প্রাচীন বাংলা ভাষার ধ্বনিতাত্ত্বিক বৈশিষ্ট্য

প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার বিষম ব্যঞ্জনের মিলনে গঠিত যুক্ত ব্যঞ্জনগুলি মধ্যভারতীয় আর্যভাষায় সমীভূত হয়ে সমব্যঞ্জনে গঠিত যুগ্মব্যঞ্জনে পরিণত হয়েছিল। যেমন, পর্বত > পব্বত, বা, জন্ম > জন্ম। প্রাচীন বাংলায় এই যুগ্ম ব্যঞ্জনের মধ্যে একটি লুপ্ত হল। যেমন পব্বত পবত, জন্ম জম। এই লোপের ক্ষতিপূরণস্বরূপ পূর্ববর্তী স্বরধ্বনি দীর্ঘ হল। যেমন- পবত (প্+অ+ ব্‌+অ+ত্+অ)> পাবত (প্+আব্‌+অ+ত্+অ) বা জম … বিস্তারিত পড়ুন

বাংলা ভাষার যুগবিভাজন

বাংলা ভাষার যুগবিভাজন আনুমানিক ৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে আজ পর্যন্ত বাংলা ভাষার বিবর্তনের প্রায় এক হাজার বছরের ইতিহাসকে মূলত তিনটি পর্যায়ে ভাগ করা যায়- (১) প্রাচীন বাংলা (Old Bengali) (২) মধ্য বাংলা (Middle Bengali) (৩) আধুনিক বাংলা (New Bengali) (১) প্রাচীন বাংলা (Old Bengali): আনুমানিক ৯০০ খ্রিস্টাব্দ থেকে ১৩৫০ খ্রিস্টাব্দ পর্যন্ত এই স্তরের কালসীমা। এই পর্বের … বিস্তারিত পড়ুন

বাংলা ভাষার উদ্ভব

বাংলা ভাষার উদ্ভব= আগেই বলা হয়েছে, পৃথিবীর সমস্ত ভাষাকে তাদের মূলীভূত সাদৃশ্যের ভিত্তিতে প্রধানত বারোটি ভাষাবংশে বিভক্ত করা হয়। সেই ভাষাবংশের মধ্যে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য হল ইন্দো-ইউরোপীয় বা মূল আর্য ভাষাবংশ। কারণ, প্রথমত এই ভাষাবংশ-থেকে-জাত আধুনিক ভাষাগুলি পৃথিবীর বিস্তীর্ণ অঞ্চলে বিশেষত ইউরোপ ও এশিয়া মহাদেশের অধিকাংশ স্থানে প্রচলিত আছে। দ্বিতীয়, শুধু ভৌগোলিক বিস্তারে নয়, এই ভাষাবংশ-থেকে-জাত … বিস্তারিত পড়ুন

প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার বৈশিষ্ট্য

প্রাচীন ভারতীয় আর্যভাষার বৈশিষ্ট্য (ক) ধ্বনিতাত্ত্বিক: ১) ঋ, ঋ, ৯, এ, ঐ-সহ সমস্ত স্বরধ্বনি এবং শ, ষ, স্-সহ সমস্ত ব্যঞ্জনধ্বনিই প্রচলিত ছিল। ২) স্বরাঘাতের স্থানপরিবর্তনের ফলে শব্দের অন্তর্গত স্বরধ্বনির বিশেষ ক্রমানুসারে গুণগত পরিবর্তন হত। পরিবর্তনের তিনটি ক্রম- গুণ বা স্বরধ্বনির অবিকৃতি (স্বপ্> ‘স্বপ্ন’), বৃদ্ধি বা স্বরধ্বনির দীর্ঘিকরণ (স্বপ্> ‘স্বাপ’), এবং সম্প্রসারণ বা স্বরধ্বনি ক্ষীণ হওয়ার … বিস্তারিত পড়ুন

ভারতীয় আর্যভাষার উদ্ভব ও যুগবিভাগ

ভারতীয় আর্যভাষার উদ্ভব ও যুগবিভাগ- পৃথিবীর ভাষাবংশগুলির মধ্যে সর্বপ্রধান হল ইন্দো-ইউরোপীয় বা আর্য ভাষাবংশ। ‘আর্য’ এখানে কোনো জাতি নয়-ভাষা। ম্যাক্সমুলার বলেছেন, “Aryan, in scientific language, is utterly inapplicable to race. It means language and nothing but language…” (Max Miiller Friedrich: ‘Collected Works’, New Impression, 1898, Vol. X, p. 90.) সুতরাং, ইন্দো-ইউরোপীয়দের আদিভাষা অর্থে ‘আর্য’ শব্দটি … বিস্তারিত পড়ুন

Q1. ইন্দো-ইউরোপীয় ভাষা কয় প্রকার ও কি কি?

ANS- এটি উত্তর ভারতীয় উপমহাদেশ এবং ইরানীয় মালভূমির ভাষাসমূহের সাথে অধিকাংশ ইউরোপের ভাষাসমূহ নিয়ে গঠিত। এই পরিবারের কিছু ইউরোপীয় ভাষা যেমন, ইংরেজি, ফরাসি, পর্তুগিজ, রুশ, ডেনীয়, ওলন্দাজ ও স্পেনীয় ভাষাসমূহের আধুনিক যুগে উপনিবেশবাদের দরুণ বিস্তার ঘটেছে এবং বর্তমানে অনেক দেশে এই ভাষাগুলোতে কথা বলা হয়ে থাকে। Q2. বাংলা ভাষার উদ্ভব হয়েছিল কিভাবে? আনুমানিক ১০০০ অব্দে ( অথবা ১০ম থেকে … বিস্তারিত পড়ুন

অমিত্রাক্ষর ছন্দ বাংলা কবিতায় কে, কোথায় প্রথম প্রবর্তন করেন? এই ছন্দের প্রবর্তক কীভাবে পয়ারের বেড়ী ভাঙেন? উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

অমিত্রাক্ষর ছন্দ বাংলা কবিতায় কে, কোথায় প্রথম প্রবর্তন করেন বাংলা কবিতায় অমিত্রাক্ষর ছন্দের প্রবর্তক মাইকেল মধুসূদন দত্ত। তিনি প্রথমে তার মহাকাব্য ‘তিলোত্তমাসম্ভব‘-এ এই ছন্দ ব্যবহার করেন। এরপর তার শ্রেষ্ঠ কীর্তি ‘মেঘনাদবধ কাব্য‘-এ এই ছন্দের পরিপূর্ণ বিকাশ ঘটে। অমিত্রাক্ষর ছন্দের বৈশিষ্ট্য: পয়ার ছন্দের বেড়ি ভাঙার প্রক্রিয়া: পয়ার ছন্দে প্রত্যেক পঙক্তির শেষে মিল থাকে, যা কবিতার স্বাধীন … বিস্তারিত পড়ুন

শব্দালংকারের সৌন্দর্য কোথায় নিহিত? একটি উদাহরণ দিয়ে বুঝিয়ে দাও।

শব্দালংকারের সৌন্দর্য শব্দালংকারের সৌন্দর্য নিহিত থাকে শব্দের ধ্বনি, গঠন, এবং পুনরাবৃত্তি-তে। শব্দের সুনিপুণ ব্যবহার, তাল-লয়, ছন্দ এবং ধ্বনির মাধুর্যের মাধ্যমে এটি কাব্যের আবেগ ও সৌন্দর্যকে বহুগুণ বৃদ্ধি করে। শব্দালংকারে ভাবের চেয়ে শব্দের বিন্যাসই বেশি গুরুত্বপূর্ণ। শব্দালংকারের সৌন্দর্য উদাহরণ দিয়ে ব্যাখ্যা উদাহরণ:“ছলছল নয়ন, ঝলমল হাসি,মিলিয়ে যায় মনে, স্মৃতির বাতাসি।“ ব্যাখ্যা: ১. ধ্বনির মাধুর্য: এখানে “ছলছল”, “ঝলমল”, … বিস্তারিত পড়ুন

‘অপহৃতি’ শব্দের অর্থ কী? অপহৃতি অলংকারের উদাহরণ দাও।

‘অপহৃতি’ শব্দের অর্থ ‘অপহৃতি’ শব্দের অর্থ হল চুরি, হরণ, বা কৌশলে অপসারণ করা। এটি বাংলা কাব্যে একটি অলংকারের নাম হিসেবেও ব্যবহৃত হয়। অপহৃতি অলংকার অপহৃতি অলংকার তখনই ঘটে, যখন একটি বস্তু বা বৈশিষ্ট্য আরেকটি বস্তুর সঙ্গে যুক্ত থাকার দাবি করে, কিন্তু সেটি অন্য কিছুর প্রতি স্থানান্তরিত বা ‘হরণ’ করা হয়। এতে চমক বা ব্যঞ্জনা সৃষ্টি … বিস্তারিত পড়ুন

লয় কাকে বলে? কোন্ ছন্দে, কোন্ লয় ব্যবহার করা হয়?

লয় কাকে বলে? কবিতা বা গানের উচ্চারণে শব্দের সঞ্চালনের গতি বা প্রবাহকে লয় বলে। এটি মূলত ছন্দের গতি নির্ধারণ করে এবং কবিতার আবেগ ও অর্থ প্রকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। লয় ছন্দের অন্তর্নিহিত সৌন্দর্য ও সুষমা বৃদ্ধি করে। বাংলা কবিতায় ছন্দের ধরন অনুসারে লয়ের ব্যবহার বিভিন্ন রকম হয়ে থাকে। নিচে কয়েকটি উল্লেখযোগ্য ছন্দ এবং তাদের … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress