টীকা লেখো: সপ্তসিন্ধু।

সপ্তসিন্ধু: এড. এ সি দাস পঞ্জাবের ‘সপ্তসিন্ধু’ অঞ্চলকে ঋগ্‌বৈদিক আর্যদের আদি বাসস্থান বলে চিহ্নিত করেছেন। এই সপ্তসিন্ধু অর্থাৎ শতষু, বিপাশা, ইরাবতী বা রাভি, চন্দ্রভাগা বা চেনাব, বিতস্তা বা ঝিলাম, সিন্ধু ও সরস্বতী নদীর উপকূল অঞ্চলকে বোঝায়। বর্তমানের উত্তর-পশ্চিম সীমান্ত প্রদেশ, সিন্ধু ও পাঞ্জাব নিয়ে গঠিত এই অঞ্চল ঋগ্বেদে ‘ব্রহ্মাবর্ত’ বা ‘ঈশ্বরের দেশ’ নামে পরিচিত ছিল। … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো: সভা ও সমিতি।

সভা ও সমিতি: ঋগ্‌বৈদিক যুগে রাজাকে ‘সভা’ ও ‘সমিতি’ নামক দুটি গণপরিষদ প্রশাসনিক কাজে সাহায্য করত। ‘সভা’ ছিল বয়োজ্যেষ্ঠ ও জ্ঞানী বৃদ্ধদের প্রতিষ্ঠান। এখানে মহিলাদের প্রবেশাধিকার ছিল না। ‘সমিতি’র অধিবেশনে গোষ্ঠীর সকল মানুষই স্বাধীনভাবে যোগ দিতেন। রোমিলা থাপার বলেন, “কোনো-কোনো রাজ্যে রাজা থাকত না, এই দুটি সংগঠন শাসনকার্য পরিচালনা করত। প্রথম দিকে সমিতি রাজার ক্ষমতা … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো: ‘ঋগবেদ’

‘ঋগবেদ’ ইন্দো-ইউরোপীয় জনগোষ্ঠীর প্রথম পূর্ণাঙ্গ ধর্মীয় ও সাহিত্যিক কীর্তি হল ‘ঋগবেদ’, যা রচিত হয়েছিল 1500-1000 খ্রিস্টপূর্বাব্দের মধ্যে। ঋগ্বেদ দশটি মণ্ডলে বিভক্ত সহস্রাধিক স্তোত্র বা শ্লোকের সংকলন। দ্বিতীয় থেকে সপ্তম মণ্ডল বা পারিবারিক মণ্ডল ঋগ্বেদের প্রাচীনতম অংশ। নবম ও দশম মণ্ডল অনেক পরবর্তীকালের সংযোজন। ঋগবেদের আবার চারটি ভাগ আছে, তা হল-ব্রাহ্মণ, সংহিতা, আরণ্যক ও উপনিষদ। সংহিতার … বিস্তারিত পড়ুন

বর্ণব্যবস্থা বলতে কী বোঝো?

বর্ণব্যবস্থা ভারতে বর্ণবৈষম্যের সূচনা ঋগ্‌বৈদিক যুগের পূর্বে, আর্য ইতিহাসের ইন্দো-ইরানীয় পর্বে হয়েছিল। অধ্যাপক সুনীল চট্টোপাধ্যায় বলেছেন যে, আর্যরা আজ থেকে প্রায় 3500 বছর আগে ভারতবর্ষের সপ্তসিন্ধু অঞ্চলে বসতির বিস্তার ঘটায়। তখন গৌরবর্ণের আর্যরা কৃষ্ণবর্ণের আর্যদের থেকে নিজেদের পৃথক রাখার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। পরবর্তীতে বৈদিক সমাজে পেশাগত ভিত্তিতে চারটি বর্ণের উদ্ভব হয়। এই চারটি বর্ণ হল, … বিস্তারিত পড়ুন

আর্য শব্দের অর্থ কী? অথবা, আর্য বলতে কী বোঝো?

অথবা, আর্য কারা? আর্য কারা? ‘আর্য’ শব্দটির আক্ষরিক অর্থ হল ‘সদ্বংশজাত’। কিন্তু শব্দটি কখনও জাতিবাচক, কখনও ভাষাবাচক অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। খ্রিস্টপূর্ব পঞ্চম শতাব্দীতে পারসিক সম্রাট দরায়ুস নিজেকে আর্যবংশোদ্ভূত বলে দাবি করেছেন। ‘আর্য’ শব্দটিকে জাতিবাচক অর্থে ব্যবহার করে আর্যজাতির শ্রেষ্ঠত্ব প্রমাণ করার চেষ্টা করেছিলেন হিটলার ও তাঁর নাৎসি দল। কিন্তু বৈদিক সংস্কৃত ভাষায় ‘আর্য’ শব্দটি কখনোই … বিস্তারিত পড়ুন

হরপ্পা সভ্যতার পতনের কারণগুলি সম্পর্কে আলোচনা করো।

অথবা, সিন্ধু সভ্যতার পতনের কারণগুলি আলোচনা করো। হরপ্পা/সিন্ধু সভ্যতার পতনের কারণ: সিন্ধু বা হরপ্পা সভ্যতার মতো প্রাণবন্ত সভ্যতা কী কারণে বিলুপ্ত হয়, উপাদানের অভাবে তা সঠিকভাবে জানা যায়নি। তাই নিদর্শনগুলি পরীক্ষা করে ঐতিহাসিকরা এই সভ্যতা ধ্বংসের কারণ অনুমান করেছেন। এই সভ্যতার এক-একটি কেন্দ্র বা নগর আলাদা আলাদা কারণে অবলুপ্ত হয়। তবে এ কথা বলা যায়, … বিস্তারিত পড়ুন

ঐতিহ্য সৃষ্টিতে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার গুরুত্ব উদাহরণসহ ব্যাখ্যা কর।

ঐতিহ্য সৃষ্টিতে সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যতার গুরুত্ব: সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্য হল একক সংস্কৃতির বিপরীতে বৈচিত্র্যময় বা ভিন্ন সংস্কৃতির গুণ । বিভিন্ন প্রসঙ্গে এর বিভিন্ন অর্থ রয়েছে, কখনও কখনও যাদুঘরে শিল্পকর্ম বা অনলাইনে উপলব্ধ বিনোদনের মতো সাংস্কৃতিক পণ্যগুলিতে প্রয়োগ করা হয়, এবং কখনও কখনও একটি নির্দিষ্ট অঞ্চলে বা সমগ্র বিশ্বে বিভিন্ন মানব সংস্কৃতি বা ঐতিহ্যের ক্ষেত্রে প্রয়োগ করা হয়। … বিস্তারিত পড়ুন

জাতির গঠনে ঐতিহ্যের ভূমিকা এবং সম্মুখীন হওয়া প্রতিকূলতা সম্পর্কে আলোচনা কর

জাতির গঠনে ঐতিহ্যের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এবং বহুমাত্রিক। এটি একটি জাতির সংস্কৃতি, মূল্যবোধ, নীতি, এবং ইতিহাসকে ধারণ করে, যা জাতির পরিচয় এবং আত্মসম্মানবোধ গঠনে সহায়ক হয়। তবে ঐতিহ্য ধরে রাখার প্রক্রিয়ায় নানা প্রতিকূলতার সম্মুখীন হতে হয়। নিচে এই বিষয়ে বিশদ আলোচনা করা হলো: ঐতিহ্যের ভূমিকা: পরিচয় ও আত্মসম্মানবোধ: ঐতিহ্য জাতির পরিচয় এবং আত্মসম্মানবোধের ভিত্তি। এটি … বিস্তারিত পড়ুন

ভারতে ঐতিহ্য ব্যবস্থাপনা আইন সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ লেখ।

ভারতে ঐতিহ্য ব্যবস্থাপনা আইন: ভারতীয় ব্যবস্থাপনা সংস্থা কোঝিকোড় বা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ম্যানেজমেন্ট কোঝিকোড় (আইআইএম কোঝিকোড় বা আইআইএমইকে) কেরালার কালিকট (কোঝিকোড়) শহরে অবস্থিত একটি সরকারী ব্যবস্থাপনা বিদ্যালয় বা বিজনেস স্কুল। কেরালার রাজ্য সরকারের সহযোগিতায় ভারত সরকার কর্তৃক ১৯৯৬ সালে প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানটি ভারতে পরিচালিত ২০ টি ভারতীয় ব্যবস্থাপনা সংস্থা বা ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ম্যানেজমেন্ট (আইআইএম)- … বিস্তারিত পড়ুন

UNESCO (ইউনেস্কো) স্বীকৃত ঐতিহ্যবাহী কেন্দ্র হিসাবে দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ে সম্পর্কে একটি প্রবন্ধ লেখ।

ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট হিসেবে কুড়ি বছর ধরে তকমা ধরে রাখার পরও দার্জিলিং হিমালয়ান রেলওয়ের (ডিএইচআর) নির্দিষ্ট সীমানা নির্দেশ করা হয়নি। এবার সেই লক্ষে কাজ শুরু করবে ডিএইচআর এবং ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট প্রতিনিধি দল। সম্প্রতি দু’দিনের বৈঠকে উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেল, দার্জিলিং হিমালয়ান রেলের সঙ্গে ইউনেস্কো প্রতিনিধি দল বৈঠক করে। সেখানেই উভয়পক্ষের মধ্যে আলোচনায় নির্দিষ্ট সীমানা … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress