সনদ আইন -1813

মোগল সাম্রাজ্যের পতনের সঙ্গে সঙ্গে ভারতের সর্বত্র বিশৃঙ্খলা দেখা দেয়। রাজনৈতিক শূন্যতা, অনিশ্চয়তা ও অরাজকতার ফলে জনজীবনের সকল ক্ষেত্রে অবক্ষয়ের লক্ষণ Page সুস্পষ্ট হয়ে ওঠে। পুরাতন অর্থনৈতিক ব্যবস্থায় ভাঙন দেখা দেয়। জ্ঞান-বিজ্ঞানের চর্চায় ভারত পিছিয়ে পড়ে। পলাশির যুদ্ধে ( 1757 খ্রিস্টাব্দ) জয়লাভ ও বাংলা, বিহার, উড়িষ্যার দেওয়ানি লাভের (1765 খ্রিস্টাব্দ) ফলে ভারতের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক … বিস্তারিত পড়ুন

গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে রাধাকৃষ্ণান কমিশনের সুপারিশগুলি লেখো।রাধাকৃষ্ণণ কমিশনে বর্ণিত গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারণা দাও।

স্বাধীনতা লাভের পর 1948 খ্রিস্টাব্দে উচ্চশিক্ষার পুনর্গঠনের উদ্দেশ্যে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন বা রাধাকৃষ্ণণ কমিশন গঠিত হয়। সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণণের নেতৃত্বে গঠিত এই কমিশন ভারতের শিক্ষা ব্যবস্থা পর্যবেক্ষণ করে লক্ষ্য করেছিলেন , তৎকালীন মহাবিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে মূলত শহরাঞ্চলের শিক্ষার্থীরাই উচ্চশিক্ষার সুযোগ লাভ করত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে রাধাকৃষ্ণণ কমিশন গ্রামীণ বিশ্ববিদ্যালয় গড়ে তোলার জন্য পরিকল্পনা করে। তৎকালীন ভারতের সামাজিক … বিস্তারিত পড়ুন

বাংলার নবজাগরণে বিদ্যাসাগরের অবদান আলোচনা করো।

উনিশ শতকের নবজাগরণের মধ্য দিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশে আধুনিকতার সূত্রপাত ঘটে। এই নবজাগরণের প্রধান চরিত্র বিদ্যাসাগর। বহুমাত্রিক ব্যক্তিত্বের অধিকারী বিদ্যাসাগরের প্রধান পরিচয় তিনি রেনেসাঁস পুরুষ। ইহজাগতিকতা, যুক্তিবাদ ও বিজ্ঞানমনস্কতা, নতুন গদ্যরীতি, সমাজসংস্কার, নারী শিক্ষার প্রসার, পাঠ্যসূচি থেকে অলৌকিকতার বিলুপ্তি, চারিত্রিক দৃঢ়তা এবং মানবমুখিনতার মতো বৈশিষ্ট্য যা ইউরোপীয় রেনেসাঁসকে তুলে ধরেছিল- বিদ্যাসাগর তার জীবন্ত প্রতীক হিসেবে আবির্ভূত … বিস্তারিত পড়ুন

মাধ্যমিক শিক্ষার কাঠামো এবং পাঠ্যক্রম সম্পর্কে (১৯৬৪-৬৬)-এর সুপারিশগুলি উল্লেখ করো।

১৯৮৮ সালে স্বাধীন ভারতের প্রথম উপরাষ্ট্রপতি ডঃ সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণান -এর সভাপতিত্বে উচ্চশিক্ষার জন্য ভারত সরকার একটি কমিশন নিয়োগ করে। এই কমিশন সুপারিশ করেছিল যে উচ্চশিক্ষার ভিত্তি সুদৃঢ় করতে হলে শক্তিশালী ও উচ্চমানের মাধ্যমিক শিক্ষার প্রয়ােজন।এই কমিশনের সুপারিশ অনুযায়ী মাধ্যমিক শিক্ষার পুনর্গঠনের জন্য সরকার ডঃ লক্ষ্মণস্বামী মুদালিয়ার-এর নেতৃত্বে ১৯৫২ সালে মাধ্যমিক শিক্ষার উপর একটি কমিশন গঠন … বিস্তারিত পড়ুন

জাতীয় শিক্ষা আন্দোলন (1905-1938)

স্বদেশি আন্দোলন থেকে ছাত্রদের দূরে সরিয়ে রেখে আন্দোলনকে স্তব্ধ করে দিতে সরকার একটার পর একটা আইন জারি করতে থাকে । কার্লাইল সার্কুলার ( ১০ অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রি. ) , লিয়ন সার্কুলার ( ১৬ অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রি. ) , পেডলার সার্কুলার ( ২১ অক্টোবর , ১৯০৫ খ্রি. ) ইত্যাদি কুখ্যাত ফতােয়ায় স্কুল কলেজের ছাত্রদের … বিস্তারিত পড়ুন

উড-এর ডেসপ্যাচ (১৮৫৪) সম্বন্ধে একটি টীকা লেখো।

উডের ডেসপ্যাচ- ১৮৫৪: বোর্ড অব ডাইরেক্টর্স এর সভাপতি স্যার চার্লস উড ভারতে ইংরেজি শিক্ষা এবং মহিলা শিক্ষার প্রসারে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলেছিলেন। তিনি ১৮৫৪ সালে তৎকালীন গভর্নর জেনারেল লর্ড ডালহৌসির কাছে একটি প্রস্তাবনা প্রেরণ করেন, উডের প্রস্তাবনা মতে, প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলিকে অবশ্যই স্থানীয় ভাষাগুলি গ্রহণ করা উচিত, উচ্চ বিদ্যালয়গুলিকে অবশ্যই অ্যাংলো ভাষাতাত্ত্বিক ভাষা গ্রহণ করতে হবে এবং … বিস্তারিত পড়ুন

কোঠারি কমিশনের সুপারিশ অনুসারে প্রাথমিক শিক্ষার পাঠক্রম বিষয় আলোচনা করো।

শিক্ষার সামগ্রিক মূল্যায়ন ও পুনর্গঠনের জন্য ভারত সরকার ড. ডি এস কোঠারি-র সভাপতিত্বে দেশি-বিদেশি শিক্ষাবিদদের নিয়ে ১৯৬৪ খ্রিস্টাব্দে ভারতীয় শিক্ষা কমিশন গঠন করেন। ড. কোঠারির নামানুসারে এই কমিশন কোঠারি কমিশন নামেও অভিহিত। ভারতীয় শিক্ষা কমিশনে প্রাথমিক শিক্ষা সম্পর্কে বলা হয়েছে। যে, এই শিক্ষার উদ্দেশ্য হল শিক্ষার্থীকে দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার জন্য প্রস্তুত করা। তাদের … বিস্তারিত পড়ুন

‘শিক্ষাক্ষেত্রে সমতা’– ব্যাখ্যা করো।

জাতি-ধর্ম-বর্ণ পার্থক্যে সরকার স্বীকৃত ও সরকার পরিচালিত কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে কোনো ব্যক্তিকে শিক্ষার সুযোগ থেকে বঞ্চিত করা যাবে না। এটি হল শিক্ষার সমসুযোগ এর ধারণা। অর্থাৎ যে কোনো ধর্ম সম্প্রদায়ের ব্যাক্তি যে কোনো সরকারি শিক্ষালয়ে পড়াশোনার সুযোগ পাবে, সাংবিধানিক ভাবে এতে তার অধিকার। শিক্ষায় সমসুযোগ সম্পর্কে ধারণা :

শিক্ষাক্ষেত্রে বিদ্যাসাগরের অবদান ব্যাখ্যা করো।

শিক্ষাসংস্কার: ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগর ১৮৫১ খ্রিস্টাব্দে সংস্কৃত কলেজের অধ্যক্ষ নিযুক্ত হয়ে শিক্ষাসংস্কারের কাজে মনোনিবেশ করেন। (১) পূর্বে কেবলমাত্র উচ্চবর্ণের সন্তানরাই সংস্কৃত কলেজে ভরতি হতে পারত। বিদ্যাসাগর এই প্রথা বাতিল করে সংস্কৃত কলেজের দরজা সকল বর্ণের হিন্দু ছাত্রদের জন্য খুলে দেন। (২) ইতিপূর্বে কলেজে অধ্যাপকদের আসা-যাওয়া এবং অধ্যাপনার বিষয়ে কোনো নিয়মকানুন ছিল না। বিদ্যাসাগর সেখানে নিয়মশৃঙ্খলা ও … বিস্তারিত পড়ুন

দেশের উচ্চশিক্ষার মান উন্নয়নের জন্য রাধাকৃষ্ণণ কমিশনের সুপারিশগুলি আলোচনা করো।

1948 খ্রিস্টাব্দের 5 ই নভেম্বর স্বাধীন ভারতের প্রথম শিক্ষা কমিশন হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা কমিশন গঠিত হয়। এর সভাপতি ছিলেন সর্বপল্লী রাধাকৃষ্ণন। এই কমিশনের মোট সদস্য ছিলেন 10 জন এবং এই 10 জনের মধ্যে 3 জন ছিলেন বিদেশি। কমিশের সদস্য সম্পাদক ছিলেন ডক্টর নির্মল কুমার সিদ্ধান্ত। কমিশনের সদস্যগণ ভারতের বিভিন্ন রাজ্যের মহাবিদ্যালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মপদ্ধতি পরিদর্শন … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress