আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস হিসেবে ‘আরণ্যক’ উপন্যাসকে গ্রহণ করা যায় কি? আলোচনা করো।

‘আরণ্যক’ উপন্যাসটিকে পুরোপুরি আত্মজীবনীমূলক উপন্যাস হিসেবে চিহ্নিত করা না গেলেও, এতে লেখকের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা ও অনুভূতির প্রভাব সুস্পষ্ট। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিহারে কর্মজীবনের অভিজ্ঞতা ও সেখানকার প্রকৃতির প্রতি তাঁর মুগ্ধতা এই উপন্যাসে প্রতিফলিত হয়েছে। আলোচনা: আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসের বৈশিষ্ট্য: আত্মজীবনীমূলক উপন্যাসে লেখকের ব্যক্তিগত জীবন, অভিজ্ঞতা, আবেগ ও অনুভূতিগুলি প্রতিফলিত হয়। এই ধরনের উপন্যাসে প্রায়শই লেখকের শৈশব, কৈশোর, … বিস্তারিত পড়ুন

বাংলা ছন্দে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান আলোচনা করো।

বাংলা ছন্দে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান– বাংলা ছন্দের ইতিহাসে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৭৬-১৯৫৫) একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা কবিতায় ছন্দের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন এবং তার অনুসরণে বাংলা কবিতায় ছন্দের ব্যবহার আরও সুসংগঠিত এবং নিয়মিত হয়। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত শুধু কবি হিসেবেই পরিচিত নন, বরং বাংলা ছন্দের এক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার অবদান অমূল্য। তিনি যে সব পদ্ধতি … বিস্তারিত পড়ুন

নিদর্শনা অলংকারের সংজ্ঞা লেখো এবং উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

নিদর্শনা অলংকার (Pathos) হলো একটি ধরনের অলংকার, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার বা বিষয়ের মাধ্যমে কিছু প্রাঞ্জল বা অনুভূতির প্রকাশ ঘটে। এটি মূলত ভাষার মাধ্যমে কোনো বিষয় বা অনুভূতি প্রকাশের পদ্ধতি, যা পাঠকের মনের মধ্যে এক ধরনের অনুভূতি বা ভাব সৃষ্টি করে। এই অলংকারে সাধারণত উদাহরণ বা ঘটনাবলী তুলে ধরার মাধ্যমে কোনো বিষয়, অনুভূতি বা ভাব … বিস্তারিত পড়ুন

যমক ও শ্লেষ অলংকারের পার্থক্যগুলি উদাহরণসহ আলোচনা করো।

যমক ও শ্লেষ অলংকারের পার্থক্য যমক ও শ্লেষ দুটি আলাদা অলংকার যা কবিতায় ব্যবহৃত হয়, তবে এদের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এই অলংকারগুলো শব্দের দ্বৈত অর্থ বা সমার্থক শব্দের ব্যবহার মাধ্যমে ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তবে, তাদের ব্যবহারে এবং উদ্দেশ্যে পার্থক্য রয়েছে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল: ১. যমক অলংকার: যমক অলংকার হচ্ছে একটি … বিস্তারিত পড়ুন

সমাসোক্তি কাকে বলে? উদাহরণসহ বুঝিয়ে দাও।

সমাসোক্তি কাকে বলে? সমাসোক্তি হল এমন একটি ভাষাগত প্রক্রিয়া, যেখানে দুটি বা তার অধিক শব্দ একত্রিত হয়ে একটি নতুন শব্দ গঠন করে। এই প্রক্রিয়ায় দুটি শব্দ একত্রিত হওয়ার ফলে তাদের সম্মিলিত অর্থ প্রকাশ পায়, কিন্তু প্রতিটি শব্দের নিজস্ব অর্থ পুরোপুরি হারিয়ে যায় না। সমাসোক্তি শব্দের গঠন প্রক্রিয়া বাংলার ভাষাগত সৌন্দর্য এবং শব্দের সংক্ষিপ্ততা বৃদ্ধিতে সাহায্য … বিস্তারিত পড়ুন

মুক্তক ও গদ্য ছন্দের পার্থক্য কোথায়? উদাহরণসহ এই। দুই ছন্দের বৈশিষ্ট্যের উল্লেখ করে বুঝিয়ে দাও।

মুক্তক ও গদ্য ছন্দের পার্থক্য মুক্তক ও গদ্য ছন্দ বাংলা ছন্দের দুটি ভিন্ন রূপ, এবং তাদের মধ্যে পার্থক্য রয়েছে: ১. মুক্তক ছন্দ: ২. গদ্য ছন্দ: পার্থক্য:

(ক) ‘বাংলা ছন্দের মূলসূত্র’, ‘কবিতার ক্লাস’, ‘ছন্দের বারান্দা’- এই গ্রন্থগুলি রচয়িতাদের নাম লেখো।

ANS- ‘বাংলা ছন্দের মূলসূত্র’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন শঙ্খ ঘোষ, ‘কবিতার ক্লাস’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন সুনীল গঙ্গোপাধ্যায়, এবং ‘ছন্দের বারান্দা’ গ্রন্থের রচয়িতা হলেন মিহির সেন। এই তিনটি গ্রন্থ বাংলা কবিতা ও ছন্দের গুরুত্ব এবং তাদের শৈলী নিয়ে বিশদ আলোচনা করেছে। (খ) মোহিতলাল মজুমদারের ছন্দ সম্পর্কিত গ্রন্থটির নাম ছন্দকে কি নামে অভিহিত করেন? কী? গ্রন্থটি কত সালে … বিস্তারিত পড়ুন

‘এষা’ কাব্যকে গীতিকবিতা বলা যায় কিনা আলোচনা করো।

‘এষা’ কাব্যকে গীতিকবিতা বলা যায় কিনা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এষা’ কাব্যকে গীতিকবিতা বলা যেতে পারে, তবে এটি কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত। গীতিকবিতা সাধারণত সংক্ষিপ্ত, গভীর আবেগঘন, এবং কোনো একটি অনুভূতি বা মনের ভাব প্রকাশে নিবদ্ধ থাকে। ‘এষা’ কাব্যের কবিতাগুলি এই বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যদিও এর ব্যতিক্রমী কিছু দিকও রয়েছে। নিচে এটি গীতিকবিতা বলা যায় … বিস্তারিত পড়ুন

Q1. বীরাঙ্গনা’ কাব্যের পত্রগুলিকে বিষয়গতভাবে ক’টি শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা যায়? যে-কোনো দুটি শ্রেণীর একটি করে পত্রের নাম লেখো।

ANS- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যের পত্রগুলি বিষয়গতভাবে প্রধানত দুটি শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা যায়: প্রত্যেক পত্রে নারীচরিত্রের গভীর অনুভূতি ও মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন প্রকাশিত হয়েছে। Q2. ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ও একাদশ সংখ্যক পত্রের নাম এই কাব্যে ক’টি পত্র লেখার পরিকল্পনা করেছিলেন? ANS- মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও একাদশ পত্রের নাম যথাক্রমে: … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন বাংলা ভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য

প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার বিষম ব্যঞ্জনের মিলনে গঠিত যুক্ত ব্যঞ্জনগুলি মধ্যভারতীয় আর্যভাষায় সমীভূত হয়ে সমব্যঞ্জনে গঠিত যুগ্মব্যঞ্জনে পরিণত হয়েছিল। যেমন, পর্বত > পব্বত, বা, জন্ম > জন্ম। প্রাচীন বাংলায় এই যুগ্ম ব্যঞ্জনের মধ্যে একটি লুপ্ত হল। যেমন পব্বত পবত, জন্ম জম। এই লোপের ক্ষতিপূরণস্বরূপ পূর্ববর্তী স্বরধ্বনি দীর্ঘ হল। যেমন- পবত (প্+অ+ ব্‌+অ+ত্+অ)> পাবত (প্+আব্‌+অ+ত্+অ) বা জম … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress