প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় বিদেশি সাহিত্যিক উপাদানগুলি সম্পর্কে লেখো।

প্রাচীনকালে বহু বিদেশি, যেমন-গ্রিক, রোমান, চৈনিক, তিব্বতীয় ও মুসলিমরা ভারতে আসেন এবং ভারত সম্পর্কে তাঁদের অভিজ্ঞতা তাঁরা লিপিবন্ধ করেন, যা ইতিহাসের উপাদান হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের সাহিত্যিক উপাদান: গ্রিক বিবরণ: গ্রিক লেখকদের মধ্যে সর্বপ্রথম গ্রিক ঐতিহাসিক ও ইতিহাসের জনক হেরোডোটাস-এর রচনা থেকে ভারতের উত্তর-পশ্চিম সীমান্তে পারসিক বিজয়ের কথা জানা যায়। গ্রিক বীর আলেকজান্ডারের ভারত … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে ঋগ্বেদের ঐতিহাসিক গুরুত্ব লেখো।

ইন্দো-ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় ও সাহিত্যিক কীর্তি হল ‘ঋগ্বেদ’, যা রচিত হয়েছিল 1500-1000 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে। ঋগ্বেদ দশটি মন্ডলে বিভক্ত সহশ্রাধিক স্তোত্র বা শ্লোকের সংকলন। দ্বিতীয় থেকে সপ্তম মণ্ডল বা পারিবারিক মন্ডল ঋগবেদের প্রাচীনতম অংশ। নবম ও দশম মণ্ডলে অনেক পরবর্তীকালের সংযোজন লক্ষ করা যায়। ঋগ্বেদের আবার চারটি ভাগ-ব্রাহ্মণ, সংহিতা, আরণ্যক ও উপনিষদ। সংহিতার মন্ত্রগুলি … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সাহিত্যিক উপাদানের ত্রুটিগুলি আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সাহিত্যিক উপাদানগুলি যথেষ্ট থাকলেও এগুলি একেবারেই ত্রুটিমুক্ত ছিল না। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনায় সাহিত্যিক উপাদানের ত্রুটিগুলি হল- • প্রথমত, যে সমস্ত প্রাচীন সাহিত্যিক উপাদান পাওয়া গেছে, সেগুলির ক্ষেত্রে সঠিক সময়ের অভাব লক্ষ করা যায়। ঠিক সেই কারণে, অনেক সময় ইতিহাসের সঠিক কাল নির্ণয় করা কঠিন হয়ে যায়। • দ্বিতীয়ত, ঐতিহাসিক … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো কালিদাস।

কালিদাস ছিলেন গুপ্তযুগের শ্রেষ্ঠ কবি ও নাট্যকার। তাঁর রচিত তিনটি উল্লেখযোগ্য মহাকাব্য হল-‘রঘুবংশম্’, ‘কুমারসম্ভব’, ‘মেঘদূতম্’। তাঁর ক্ষুদ্র কাব্যগ্রন্থ ‘ঋতুসংহার’-এ বিভিন্ন ঋতুর প্রাকৃতিক বর্ণনা ফুটে উঠেছে। তাঁর রচিত নাটকগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল-‘অভিজ্ঞানশকুন্তলম্’, ‘মালবিকাগ্নিমিত্রম্’ এবং ‘বিক্রমোবর্শী’। তাঁর রচনাগুলি পাঠ করে স্পষ্টই বোঝা যায় যে, তিনি অসাধারণ কবিপ্রতিভার অধিকারী ছিলেন এবং দর্শনশাস্ত্র, নাট্যশাস্ত্র, যোগ জ্যোতিষ প্রভৃতি বিষয়ে তাঁর … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার একটি আঞ্চলিক ঐতিহাসিক গ্রন্থের নাম লেখো। এর গুরুত্ব কতখানি?

অথবা, ‘রাজতরঙ্গিনী’র ঐতিহাসিক গুরুত্ব লেখো। প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে আঞ্চলিক ইতিবৃত্তগুলি দারুণভাবে সাহায্য করে। এগুলির মধ্যে অন্যতম হল কাশ্মীরি পণ্ডিত কলহনের লেখা ‘রাজতরঙ্গিনী’ গ্রন্থটি। তিনি 1150 সালে গ্রন্থটি লেখা শেষ করেন। এই গ্রন্থ লিখতে গিয়ে তিনি রাজাদের মন্দির প্রতিষ্ঠার শাসনপত্র, দানপত্র, প্রশস্তিপত্র পরীক্ষা করে দেখেছেন এবংপ্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান এর পাশাপাশি অলৌকিক জনশ্রুতি, পুরাণবর্ণিত … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো: বৈদিক সাহিত্য বা ‘বেদ’।

অথবা, বেদের ক-টি ভাগ ও কী কী আলোচনা করো। দেশীয় সাহিত্যের মধ্যে সবথেকে গুরুত্বপূর্ণ উপাদান হল ‘বেদ’ বা ‘বৈদিক সাহিত্য’। বেদ চারটি ভাগে বিভক্ত-ঋগ্বেদ, সামবেদ, যজুর্বেদ ও অথর্ববেদ। প্রতিটি বেদ আবার চারটি ভাগে বিভক্ত, যথা-ব্রাহ্মণ, আরণ্যক, সূত্র সাহিত্য ও উপনিষদ। সবথেকে প্রাচীনতম গ্রন্থ হল-ঋগ্বেদ। খ্রিস্টপূর্ব 1500 থেকে 900 অব্দের মধ্যে এটি রচিত হয়। ঋগ্বেদ থেকে … বিস্তারিত পড়ুন

ইতিহাসের উপাদান হিসেবে মুদ্রার গুরুত্ব কতখানি?

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার একটি অন্যতম উপাদান হল মুদ্রা। মুদ্রা এক ধরনের ঐতিহাসিক ললিল। খননকার্যের ফলে অথবা ধ্বংসস্তূপের মধ্যে থেকে যে সমস্ত মুদ্রা আবিষ্কৃত হয়েছে, তা থেকে প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের নানা তথ্য পাওয়া সম্ভব। ভারতের গ্রিক আক্রমণের পর মুদ্রার উপর রাজার নাম লেখার পদ্ধতি প্রচলিত হয়। ব্যাকট্রিয় রাজাদের মুদ্রাগুলি থেকে পঞ্জার ও উত্তর-পশ্চিম সীমান্তের রাজনৈতিক … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো: এলাহাবাদ প্রশস্তি।

অথবা, এলাহাবাদ প্রশস্তির ঐতিহাসিক গুরুত্ব আলোচনা করো। লেখমালা প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার একটি উৎকৃষ্ট উপাদান হিসেবে বিবেচিত হয়ে থাকে। বস্তুত প্রাচীন ভারতের লুপ্ত ইতিহাস যতটা উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে তার বেশিরভাগের জন্য আমরা লেখমালার কাছে ঋণী। এমনই একটি অন্যতম লেখমালা হল ‘এলাহাবাদ প্রশক্তি’। এটি রচনা করেন গুপ্ত সম্রাট সমুদ্রগুপ্তের সভাকবি হরিষেণ। এর কিছু অংশ ভেঙে … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো: ত্রিপিটক।

অথবা, পিটক ক-টি ও কী কী? এর গুরুত্ব লেখো। প্রাচীন ভারতের সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় ইতিহাসের উপাদানরূপে বৌদ্ধ গ্রন্থগুলির গুরুত্ব অপরিসীম। এদের মধ্যে বৌদ্ধ ধর্মগ্রন্থ ‘ত্রিপিটক’ অন্যতম। ত্রিপিটক বলতে তিনটি পিটকের সমাহারকে বোঝায়। প্রথম পিটকের নাম হল বিনয়পিটক, এতে বৌদ্ধ ভিক্ষু ও ভিক্ষুণীগণের পক্ষে পালনীয় নিয়মাবলি এবং বৌদ্ধবিহার- সমূহের সাধারণ পরিচালন রীতি বর্ণিত হয়েছে। দ্বিতীয় … বিস্তারিত পড়ুন

মেগাস্থিনিসের ‘ইন্ডিকা’-র ওপর একটি টীকা লেখো।

অথবা, ‘ইন্ডিকা’ গ্রন্থের রচয়িতা কে? ইন্ডিকার ঐতিহাসিক গুরুত্ব কী? অথবা, ‘ইন্ডিকা’-র ওপর টীকা লেখো। অথবা, মেগাস্থিনিস কে ছিলেন? তাঁর বিবরণের ওপর রচিত ‘ইন্ডিকা’ গ্রন্থ সম্বন্ধে টীকা লেখো। যে সকল বিদেশিদের রচনা প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদানরূপে বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ, তাঁদের মধ্যে অন্যতম হলেন মেগাস্থিনিস। পশ্চিম এশিয়ার গ্রিক রাজা সেলুকাসের দূতরূপে মেগাস্থিনিস খ্রিস্টপূর্ব চতুর্থ শতকের শেষভাগে মৌর্য সম্রাট … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress