উচ্চারণস্থান অনুযায়ী বাংলা ব্যঞ্জন ধ্বনি গুলির শ্রেণিবিন্যাস করো।

ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণ কী ভাবে হয় উৎপত্তিগত দিক দিয়ে স্বরধ্বনির সঙ্গে ব্যঞ্জনধ্বনির একটি মূলগত পার্থক্য রয়েছে। এই আলোচনায় আমরা সেই মৌলিক পর্থক্যটিতেই আলোকপাত করতে চেষ্টা করব। ব্যঞ্জনধ্বনির সংজ্ঞা হিসেবে বলা যায়: যে ধ্বনিকে উচ্চারণ করার জন্য শ্বাসবায়ুকে বাগ্যন্ত্রের কোথাও না কোথাও বাধা দিতে হয়, তাকে ব্যঞ্জনধ্বনি বলে। উচ্চারণ স্থান অনুসারে ব্যঞ্জনের শ্রেণিবিভাগ : বাংলার অধিকাংশ ব্যঞ্জন … বিস্তারিত পড়ুন

বহুব্রীহি সমাস বলতে কী বোঝো? দৃষ্টান্তসহ আলোচনা করো।

বহুব্রীহি সমাস :-  বহুব্রীহি নাম দ্বারায় এর পরিচয় বুঝা যায়। ব্রীহি শব্দের অর্থ ধান। তবে এ শব্দটি দ্বাার বহু ধান বোঝায় না বরং বহু ধান আছে এমন ধনী ব্যক্তিকে বোঝায়। যে সমাসে সমস্যমান পদগুলোর কোনটির অর্থ না বুঝিয়ে, অন্য কোন পদকে বা অর্থ বোঝায় তাকে বহুব্রীহি সমাস বলে। বহুব্রীহি সমাসের ব্যাসবাক্যে সাধারণত যার, যাতে, যা ব্যবহৃত হয়। যেমনঃ নীল কন্ঠ … বিস্তারিত পড়ুন

উদাহরণসহ উপসর্গ ও অনুসর্গ-এর পার্থক্যগুলো চিহ্নিত করো।

উপসর্গ ও অনুসর্গের মধ্যে পার্থক্য– ১। যেসব অব্যয় শব্দের নিজস্ব কোনো অর্থ নেই, কিন্তু অন্য শব্দের আগে যুক্ত হয়ে সে শব্দের নতুন অর্থ সৃষ্টি করে, সেসব অব্যয় শব্দকেই উপসর্গ বলে। পক্ষান্তরে যেসব অব্যয় বিশেষ্য ও সর্বনামের পরে বসে বিভক্তির কাজ করে, সেগুলোকে অনুসর্গ বলে। ২। উপসর্গ নামবাচক বা কৃদন্ত শব্দের আগে বসে। পক্ষান্তরে অনুসর্গ বিশেষ্য … বিস্তারিত পড়ুন

টীকা লেখো স্বরসংগতি।

স্বরসংগতি। স্বরসঙ্গতি –  একটি স্বরধ্বনির প্রভাবে শব্দে অপর স্বরের পরিবর্তন ঘটলে তাকে স্বরসঙ্গতি বলে। অর্থাৎ দুইটি স্বরধ্বনির মধ্যে সঙ্গতি রক্ষার জন্য একটির প্রভাবে আরেকটি পরিবর্তিত হলে তখন তাকে স্বরসঙ্গতি বলি। যেমন- দেশি দিশি, বিলাতি>বিলিতি। স্বরসঙ্গতি এর প্রকারভেদ স্বরসঙ্গতি আবার ৫ প্রকার। যথাঃ ১) প্রগত ২) পৰাগত ৩) মধ্যগত ৪) অন্যোন্য ৫) চলিত বাংলায় স্বরসঙ্গতি। আরো … বিস্তারিত পড়ুন

বিভক্তি’ কী ও প্রধানত কতপ্রকার ? প্রতি প্রকার বিভক্তির তিনটি করে উদাহরণ দাও।

বিভক্তি কাকে বলে ? যে সব বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টি শব্দ বা ধাতুর শেষে সংযুক্ত হয়ে অর্থপ্রকাশ করে ,সেই সব বর্ণ বা বর্ণ সমষ্টিকে বিভক্তি বলে । যেমন – কে ,রে ,এর ইত্যাদি বিভক্তি কত প্রকার ও কি কি ? বিভক্তিকে মূলত দুই ভাগে ভাগ করা যায় ।যথা : শব্দ বিভক্তি ও ধাতু বিভক্তি । … বিস্তারিত পড়ুন

লোকনিরুক্তি কাকে বলে ? দৃষ্টান্ত দাও।

লোকনিরুক্তি কাকে বলে ? অচেনাকে চেনা ছকে ফেলতে আমরা চিরকালই পছন্দ করি। অচেনা শব্দকেও আমরা তাই চেনা শব্দের আদলে ঢেলে নিতে চেষ্টা করি। যেমন বিদেশি ভাষার অচেনা শব্দ Hospital(হসপিটাল) বাংলা ভাষায় প্রবেশ করে ‘হাসপাতাল’ হয়ে গেছে। ‘পাতাল’ কথাটি আমাদের চেনা, তাই হসপিটাল হয়েছে হাসপাতাল। এই ধরনের পরিবর্তনের নাম লোকনিরুক্তি। তাহলে লোকনিরুক্তি কাকে বলে? উঃ- কোনো … বিস্তারিত পড়ুন

উপসর্গ যোগে তিনটি শব্দ গঠন করো।

উপসর্গ যোগে তিনটি শব্দ – বাংলা ব্যাকরণে কতগুলো অব্যয়বাচক শব্দাংশ আছে যার নিজস্ব কোন অর্থ নেই কিন্তু অন্য শব্দের পূর্বে বসে সেই শব্দটিকে নতুন শব্দে পরিণত করে, এগুলোকেই উপসর্গ বলে। উপসর্গ ব্যবহারের ফলে শব্দে বিভিন্ন ধরনের পরিবর্তন হয়। ১. নতুন শব্দ গঠন করে। ২. শব্দের অর্থের পরিবর্তন ঘটায়। ৩. অর্থের বিশিষ্টতা দান করে । ৪. … বিস্তারিত পড়ুন

উদাহরণসহ সংজ্ঞা লেখো অভিশ্রুতি।

অভিশ্রুত : অপিনিহিতির প্রভাবজাত ই কিংবা উ-ধ্বনি পূর্ববর্তী স্বরধ্বনির সঙ্গে মিলে শব্দের পরিবর্তন ঘটালে তাকে অভিশ্রুতি বলে। যেমন : মানিয়া > মাইন্যা > মেনে, করিয়া > কইর্যা > করে, বাছিয়া > বাইছ্যা > বেছে, শহরিয়া > শহইর্যা > শহুরে, মাছুয়া > মাউছ্যা > মেছাে, ।

উদাহরণসহ সংজ্ঞা লেখো জোড়কলম

জোড়কলম শব্দ: একাধিক রূপের মিশ্রণের ফলেই তৈরি হয় পাের্টম্যানটু ওয়ার্ড বা জোড়কলম শব্দ। যখন একটি শব্দ বা শব্দাংশের সঙ্গে অন্য শব্দ বা শব্দাংশ। জুড়ে একটি নতুন শব্দ তৈরি করা হয়, তখন তাকে বলে জোড়কলম শব্দ। যেমন-আরবি ‘মিন্নৎ’ শব্দের প্রথমাংশ এবং সংস্কৃত ‘বিজ্ঞপ্তি’ শব্দের শেষাংশ জুড়ে তৈরি হয়েছে জোড়কলম শব্দ ‘মিনতি’। জোড়কলম শব্দ ‘ধোঁয়াশা’ সৃষ্টি হয়েছে … বিস্তারিত পড়ুন

কারক কাকে বলে ? কারক কয়প্রকার ও কী কী ?

কারক কাকে বলে ? বাক্যস্থিত ক্রিয়াপদের সাথে নামপদ বা বিশেষ্য ও সর্বনাম পদের যে সম্পর্ক তাকে কারক বলে। বিশেষণপদ যখন বিশেষ্য রূপ ব্যবহৃত হয় তখন তাকেও কারক বলে কারক কয় প্রকার ও কী কী ? আধুনিক বাংলা ব্যাকরণে কারক ছয় প্রকার। সূতরাং কারক ছয় প্রকার। যথা ১) কর্তৃকারক ২) কর্মকারক ৩) করণ কারক 4) সম্প্রদান … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress