লর্ড কার্জনের শিক্ষানীতি (Education Policy of Lord Curzon)

বিংশ শতাব্দীর সূচনায় শিক্ষিত ভারতবাসীর জীবনে যখন নতুন চিন্তা ও নতুন উৎসাহ দেখা দিল, ঠিক সেই সময় 1898 খ্রিস্টাব্দে বড়োলটি হয়ে ভারতবর্ষে এলেন লর্ড জন্ম নাথানিয়েল কার্জন। তিনি ছিলেন বলিষ্ঠ ব্যক্তিত্বের অধিকারী ও একজন দক্ষ প্রশাসক। কিন্তু উদ্ধত, জবরদস্ত, গোঁড়া, সাম্রাজ্যবাদী মনোভাবের জন্য তিনি তৎকালীন ভারতীয়গণের নিকট খ্যাতি ও বিশ্বাস অর্জন করতে পারেননি। তাঁর সর্বাধিক … বিস্তারিত পড়ুন

মেকলে মিনিট (Macaulay Minute)

1823 খ্রিস্টাব্দে “General Committee of public Instruction” (GCPI) নামে বাংলাদেশে একটি শিক্ষা সংস্থা গঠিত হয়েছিল। সনদ আইনে বরাদ্দ এক লক্ষ টাকার যথাযথ সদ্বব্যবহারের দায়িত্ব এই কমিটির হাতে দেওয়া হয়। উক্ত সমিতির সদস্যগণ প্রথম দিকে প্রাচ্যশিক্ষার পক্ষপাতি ছিলেন এবং তারা প্রাচ্যশিক্ষার উন্নয়নেই মন দিয়েছিলেন। ভারতে যখন ইংরেজি শিক্ষার চাহিদা তীব্র হয়ে উঠল তখন কমিটির সদস্যরা সমান … বিস্তারিত পড়ুন

উডের ডেসপ্যাচ (1854)

উডের ডেসপ্যাচ (1854) একটি গুরুত্বপূর্ণ দক্ষতা প্রশ্ননামা, যা ভারতীয় উপমহাদেশে প্রযুক্তি এবং উদ্যোগশীলতার ক্ষেত্রে অবলম্বন করে। 1854 সালে ইস রিপোর্টে উড সরকারের প্রধান নিয়মক অফিসার ছিলেন, সার স্যার কার্নোয়ালিস হ্যারিসন, সার জন পিটর গ্লেনভিল, এবং সার জন ম্যাকমাল্লি। এই রিপোর্টটি ভারতে শিক্ষা, কৃষি, মাধ্যমিক শিক্ষা, প্রশিক্ষণ, প্রযুক্তি এবং উদ্যোগশীলতা বিষয়ে বিশেষভাবে কেন্দ্রিত ছিল। উডের ডেসপ্যাচ … বিস্তারিত পড়ুন

সনদ আইন -1813

মোগল সাম্রাজ্যের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সর্বত্র বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। রাজনৈতিক শূন্যতা, অনিশ্চয়তা ও অরাজকতার ফলে জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে অবক্ষয়ের লক্ষণ Page সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। পুরাতন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ভাঙন দেখা দেয়। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় ভারত পিছিয়ে পড়ে। পলাশির যুদ্ধে ( 1757 খ্রিস্টাব্দ) জয়লাভ ও বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের (1765 খ্রিস্টাব্দ) ফলে ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক … বিস্তারিত পড়ুন

গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে রাধাকৃষ্ণান কমিশনের সুপারিশগুলি লেখো।রাধাকৃষ্ণণ কমিশনে বর্ণিত গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা দাও।

স্বাধীনতা লাভের পর 1948 খ্রিস্টাব্দে উচ্চশিক্ষার পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন বা রাধাকৃষ্ণণ কমিশন গঠিত হয়। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশন ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে লক্ষ্য করেছিলেন , তৎকালীন মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মূলত শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাই উচ্চশিক্ষার সুযোগ লাভ করত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাধাকৃষ্ণণ কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা করে। তৎকালীন ভারতের সামাজিক … বিস্তারিত পড়ুন

বাংলার নবজাগরণে বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো।

উনিশ শতকের নবজাগরণের মধ্য দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে আধুনিকতার সূত্রপাত ঘটে। এই নবজাগরণের প্রধান চরিত্র বিদ্যাসাগর। বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী বিদ্যাসাগরের প্রধান পরিচয় তিনি রেনেসাঁস পুরুষ। ইহজাগতিকতা, যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞানমনস্কতা, নতুন গদ্যরীতি, সমাজসংস্কার, নারী শিক্ষার প্রসার, পাঠ্যসূচি থেকে অলৌকিকতার বিলুপ্তি, চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং মানবমুখিনতার মতো বৈশিষ্ট্য যা ইউরোপীয় রেনেসাঁসকে তুলে ধরেছিল- বিদ্যাসাগর তার জীবন্ত প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত … বিস্তারিত পড়ুন

মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো এবং পাঠ্যক্রম সম্পর্কে (১৯৬৪-৬৬)-এর সুপারিশগুলি উল্লেখ করো।

১৯৮৮ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান -এর সভাপতিত্বে উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত সরকার একটি কমিশন নিয়োগ করে। এই কমিশন সুপারিশ করেছিল যে উচ্চশিক্ষার ভিত্তি সুদৃঢ় করতে হলে শক্তিশালী ও উচ্চমানের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়ােজন।এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মাধ্যমিক শিক্ষার পুনর্গঠনের জন্য সরকার ডঃ লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়ার-এর নেতৃত্বে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক শিক্ষার উপর একটি কমিশন গঠন … বিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় শিক্ষা আন্দোলন (1905-1938)

স্বদেশি আন্দোলন থেকে ছাত্রদের দূরে সরিয়ে রেখে আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে সরকার একটার পর একটা আইন জারি করতে থাকে । কার্লাইল সার্কুলার ( ১০ অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রি. ) , লিয়ন সার্কুলার ( ১৬ অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রি. ) , পেডলার সার্কুলার ( ২১ অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রি. ) ইত্যাদি কুখ্যাত ফতােয়ায় স্কুল কলেজের ছাত্রদের … বিস্তারিত পড়ুন

উড-এর ডেসপ্যাচ (১৮৫৪) সম্বন্ধে একটি টীকা লেখো।

উডের ডেসপ্যাচ- ১৮৫৪: বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স এর সভাপতি স্যার চার্লস উড ভারতে ইংরেজি শিক্ষা এবং মহিলা শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিলেন। তিনি ১৮৫৪ সালে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির কাছে একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন, উডের প্রস্তাবনা মতে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে অবশ্যই স্থানীয় ভাষাগুলি গ্রহণ করা উচিত, উচ্চ বিদ্যালয়গুলিকে অবশ্যই অ্যাংলো ভাষাতাত্ত্বিক ভাষা গ্রহণ করতে হবে এবং … বিস্তারিত পড়ুন

কোঠারি কমিশনের সুপারিশ অনুসারে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠক্রম বিষয় আলোচনা করো।

শিক্ষার সামগ্রিক মূল্যায়ন ও পুনর্গঠনের জন্য ভারত সরকার ড. ডি এস কোঠারি-র সভাপতিত্বে দেশি-বিদেশি শিক্ষাবিদদের নিয়ে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ড. কোঠারির নামানুসারে এই কমিশন কোঠারি কমিশন নামেও অভিহিত। ভারতীয় শিক্ষা কমিশনে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে। যে, এই শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীকে দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত করা। তাদের … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress