোনো প্রস্তর যুগের প্রচুর নিদর্শন আবিষ্কার করেন। 1932 সালে আবিষ্কৃত হয় মাণ্যকারনাই প্রত্নক্ষেত্রটি। প্যাটারসন ও কুয়স্বামী, ‘ভাদামাদুরাই’ এবং ‘অভিরামপত্তম’ নামক দুটি প্রত্নক্ষেত্র থেকে বহু হাতিয়ার সংগ্রহ করেন। মাদ্রাজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের প্রচেষ্টায় উদ্‌ঘাটিত হয় শ্রীপরনমগুরু নামক একটি প্রত্নক্ষেত্র। এইসব ক্ষেত্র থেকে মাদ্রাজ সংস্কৃতির হাতিয়ার আবিষ্কৃত হয়েছে। … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন প্রস্তর যুগের সোয়ান সংস্কৃতির পরিচয় দাও।

1935 সালে ইয়েল-কেম্ব্রিজ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নভূতাত্ত্বিক সমীক্ষক দল দ্য তেরা, টি টি প্যাটারসন প্রমুখ পশ্চিম পঞ্জাবের শিবালিক পর্বতমালা ও পটওয়ার অঞ্চলের অন্তর্গত রাওয়ালপিন্ডি শহরের নিকট সোয়ান নদীর উপকূলে সমীক্ষা চালিয়ে প্রাচীন প্রস্তর যুগের প্রচুর প্রতাশ্ম আবিষ্কার করেন। প্যাটারসন, প্রাপ্ত হাতিয়ারগুলিকে আদি সোয়ান ও পরবর্তী সোয়ান এই দুটি পর্যায়ে বিভক্ত করেন। সোহান বা সোয়ান সিখুনদের একটি উল্লেখযোগ্য … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন প্রস্তর যুগের গিরি গুহাচিত্র বিশেষ করে ভীমবেটকার গুহাচিত্র সম্বন্দে যা জানো লেখো।

প্রাচীন ভারতের প্রস্তর চিত্র ইতিহাসের উপাদান হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস জানতে প্রস্তর চিত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রস্তর যুগের আদিম মানুষ পশুর হাড় ও শিং দিয়ে গুহার দেওয়ালে ছবি আঁকতে শিখেছিল। আদিম মানুষের পশুচিত্রের প্রধান বিষয় ছিল শিকার, এ ছাড়া বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশা খোদাই করা বেশ কিছু প্রস্তর চিত্র পাওয়া গেছে। প্রাচীন ভারতের রাজস্থানের … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন প্রস্তর যুগ ও নব্যপ্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ ও নব্যপ্রস্তর যুগের মধ্যে পার্থক্য গুলি নীচে আলোচনা করা হল- প্রাচীন প্রস্তর যুগ: প্রাচীন প্রস্তর যুগ বলতে মূলত প্লেইস্টোসিন যুগের সভ্যতাকে বোঝায়। নব্যপ্রস্তর যুগ ছিল হলসিন যুগের সভ্যতা। এই প্রথায় উভয় যুগের মানুষই পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করত, তবে গঠনগত ক্ষেত্রে বেশ কিছু পার্থক্য ছিল। প্রাচীন প্রস্তর যুগে মানুষের তৈরি হাতিয়ার অতটা মজবুত … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্যপ্রস্তর যুগ এবং নব্যপ্রস্তর যুগে ব্যবহৃত ঔষধগুলি সম্পর্কে লেখো।

প্রাচীন প্রস্তর যুগ, মধ্যপ্রস্তর যুগ এবং নব্যপ্রস্তর যুগে ব্যবহৃত আয়ুধ বা অস্ত্রগুলি সম্বন্ধে নীচে আলোচনা করা হল- প্রাচীন প্রস্তর যুগে ব্যবহৃত আয়ুধ প্রস্তর যুগে মানুষ শিকারের প্রয়োজনে হাতিয়ার তৈরি করেছিল। প্রাচীন প্রস্তর যুগের মানুষ ছিল খাদ্য সংগ্রাহক, তাই খাদ্য সংগ্রহের জন্য প্রয়োজন ছিল হাতিয়ারের। খননকার্যের ফলে এই যুগে যে সমস্ত হাতিয়ার বা আয়ুধ পাওয়া গেছে … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress