ভারতীয় সংবিধানে উল্লিখিত মৌলিক অধিকারগুলির সংক্ষিপ্ত বিবরণ দাও ।

ভারতের মূল সংবিধানের তৃতীয় অধ্যায়ে সাত রকমের মৌলিক অধিকারের উল্লেখ ছিল। ১৯৭৮ সালের ৪৪ তম সংবিধান সংশোধনের মাধ্যমে সম্পত্তির অধিকার মৌলিক অধিকারের তালিকা থেকে বাদ পড়ে একটি সাধারণ আইনগত অধিকারে পরিণত হয়েছে। ফলে সংবিধানের সন্নিবিষ্ট মৌলিক অধিকারের সংখ্যা বর্তমানে ছয়টি, যেগুলি নীচে সংক্ষিপ্ত আকারে বিবৃত করা হল সাম্যের অধিকার (১৪-১৮ নং ধারা) : (ক) আইনের … বিস্তারিত পড়ুন

ভারতীয় সংবিধানের সংশোধন পদ্ধতিগুলি পর্যালোচনা করো।

ভারতের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি আলোচনা করো। ভারতের সংবিধান সংশোধন পদ্ধতি: সংবিধান লিখিত বা অলিখিত যাই হোক-না-কেন দেশের আর্থসামাজিক পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে সংবিধানেরও পরিবর্তন বা সংশোধন প্রয়োজন। পরিবর্তনশীল সমাজের সঙ্ণে সংবিধান সাযুজ্যপূর্ণ না হলে দেশের মানুষের জীবনযাত্রায় নানা সমস্যা দেখা দিতে পারে। বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন পরিবর্তনের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলার ক্ষেত্রেও বর্তমানে কোনো দেশের সংবিধানের পরিবর্তন বা … বিস্তারিত পড়ুন

সঙ্গম যুগের সাহিত্যের বিকাশের উপর একটি প্রবন্ধ রচনা কর।

সঙ্গম সাহিত্য –প্রাচীন যুগে দক্ষিণ ভারতের তামিলনাড়ু অঞ্চলে তামিল সাহিত্যের বিকাশকে কেন্দ্র করে একটি নতুন ধরণের সাহিত্যের বিকাশ ঘটেছিল, যা সঙ্গম সাহিত্য নামে পরিচিত। ‘সঙ্গম’ কথাটি একটি দ্রাবিড় শব্দ।সঙ্গম কথাটির অর্থ হল গোষ্ঠী, সমাজ বা পরিষদ। তামিল সাহিত্যের আদি যুগের কবি গোষ্ঠীর দ্বারা সঙ্গম সাহিত্য রচিত হয়েছে। ১০০ থেকে ৩০০ খ্রিস্টাব্দের মধ্যবর্তী এই ২০০ বছরের … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাক্ মধ্যযুগে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার প্রধান বৈশিষ্ট্যগুলি আলোচনা কর?

সামন্তপ্রথার বৈশিষ্ট্য প্রাচীন ও মধ্যযুগে ইউরােপে সামন্ততান্ত্রিক অর্থনৈতিক কাঠামাে অত্যন্ত শক্তিশালী হয়ে ওঠে। ইউরোপের কাঠামাের মতাে না হলেও প্রাচীন এবং মধ্যযুগের ভারতে সামন্ততান্ত্রিক ব্যবস্থার বিকাশ ঘটে বলে বিভিন্ন ঐতিহাসিক যুক্তি দিয়ে দেখিয়েছেন। ভারতে সামন্তপ্রথার বিভিন্ন বৈশিষ্ট্য লক্ষ করা যায়। যেমন一 স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রামজীবন: সামন্ততান্ত্রিক সমাজের একটি উল্লেখযােগ্য বৈশিষ্ট্য হল স্বয়ংসম্পূর্ণ গ্রাম্যজীবন। অর্থাৎ গ্রামে বসবাসকারী সকলের প্রয়ােজনীয় … বিস্তারিত পড়ুন

পাল, প্রতিহার এবং রাষ্ট্রকূটদের মধ্যে ত্রি-পাক্ষীক সংগ্রামের বর্ণনা দাও। এর ঐতিহাসিক গুরুত্ব কি ছিল ?ত্রিপাক্ষিক সংগ্রাম কাকে বলে

খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের শেষার্ধে আর্যাবর্তের প্রাধান্য স্থাপনকে কেন্দ্র করে, পাল, গুর্জর প্রতিহার, এবং রাষ্ট্রকূটদের মধ্যে এক ত্রিপক্ষীয় দীর্ঘস্থায়ী সংগ্রাম শুরু হয় যার কেন্দ্রীয় বিষয় ছিল কনৌজ অধিকার। এটি ত্রিপাক্ষিক সংগ্রাম বা ত্রিশক্তি সংগ্রাম (ত্রিপাক্ষিক দ্বন্দ্ব) নামে পরিচিত । খ্রিস্টীয় অষ্টম শতকের শেষার্ধে পাল, গুর্জর প্রতিহার, এবং রাষ্ট্রকূটদের মধ্যে ত্রিশক্তি সংগ্রাম হয়েছিল। ত্রিশক্তি সংগ্রাম দুশো বছর … বিস্তারিত পড়ুন

পল্লব যুগের শিল্প-স্থাপত্য নিয়ে আলোচনা কর।

খ্রিস্টীয় ষষ্ঠ শতাব্দীর মধ্যভাগ থেকে নবম শতকের মধ্যভাগ পর্যন্ত সময়কাল বিন্ধ্যর দক্ষিনে উপদ্বীপীয় ভারতের তিনটি শক্তির সহাবস্থান লক্ষ করা যায়- দাক্ষিণাত্যে বাদামীর চালুক্য বংশ, সুদূর দক্ষিনে কাঞ্চিপুরমের পল্লববংশ এবং আরো দক্ষিনে মাদুরাইয়ের পান্ড্যবংশ। দক্ষিণ ভারতের উপর রাজনৈতিক কর্তৃত্বকে প্রতিষ্ঠা করার লক্ষ্য নিয়ে এই তিনটি শক্তি পরস্পর বিরোধী রাজনৈতিক সংগ্রামে লিপ্ত হয়েছিল। তথাপি এই তিনশ বছরের … বিস্তারিত পড়ুন

হর্ষবর্ধন সম্পর্কে একটি বিশ্লেষণাত্মক প্রবন্ধ লেখ। তাঁকে কি সমগ্র উত্তর ভারতের অধিপতি হিসেবে চিহ্নিত করা যায় ?

কনৌজপাতি হর্ষবর্ধন : প্রাচীন ভারতের ইতিহাসে এক অবিস্মরণীয় ব্যক্তিত্ব হলেন ‘মহারাজাধিরাজা’ হর্ষ শিলাদিত্য। বনভট্টের ‘হর্ষচরিত’ এবং চীনা পরিব্রাজক হিউয়েন সাত্তার বিবরণের মাধ্যমে তিনি অমর হয়ে আছেন। গুপ্ত সাম্রাজ্যের পতনের পর হর্ষবর্ধনের প্রধান কৃতিত্ব ছিল একটি বৃহৎ সাম্রাজ্যের পুনঃপ্রতিষ্ঠা এবং একটি বিভক্ত ও খণ্ডিত ভারতে রাজনৈতিক ঐক্য প্রতিষ্ঠা। ঐতিহাসিক উপাদান : হর্ষবর্ধনের রাজত্বের ইতিহাস জানতে আমাদের … বিস্তারিত পড়ুন

সমুদ্রগুপ্তের সাম্রাজ্যবাদী নীতির মূল্যায়ন কর ?

সমুদ্রগুপ্তেরসাম্রাজ্যবাদীনীতি : সমুদ্রগুপ্ত সম্পর্কিত ঐতিহাসিক উপাদান :-যেসকল উপাদান থেকে সমুদ্রগুপ্ত এবং তাঁর সাম্ৰাজ্যবাদী নীতি সম্পর্কে জানা যায় , সেগুলি হল –(i) হরিষেন কর্তৃক রচিত এলাহাবাদ প্রশস্তি।(ii) মধ্যপ্রদেশে প্রাপ্ত এরাণ লিপি।(iii) সমুদ্রগুপ্ত কর্তৃক প্রচারিত বিভিন্ন ধরণের পাঁচ প্রকার মুদ্রা।(iv) চৈনিক বিবরণ।(v) অন্যান্য মুদ্রা , বাগেলখন্ড শিলালিপি – ইত্যাদি। সমুদ্রগুপ্তের রাজ্যজয়ের উদ্দেশ্য : মৌর্য পরবর্তী যুগে ভারতের … বিস্তারিত পড়ুন

হর্ষবর্ধনের শাসন ব্যবস্থা সমন্দে আলোচনা কর?

ভূমিকাঃ প্রাচীন ভারতীয় রাজতন্ত্রে রাজাই সর্বশক্তির আধার হিসেবে কাজ করতেন। সুতরাং রাজার যোগ্যতার ওপর শাসন ব্যবস্থার সাফল্য নির্ভর করত। হর্ষবর্ধন এই কথা ভালভাবে বুঝতেন। ফলে তিনি প্রায় সারাদিন রাজকার্যে ব্যস্ত থাকতেন। রাজকর্মচারীদের ওপর অন্ধভাবে নির্ভর না করে তিনি নিজে তাদের কাজের তদারকি করতেন। হিউয়েন সাং-এর মতে, হর্ষের শাসন ব্যবস্থার বৈশিষ্ট্য ছিল, প্রজাদের সঙ্গে গণ সংযোগ … বিস্তারিত পড়ুন

গুপ্ত যুগের বিজ্ঞানের অগ্রগতি সম্পর্কে আলোচনা করো

ভূমিকা : প্রাচীন ভারতে ‘সুবর্নযুগ‘ হিসাবে খ্যাত গুপ্ত যুগে একদিকে যেমন সাহিত্যের বিকাশ ঘটেছিল অন্যদিকে তেমনই বিজ্ঞানচর্চারও প্রভুত উন্নতি হয়েছিল। জ্যোতির্বিদ্যা, গণিত, চিকিৎসা বিজ্ঞান, ভেষজ শাস্ত্র, রসায়ন, খনি ও ধাতুবিদ্যা প্রভৃতি বিজ্ঞানের নানা শাখার উন্নতি এই সময় লক্ষ্য করা যায়। গুপ্তযুগে বিজ্ঞানের এই অভূতপূর্ব অগ্রগতি সম্ভব হয়েছিল গুপ্ত রাজাদের পৃষ্ঠপোষকতায় ও তাদের আনুকূল্যে। গুপ্ত যুগের বিজ্ঞান … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress