মধ্যপ্রস্তর যুগের প্রত্নতাত্ত্বিক কেন্দ্রগুলি সম্পর্কে লেখো।

প্রস্তর যুগের দ্বিতীয় পর্যায় হল মধ্যপ্রস্তর যুগ। এই যুগকে ‘ক্ষুদ্র প্রস্তর যুগ’ও বলা হয়। মধ্যপ্রস্তর যুগের প্রত্নতত্ত্বকেন্দ্রগুলি ভারতবর্ষের প্রতিটি অঞ্চলের আনাচেকানাচে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিল। গুজরাটের লংগনাজ ছিল মধ্যপ্রস্তর যুগের একটি গুরুত্বপূর্ণ কেন্দ্র। এখানকার মানুষের প্রধান হাতিয়ার ছিল পাথরের টুকরো এবং পাথরের নুড়ি। মধ্যপ্রস্তর যুগের বহু নিদর্শন ভারতের সিন্ধু দেশে, দক্ষিণের ভিনেভেলিতে এবং পূর্বের পশ্চিমবঙ্গে পাওয়া … বিস্তারিত পড়ুন

নব্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি উল্লেখ করো।

নব্যপ্রস্তর যুগে প্রকৃতির ওপর নির্ভরশীলতা থেকে রেহাই পাওয়ার জন্য মানুষজন কৃষির আবিষ্কার করে অর্থনৈতিক বিপ্লব ঘটায়। কৃষির আবিষ্কার থেকে নাগরিক সভ্যতার উদয় পর্যন্ত সময়কে প্রত্নতত্ত্ববিদগণ নব্যপ্রস্তর যুগ নাম দিয়েছেন। নব্যপ্রস্তর যুগের বৈশিষ্ট্যগুলি হল- হাতিয়ারগুলি অনেক উন্নত, ধারালো ও চকচকে ছিল। বর্ষাফলক, হারপুন, তিরফলক, ছোরা ইত্যাদিকে তারা হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করত। মানুষ স্থায়ীভাবে বসবাস করতে শুরু … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো ‘ডোলমেন’।

অথবা, ‘ডোলমেন’ বলতে কী বোঝো? নব্যপ্রস্তর যুগের একটি উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য হল মৃতদেহ সমাধিস্থ করা, যাকে ‘ডোলমেন’ বলা হত। দক্ষিণ ভারতে ব্রহ্মগিরি, পুদুকোটি প্রভৃতি স্থান থেকে মহাপ্রস্তর সমাধির নিদর্শন পাওয়া গেছে। কর্ণাটকের ব্রহ্মগিরি থেকে ডোলামেন সমাধি পাওয়া গেছে। ডোলমেন বলতে বোঝায় পাথরের টেবিলাকৃতি সমাধি। ব্রহ্মগিরি, মান্ত্রী, অস্ত্রপ্রদেশের কদম্বপুর, নাগার্জুনকোন্ডা, মীরাপুর ও অমরাবতী, তামিলনাড়ু আদিতচলুর, সনুর, কেরলের … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো ভীমবেটকা।

প্রস্তর যুগের গুহাচিত্রের যে ক-টি নিদর্শন আবিষ্কৃত হয়েছে, সেগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল ভীমবেটকা গুহাচিত্র। মধ্যপ্রদেশের ভীমবেটকায় এটি অবস্থিত। ভারতের সবথেকে প্রাচীন গুহাচিত্র হল ভীমবেটকা গুহাচিত্র। ভীমবেটকা গুহাতে যে সমস্ত চিত্রগুলি অঙ্কিত হয়েছে, সেগুলি যে-কোনো গুহাচিত্রের চেয়ে বেশ সমৃদ্ধ। এই চিত্রগুলিতে মানুষের শিকারের দৃশ্য এবং ধর্মীয় বেশ কিছু প্রতীক চিত্রিত অবস্থায় পাওয়া গেছে। শুধু তাই নয়, … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো তাম্র-প্রস্তর যুগ।

প্রস্তর যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করত, পরবর্তীকালে অর্থাৎ, প্রস্তর যুগের শেষ পর্যায়ে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ধাতু হিসেবে তামার ব্যবহার শুরু করেছিল। আনুমানিক 8000 থেকে 3000 হাজার খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত তাম্র-প্রস্তর যুগ বিস্তৃত ছিল। নব্যপ্রস্তর যুগের শেষে মানুষ তামার ব্যবহার শুরু করেছিল। ভারত, প্রাচীন মিশর ও মেসোপটেমিয়ায় তাম্র-প্রস্তর যুগের বহু নিদর্শন পাওয়া গেছে। … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাগৈতিহাসিক যুগ ও প্রায়-ঐতিহাসিক যুগের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ ও প্রায় ঐতিহাসিক যুগের মধ্যে পার্থক্য নীচে আলোচনা করা হল- প্রাগৈতিহাসিক যুগ: খ্রিস্টজন্মের কয়েক লক্ষ বছর আগে ভারতে মানুষের বসবাস শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে সভ্যতার উন্মেষ ঘটতে থাকে। তবে এই সময়কালের ইতিহাসের জন্য কোনো লিখিত বিবরণ পাওয়া যায় না। মানুষের ব্যবহৃত হাতিয়ার, জয়ী যন্ত্রপাতি ও দ্রব্যাদির ওপর ভিত্তি করে এই সময়ের ইতিহাস … বিস্তারিত পড়ুন

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝো?

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলতে সেই সময়কে বোঝায়, যখন লিপির ব্যবহার শুরু হয়েছে, কিন্তু লিপির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি। যেমন-হরপ্পা সভ্যতার কথা বলা যায়। যদিও অনেক ঐতিহাসিক কালবিভাজনে লিপিজ্ঞানকে গুরুত্ব দিতে চান না। কারণ সেটি করলে বৈদিক যুগকেও প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ ধরতে হয়। কারণ তাদের লিপিজ্ঞান ছিল কিন্তু এখনও বর্ণমালা আবিষ্কৃত হয়নি। এই বিতর্ক দূর করার জন্য কিছু … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝো?

সমগ্র বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে মানবসভ্যতার সূচনা হয় যিশুখ্রিস্টের জন্মের আনুমানিক পাঁচ লক্ষ বছর পূর্বে। প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে সেই সময়কালকে বোঝায় যখন মানুষের কোনো লিখিত বিবরণ পাওয়া যায়নি। মানুষের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, অস্ত্রশস্ত্র, যন্ত্রপাতির ওপর ভিত্তি করেই এই সময়ের ইতিহাস লেখা হয়েছে। এই যুগ প্রাক্-লিপি সংস্কৃতিসমূহের পরিচায়ক। এইসময় মানুষ লিপি বা অক্ষরের ব্যবহার জানত না। এই যুগের সংস্কৃতি … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের প্রস্তর চিত্রের ওপর সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

প্রাচীন ভারতে প্রস্তর চিত্র ইতিহাসের উপাদান হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস জানতে গেলে সেক্ষেত্রে প্রস্তর চিত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রস্তর যুগে আদিম মানুষ পশুর হাড় ও শিং দিয়ে গুহার দেয়ালে ছবি আঁকতে শিখেছিল। আদিম মানুষের পশুচিত্রের প্রধান বিষয় ছিল শিকার। এ ছাড়া বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশা খোদাই করা বেশকিছু প্রস্তর চিত্র পাওয়া গেছে।এইত বিকা্যোস মূলার … বিস্তারিত পড়ুন

‘প্রস্তর যুগ’ বলতে কী বোঝো?

যে যুগের মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপত্র, হাতিয়ার, যন্ত্রপাতি তৈরিতে শুধুমাত্র পাথর বা প্রস্তর ব্যবহার করত, কোনোরকম ধাতুর ব্যবহার করতে শেখেনি বা জানত না, সেই যুগ প্রস্তর যুগ নামে পরিচিত। হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতির আকার এবং তীক্ষ্ণতা দেখে ঐতিহাসিকগণ প্রস্তর যুগকে অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব 5,00,000 থেকে খ্রিস্টপূর্ব 3000 অব্দ পর্যন্ত সময়কালকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন-প্রাচীন প্রস্তর, মধ্যপ্রস্তর … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress