টীকা লেখো তাম্র-প্রস্তর যুগ।

প্রস্তর যুগে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ব্যবহার করত, পরবর্তীকালে অর্থাৎ, প্রস্তর যুগের শেষ পর্যায়ে মানুষ পাথরের হাতিয়ার ব্যবহারের সঙ্গে সঙ্গে ধাতু হিসেবে তামার ব্যবহার শুরু করেছিল। আনুমানিক 8000 থেকে 3000 হাজার খ্রিস্টপূর্ব পর্যন্ত তাম্র-প্রস্তর যুগ বিস্তৃত ছিল। নব্যপ্রস্তর যুগের শেষে মানুষ তামার ব্যবহার শুরু করেছিল। ভারত, প্রাচীন মিশর ও মেসোপটেমিয়ায় তাম্র-প্রস্তর যুগের বহু নিদর্শন পাওয়া গেছে। … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাগৈতিহাসিক যুগ ও প্রায়-ঐতিহাসিক যুগের মধ্যে পার্থক্য লেখো।

প্রাগৈতিহাসিক যুগ ও প্রায় ঐতিহাসিক যুগের মধ্যে পার্থক্য নীচে আলোচনা করা হল- প্রাগৈতিহাসিক যুগ: খ্রিস্টজন্মের কয়েক লক্ষ বছর আগে ভারতে মানুষের বসবাস শুরু হয় এবং ধীরে ধীরে সভ্যতার উন্মেষ ঘটতে থাকে। তবে এই সময়কালের ইতিহাসের জন্য কোনো লিখিত বিবরণ পাওয়া যায় না। মানুষের ব্যবহৃত হাতিয়ার, জয়ী যন্ত্রপাতি ও দ্রব্যাদির ওপর ভিত্তি করে এই সময়ের ইতিহাস … বিস্তারিত পড়ুন

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝো?

প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ বলতে সেই সময়কে বোঝায়, যখন লিপির ব্যবহার শুরু হয়েছে, কিন্তু লিপির পাঠোদ্ধার এখনও সম্ভব হয়নি। যেমন-হরপ্পা সভ্যতার কথা বলা যায়। যদিও অনেক ঐতিহাসিক কালবিভাজনে লিপিজ্ঞানকে গুরুত্ব দিতে চান না। কারণ সেটি করলে বৈদিক যুগকেও প্রায়-ঐতিহাসিক যুগ ধরতে হয়। কারণ তাদের লিপিজ্ঞান ছিল কিন্তু এখনও বর্ণমালা আবিষ্কৃত হয়নি। এই বিতর্ক দূর করার জন্য কিছু … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে কী বোঝো?

সমগ্র বিশ্বের পরিপ্রেক্ষিতে মানবসভ্যতার সূচনা হয় যিশুখ্রিস্টের জন্মের আনুমানিক পাঁচ লক্ষ বছর পূর্বে। প্রাগৈতিহাসিক যুগ বলতে সেই সময়কালকে বোঝায় যখন মানুষের কোনো লিখিত বিবরণ পাওয়া যায়নি। মানুষের ব্যবহৃত জিনিসপত্র, অস্ত্রশস্ত্র, যন্ত্রপাতির ওপর ভিত্তি করেই এই সময়ের ইতিহাস লেখা হয়েছে। এই যুগ প্রাক্-লিপি সংস্কৃতিসমূহের পরিচায়ক। এইসময় মানুষ লিপি বা অক্ষরের ব্যবহার জানত না। এই যুগের সংস্কৃতি … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের প্রস্তর চিত্রের ওপর সংক্ষিপ্ত টীকা লেখো।

প্রাচীন ভারতে প্রস্তর চিত্র ইতিহাসের উপাদান হিসেবে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। মূলত প্রাগৈতিহাসিক যুগের ইতিহাস জানতে গেলে সেক্ষেত্রে প্রস্তর চিত্রের ভূমিকা অনস্বীকার্য। প্রস্তর যুগে আদিম মানুষ পশুর হাড় ও শিং দিয়ে গুহার দেয়ালে ছবি আঁকতে শিখেছিল। আদিম মানুষের পশুচিত্রের প্রধান বিষয় ছিল শিকার। এ ছাড়া বিভিন্ন জ্যামিতিক নকশা খোদাই করা বেশকিছু প্রস্তর চিত্র পাওয়া গেছে।এইত বিকা্যোস মূলার … বিস্তারিত পড়ুন

‘প্রস্তর যুগ’ বলতে কী বোঝো?

যে যুগের মানুষ তাদের দৈনন্দিন জীবনের জিনিসপত্র, হাতিয়ার, যন্ত্রপাতি তৈরিতে শুধুমাত্র পাথর বা প্রস্তর ব্যবহার করত, কোনোরকম ধাতুর ব্যবহার করতে শেখেনি বা জানত না, সেই যুগ প্রস্তর যুগ নামে পরিচিত। হাতিয়ার ও যন্ত্রপাতির আকার এবং তীক্ষ্ণতা দেখে ঐতিহাসিকগণ প্রস্তর যুগকে অর্থাৎ খ্রিস্টপূর্ব 5,00,000 থেকে খ্রিস্টপূর্ব 3000 অব্দ পর্যন্ত সময়কালকে তিন ভাগে বিভক্ত করেছেন-প্রাচীন প্রস্তর, মধ্যপ্রস্তর … বিস্তারিত পড়ুন

‘নব্যপ্রস্তরকালীন বিপ্লব’ বলতে কী বোঝো?

অথবা, ‘নবাশ্মীয় বিপ্লব’ বলতে কী বোঝো? অথবা, ‘নব্যপ্রস্তর যুগের সংস্কৃতি’ বলতে কী বোঝো? আনুমানিক খ্রিস্টপূর্ব ৪000 থেকে 4000 অব্দ পর্যন্ত সময়কালকে ‘নতুন পাথরের যুগ’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়। নব্যপ্রস্তর যুগে মানুষের জীবনযাত্রার অভাবনীয় উন্নতি ঘটেছিল। এইসময় মানুষ যাযাবর জীবনযাপন ত্যাগ করে স্থায়ীভাবে বসতবাড়ি নির্মাণ করেছিল। মানুষ খাদ্য সংগ্রহকারী থেকে স্থায়ী বসবাসকারীতে পরিণত হয়েছিল। কৃষিকাজের আবিষ্কার, … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির গুরুত্ব আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির গুরুত্ব: প্রাচীন ভারতীয় ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে ত্রে প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের গুরুত্ব সর্বাপেক্ষা বেশি। যে বিজ্ঞানের সাহায়ে সুনির্দিষ্ট পদ্ধতিতে মাটি খনন করে আবিষ্কৃত বস্তু নিদর্শন ও ভূপৃষ্ঠে প্রাপ্ত পুরোনো বস্তু থেকে প্রাচীন মানুষের বাস্তব জীবন সম্পর্কে জানা যায়, তাকে ‘প্রত্নতত্ত্ব’ বলা হয়। ইউরোপীয় প্রত্নতাত্ত্বিক স্যার উইলিয়ম জোদ্দ, জেমস্ প্রিন্দেশ, হ্যামিলটন … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সাহিত্যিক উপাদানগুলির গুরুত্ব আলোচনা করো।

অথবা, প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদান হিসেবে সাহিত্যিক উপাদানগুলির গুণাগুণ বিচার করো। প্রাচীন ভারতের ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে সাহিত্যিক উপাদানগুলির গুরুত্ব: প্রাচীন ভারতবর্ষে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন শাখায় ভারতীয়রা অসাধারণ উন্নতি ঘটালেও প্রকৃত ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে তাঁরা কোনো ছাপ ফেলতে পারেননি। তবে প্রাচীন ভারতে বৌদ্ধিক বা সাহিত্যিক কর্মকান্ডের অভাব ছিল না। তাঁরা আইন, শাস্ত্র, ধর্ম, রাজনীতি, নীতিশাস্ত্র প্রভৃতি বিষয় … বিস্তারিত পড়ুন

সাহিত্যিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানগুলির মধ্যে পার্থক্য আলোচনা করো।

প্রাচীন ভারতের ইতিহাসের উপাদানগুলি আলোচনা করলে দেখা যায় সাহিত্যিক ও প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের মধ্যে সুস্পষ্ট কিছু পার্থক্য রয়েছে- • প্রথমত, সাহিত্যিক উপাদানের মতো প্রত্নতাত্ত্বিক উপাদানের পরিবর্তন আসে না। প্রাকৃতিক কারণে নষ্ট হওয়া বা ভেঙে যাওয়া ছাড়া তা অপরিবর্তিতই থাকে। যেমন- জাদুঘরে রাখা মুদ্রাগুলি যেমন ছিল, তেমনই আছে এবং ভবিষ্যতেও থাকবে। শুধু ঐতিহাসিকদের ব্যাখ্যা করার দৃষ্টিভঙ্গি বদলায়, … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress