গীতিকবিতা হিসাবে ‘ঝুলন’ কবিতার সার্থকতা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘ঝুলন’ কবিতা প্রকৃতি, প্রেম এবং ভক্তি-রসে সিক্ত একটি অনন্য গীতিকবিতা। এটি কেবলমাত্র তার আবেগময়তা ও কাব্যিক সৌন্দর্যের জন্যই নয়, বরং এর ছন্দ, গীতিময়তা এবং গভীর অনুভূতি প্রকাশের জন্য গীতিকবিতার অন্যতম সার্থক উদাহরণ। গীতিকবিতার বৈশিষ্ট্য এবং ‘ঝুলন’ কবিতা ১. গীতিময়তা ও সুরের অনুভব:গীতিকবিতা সুরের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত, এবং ‘ঝুলন’ … বিস্তারিত পড়ুন
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এষা’ কাব্যের ‘অশৌচ’ পর্বের ১২-সংখ্যক কবিতা গভীর দার্শনিক ভাবনা এবং আবেগের মিশ্রণে রচিত। এই কবিতায় মানবজীবনের ক্ষণস্থায়িত্ব এবং শোকের মধ্য দিয়ে অমরত্বের সন্ধানের প্রতিফলন দেখা যায়। ভাববস্তু কবিতায় মূলত মানবজীবনের চিরন্তন সত্য—জন্ম, মৃত্যু, এবং তার মধ্যবর্তী সময়ের শূন্যতা—নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে। এখানে কবি মৃত্যুকে জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হিসেবে দেখেছেন, যা ব্যক্তিকে আত্ম … বিস্তারিত পড়ুন
‘এযা’ কাব্যকে গীতিকবিতা বলা যায় কিনা আলোচনা – রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের ‘এষা’ কাব্যকে গীতিকবিতা বলা যেতে পারে, তবে এটি কিছু নির্দিষ্ট বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্ধারিত। গীতিকবিতা সাধারণত সংক্ষিপ্ত, গভীর আবেগঘন, এবং কোনো একটি অনুভূতি বা মনের ভাব প্রকাশে নিবদ্ধ থাকে। ‘এষা’ কাব্যের কবিতাগুলি এই বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ, যদিও এর ব্যতিক্রমী কিছু দিকও রয়েছে। নিচে এটি গীতিকবিতা বলা … বিস্তারিত পড়ুন
বীরাঙ্গনা’ কাব্যের পত্রগুলিকে বিষয়গতভাবে ক’টি শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা যায়? যে-কোনো দুটি শ্রেণীর একটি করে পত্রের নাম লেখো। মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যের পত্রগুলি বিষয়গতভাবে প্রধানত দুটি শ্রেণীতে বিন্যস্ত করা যায়: প্রত্যেক পত্রে নারীচরিত্রের গভীর অনুভূতি ও মনস্তাত্ত্বিক টানাপোড়েন প্রকাশিত হয়েছে। ‘বীরাঙ্গনা’ কাব্যের দ্বিতীয়, চতুর্থ ও ও একাদশ সংখ্যক পত্রের নাম এই কাব্যে ক’টি পত্র লেখার … বিস্তারিত পড়ুন
বক্রোক্তি, ভ্রান্তিমান, ব্যাজস্তুতি ও অসঙ্গতি—এই চারটি ভাষিক অলংকার বা শৈলী বাংলা সাহিত্য এবং ভাষায় ব্যবহৃত হয় বিশেষত গভীর অর্থ ও অনুভূতির প্রকাশে। প্রতিটি অলংকারেই কোনো না কোনো প্রচ্ছন্ন বা দৃশ্যমান বিপরীততা, অতিরঞ্জনা বা অসম্ভব কিছু থাকে, যা ভাষার মাধ্যমে সূক্ষ্মভাবে প্রकट হয়। এখানে আমরা একে একে এই শব্দগুলির সংজ্ঞা, বৈশিষ্ট্য এবং উদাহরণ সহ বিস্তারিত আলোচনা … বিস্তারিত পড়ুন
উপমা অলংকারের পরিচয় ও প্রকারভেদ বাংলা সাহিত্যে অলংকার হলো ভাষার শৈল্পিক ব্যবহার, যা কবিতাকে আরো সৌন্দর্য, আবেগ এবং গাম্ভীর্য প্রদান করে। উপমা অলংকার (Simile) একটি অতি প্রচলিত অলংকার, যা কবিতায় কোনো বস্তু বা পরিস্থিতির তুলনা করতে ব্যবহৃত হয়। এর মাধ্যমে কোনোকিছু বা কাউকে অন্য কোনো জিনিসের সঙ্গে তুলনা করা হয় এবং সেই তুলনা বিশেষ কোনো … বিস্তারিত পড়ুন
বাংলা প্রধান তিন ছন্দের পার্থক্যগুলি উদাহরণসহ আলোচনা বাংলা কবিতায় প্রধান তিনটি ছন্দ হলো অক্ষরবৃত্ত, মাত্রাবৃত্ত, এবং তালবদ্ধ ছন্দ। এই তিনটি ছন্দের মধ্যে যথেষ্ট পার্থক্য রয়েছে, যা কবিতার গঠন, rhythm (গতি), এবং উচ্চারণের ক্ষেত্রে প্রকাশিত হয়। এই তিনটি ছন্দের পার্থক্য এবং তাদের উদাহরণ নিয়ে আলোচনা করা হবে। ১. অক্ষরবৃত্ত ছন্দ (Aksharvriddh অক্ষরবৃত্ত ছন্দ বাংলা কবিতার এক … বিস্তারিত পড়ুন
বাংলা ছন্দে সত্যেন্দ্রনাথ দত্তের অবদান বাংলা ছন্দের ইতিহাসে সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত (১৮৭৬-১৯৫৫) একজন অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিত্ব। তিনি বাংলা কবিতায় ছন্দের নতুন দিগন্ত উন্মোচন করেন এবং তার অনুসরণে বাংলা কবিতায় ছন্দের ব্যবহার আরও সুসংগঠিত এবং নিয়মিত হয়। সত্যেন্দ্রনাথ দত্ত শুধু কবি হিসেবেই পরিচিত নন, বরং বাংলা ছন্দের এক বিশেষজ্ঞ হিসেবে তার অবদান অমূল্য। তিনি যে সব পদ্ধতি … বিস্তারিত পড়ুন
নিদর্শনা অলংকার (Pathos) হলো একটি ধরনের অলংকার, যেখানে কোনো নির্দিষ্ট ঘটনার বা বিষয়ের মাধ্যমে কিছু প্রাঞ্জল বা অনুভূতির প্রকাশ ঘটে। এটি মূলত ভাষার মাধ্যমে কোনো বিষয় বা অনুভূতি প্রকাশের পদ্ধতি, যা পাঠকের মনের মধ্যে এক ধরনের অনুভূতি বা ভাব সৃষ্টি করে। এই অলংকারে সাধারণত উদাহরণ বা ঘটনাবলী তুলে ধরার মাধ্যমে কোনো বিষয়, অনুভূতি বা ভাব … বিস্তারিত পড়ুন
যমক ও শ্লেষ অলংকারের পার্থক্য যমক ও শ্লেষ দুটি আলাদা অলংকার যা কবিতায় ব্যবহৃত হয়, তবে এদের মধ্যে একটি মৌলিক পার্থক্য রয়েছে। এই অলংকারগুলো শব্দের দ্বৈত অর্থ বা সমার্থক শব্দের ব্যবহার মাধ্যমে ভাষার সৌন্দর্য বৃদ্ধি করে। তবে, তাদের ব্যবহারে এবং উদ্দেশ্যে পার্থক্য রয়েছে। নিচে বিস্তারিত আলোচনা করা হল: ১. যমক অলংকার: যমক অলংকার হচ্ছে একটি … বিস্তারিত পড়ুন
Bengali 
English