‘নব্যপ্রস্তরকালীন বিপ্লব’ বলতে কী বোঝো?

অথবা, ‘নবাশ্মীয় বিপ্লব’ বলতে কী বোঝো? অথবা, ‘নব্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতি’ বলতে কী বোঝো? আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪000 থেকে 4000 অব্দ পর্যন্ত সময়কালকে ‘নতুন পাথরের যুগ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষের জীবনযাত্রার অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছিল। এইসময় মানুষ যাযাবর জীবনযাপন ত্যাগ করে স্থায়ীভাবে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছিল। মানুষ খাদ্য সংগ্রহকারী থেকে স্থায়ী বসবাসকারীতে পরিণত হয়েছিল। কৃষিকাজের আবিষ্কার, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির গুরুত্ব: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে ত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের গুরুত্ব সর্বাপেক্ষা বেশি। যে বিজ্ঞানের সাহায়ে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মাটি খনন করে আবিষ্কৃত বস্তু নিদর্শন ও ভূপৃষ্ঠে প্রাপ্ত পুরোনো বস্তু থেকে প্রাচীন মানুষের বাস্তব জীবন সম্পর্কে জানা যায়, তাকে ‘প্রত্নতত্ত্ব’ বলা হয়। ইউরোপীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্যার উইলিয়ম জোদ্দ, জেমস্ প্রিন্দেশ, হ্যামিলটন … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সাহিত্যিক উপাদানগুলির গুরুত্ব আলোচনা করো।

অথবা, প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সাহিত্যিক উপাদানগুলির গুণাগুণ বিচার করো। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সাহিত্যিক উপাদানগুলির গুরুত্ব: প্রাচীন ভারতবর্ষে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ভারতীয়রা অসাধারণ উন্নতি ঘটালেও প্রকৃত ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো ছাপ ফেলতে পারেননি। তবে প্রাচীন ভারতে বৌদ্ধিক বা সাহিত্যিক কর্মকান্ডের অভাব ছিল না। তাঁরা আইন, শাস্ত্র, ধর্ম, রাজনীতি, নীতিশাস্ত্র প্রভৃতি বিষয় … বিস্তারিত পড়ুন

সাহিত্যিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদানগুলি আলোচনা করলে দেখা যায় সাহিত্যিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের মধ্যে সুস্পষ্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে- • প্রথমত, সাহিত্যিক উপাদানের মতো প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের পরিবর্তন আসে না। প্রাকৃতিক কারণে নষ্ট হওয়া বা ভেঙে যাওয়া ছাড়া তা অপরিবর্তিতই থাকে। যেমন- জাদুঘরে রাখা মুদ্রাগুলি যেমন ছিল, তেমনই আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। শুধু ঐতিহাসিকদের ব্যাখ্যা করার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে মহাকাব্যের গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় বৈদিক সাহিত্যের পরেই সংস্কৃত ভাষায় লিখিত প্রধান দুটি মহাকাব্য হিসেবে ‘রামায়ণ’ ও ‘মহাভারত’-এর ভূমিকা উল্লেখযোগ্য। পৃথিবীর দীর্ঘতম কাব্যগ্রন্থ হিসেবে মহাভারতের নাম করা যেতে পারে, যার লেখক হিসেবে কৃষুদ্বৈপায়ন বেদব্যাসের কথা বলা হয়। কিন্তু মহাভারতের আয়তন ও ঘটনাবলিসমূহ বিচার করলে বলা যায় যে, কোনো একজন লেখকের সমগ্র জীবনের মধ্যে এটি লেখা সম্ভব … বিস্তারিত পড়ুন

সাহিত্যিক উপাদানগুলির ত্রুটি আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদানগুলি আলোচনা করলে দেখা যায় যে সাহিত্যিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের মধ্যে সুস্পষ্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে এবং সেইসঙ্গে সাহিত্যিক উপাদানগুলির দুর্বলতার দিকটিও ফুটে ওঠে। সাহিত্যিক উপাদান, তা গ্রন্থ বা বিবরণ যাই হোক না কেন, সর্বদা তার পরিবর্তন ঘটে। অনেক সময় মূল গ্রন্থটি পাওয়া যায় না। এক ভাষা থেকে অন্য ভাষায় অনুবাদের সময় লেখক … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপি বা লেখামালার গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় লিপি বা লেখামালার গুরুত্ব: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের গুরুত্ব সর্বাপেক্ষা বেশি। যে বিজ্ঞানের সাহায্যে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মাটি খনন করে আবিষ্কৃত বস্তু নিদর্শন ও ভূপৃষ্ঠে প্রাপ্ত পুরোনো বস্তু থেকে প্রাচীন মানুষের বাস্তবজীবন সম্পর্কে জানা যায়, তাকে প্রত্নতত্ত্ব বলা হয়। ইউরোপীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্যার উইলিয়ম জোন্স, জেমস প্রিন্সেপ, হ্যামিলটন বুকানন, স্যার … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান

উন্নতি বা অবনতির আভাস পাওয়া যায়। এইসব কারণে প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত অস্বীকার করা যায় না। পরিশেষে বলা যায়, কোনো যুগের বাস্তব পরিস্পিতির প্রকৃত প্রতিফলন একমাত্র প্রত্নতাত্ত্বিকবস্তু থেকেই পাওয়া যায়। ফলে বর্তমানে সাহিত্যিক উপাদানের পাশাপাশি প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের ওপর নির্ভরশীলতা অনেকটাই বৃদ্ধি পেয়েছে।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় মুদ্রার গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের গুরুত্ব সর্বাপেক্ষা বেশি। যে বিজ্ঞানের সাহায্যে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মাটি খনন করে আবিষ্কৃত বস্তু নিদর্শন ও ভূপৃষ্ঠে প্রাপ্ত পুরোনো বস্তু থেকে প্রাচীন মানুষের বাস্তবজীবন সম্পর্কে জানা যায়, তাকে প্রত্নতত্ত্ব বলা হয়। ইউরোপীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্যার উইলিয়ম জোন্স, জেমস প্রিন্সেপ, হ্যামিলটন বুকানন, স্যার জন মার্শাল প্রমুখ এবং ভারতীয় প্রত্নতত্ত্ববিদ রাখালদাস বন্দ্যোপাধ্যায়, … বিস্তারিত পড়ুন

‘এপিগ্রাফি’ ও ‘নিউমিসমেটিকস’ বলতে কী বোঝো?

‘এপিগ্রাফি’ ও ‘নিউমিসমেটিকস’ সম্পর্কে নীচে আলোচিত হল- এপিগ্রাফি: প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে লিপির গুরুত্ব সর্বাধিক। লিপি বিভিন্ন ধরনের হয়ে থাকে, যেমন-শিলালিপি, স্তম্ভলিপি, তাম্রলিপি প্রভৃতি। লিপি বলতে বোঝায় বিভিন্ন সরকারি তথ্য, যেমন-শাসনতান্ত্রিক লিপিও রয়েছে। এ ছাড়া, ধর্মলিপি, প্রশস্তিবাচক লিপি, দানসূচক লিপি, ব্যক্তিগত লিপি প্রভৃতি, যেগুলি লোহা, সোনা, তামা, ব্রোঞ্জ, ইট, পাথর প্রভৃতির গায়ে খোদাই করে … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress