‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কোথায় বসে কবি লিখেছিলেন? প্রথম শ্রোতা কে? কবিতাটি কবির কোন্ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্ভুক্ত?

কাজী নজরুল ইসলাম তাঁর বিখ্যাত ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি ১৯২১ সালের ডিসেম্বরে কলকাতার ৪৩/৪২, নম্বর তল্লাটে অবস্থিত ৩২ নম্বর হ্যারিসন রোডের ভাড়াবাড়িতে বসে লিখেছিলেন। এই কবিতার প্রথম শ্রোতা ছিলেন তাঁর বন্ধু মোহিতলাল মজুমদার। ‘বিদ্রোহী’ কবিতাটি কবির প্রথম কাব্যগ্রন্থ ‘অগ্নিবীণা’ (১৯২২) এর অন্তর্ভুক্ত। এই কাব্যগ্রন্থের মাধ্যমেই কাজী নজরুল ইসলাম বাংলা সাহিত্যে তাঁর শক্তিশালী অবস্থান প্রতিষ্ঠা করেন এবং “বিদ্রোহী … বিস্তারিত পড়ুন

‘সত্যেরে চাহিনা তবু, সুন্দরের করি আরাধনা’ লাইনটি কোথা থেকে নেওয়া হয়েছে? কবি সুন্দরের আরাধনা করেছেন কেন?

‘সত্যেরে চাহিনা তবু, সুন্দরের করি আরাধনা’ লাইনটি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের লেখা ‘বিরোধ’ কবিতা থেকে নেওয়া হয়েছে। কবিতাটি তাঁর ‘চৈতালী’ কাব্যগ্রন্থের অন্তর্গত। কবি এখানে “সুন্দরের আরাধনা” করেছেন কারণ তিনি সৌন্দর্যকে জীবনের সর্বোচ্চ আদর্শ হিসেবে উপস্থাপন করেছেন। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের দৃষ্টিতে সৌন্দর্য মানে কেবল বাহ্যিক সৌন্দর্য নয়; এটি মানবিক মূল্যবোধ, নৈতিকতা, ও শিল্পের সৌন্দর্যের প্রতীক। তিনি বিশ্বাস করেন যে, … বিস্তারিত পড়ুন

‘মোহমুদগর’ কবিতাটি কোন্ সালে প্রকাশিত হয়? ‘মোহমুদগর’ কথার অর্থ কী? এই শব্দটি কবি কোথা থেকে গ্রহণ করেছেন?

মাইকেল মধুসূদন দত্তের ‘মেঘনাদবধ কাব্য’র দ্বিতীয় সর্গে অন্তর্ভুক্ত ‘মোহমুদগর’ কবিতাটি প্রথম প্রকাশিত হয় ১৮৬১ সালে। ‘মোহমুদগর’ কথার অর্থ হলো মোহনাশক বা মোহভঞ্জনকারী অস্ত্র। ‘মোহমুদগর’ শব্দটি এসেছে সংস্কৃত ভাষা থেকে। এটি দুটি শব্দের সমন্বয়ে গঠিত— ‘মোহ’ (ভ্রান্তি বা ভুল ধারণা) এবং ‘মুদগর’ (গদা বা মুগুর)। এই শব্দটি মধুসূদন দত্ত গ্রহণ করেছেন শঙ্করাচার্যের ‘মোহমুদগর’ থেকে। শঙ্করাচার্যের ‘মোহমুদগর’ … বিস্তারিত পড়ুন

‘আমার দুখিনী বর্ণমালা’ কবিতাটি বাংলাদেশের কোন্ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লেখা? কবি বর্ণমালাকে দুখিনী বলেছেন কেন?

‘আমার দুখিনী বর্ণমালা’ কবিতাটি বাংলাদেশের বঙ্গভঙ্গ আন্দোলনের প্রেক্ষিতে লেখা। বঙ্গভঙ্গ আন্দোলন ১৯০৫ সালে ব্রিটিশ সরকারের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে বাংলার জনগণের প্রতিবাদস্বরূপ শুরু হয়েছিল। এই আন্দোলনের মাধ্যমে বাংলা ভাষা ও সংস্কৃতির ওপর আঘাতের প্রতিক্রিয়া ফুটে ওঠে। কবি বর্ণমালাকে ‘দুখিনী’ বলেছেন কারণ এই বর্ণমালার মাধ্যমে বাংলার সংস্কৃতি, ইতিহাস, এবং ঐতিহ্যের প্রকাশ ঘটে, যা রাজনৈতিক ও সামাজিক বিভিন্ন আঘাতের … বিস্তারিত পড়ুন

‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসের নামকরণ বিষয়ে আলোচনা করো।

‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসের নামকরনের সার্থকতা- ‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসের নামকরণটি অনেক গভীর ও প্রতীকী। মহাশ্বেতা দেবীর এই উল্লেখযোগ্য কাজের নামকরণে কিছু গুরুত্বপূর্ণ দিক রয়েছে যা উপন্যাসের মূল থিম এবং বার্তা অনুধাবনে সাহায্য করে। নামকরণের কারণ ও প্রতীকী অর্থ: ১. ‘হাজার চুরাশির মা’ — একটি প্রতীকী নাম: ‘হাজার চুরাশির মা’ নামটি একটি প্রতীকী ও শক্তিশালী … বিস্তারিত পড়ুন

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে জেলে জীবনের যে পরিচয় বিবৃত হয়েছে তা লিপিবদ্ধ করো।

মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে জেলে জীবনের পরিচয় মানিক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে জেলে জীবনের যে পরিচয় ও চিত্র তুলে ধরা হয়েছে, তা নিম্নলিখিতভাবে লিপিবদ্ধ করা যায়: জেলে জীবনের পরিচয়: ১. দৈনন্দিন জীবনযাত্রা: জেলে জীবন মূলত নদীর পাশে গড়ে ওঠে। জেলেরা নদীই তাদের জীবিকা ও জীবনযাত্রার মূল উৎস। তাদের জীবনের দৈনন্দিন কাজকর্ম নদী ঘিরে আবর্তিত … বিস্তারিত পড়ুন

‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসটির নায়ক কে? যুক্তিসঙ্গত আলোচনা করো।

‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসটির নায়ক কে? ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসটির নায়ক হলেন কুবের মণ্ডল। উপন্যাসটি কুবেরের জীবনের বিভিন্ন দিক এবং সংগ্রামকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে। কুবের মণ্ডল চরিত্রটি উপন্যাসের কেন্দ্রীয় চরিত্র, এবং তার জীবন, সংগ্রাম এবং অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্বগুলি গল্পের মূল কাহিনির অগ্রগতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। কুবের মণ্ডলের নায়ক হিসেবে বৈশিষ্ট্য: ১. সামাজিক অবস্থান: কুবের মণ্ডল একটি … বিস্তারিত পড়ুন

‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপটে রাজনীতি থাকলেও এলা-অতীনের প্রেমই উপন্যাসটির প্রধানতম আকর্ষণ- আলোচনা করো।

‘চার অধ্যায়’ উপন্যাসের প্রেক্ষাপটে রাজনীতি থাকলেও এলা-অতীনের প্রেমই উপন্যাসটির প্রধানতম আকর্ষণ- রবীন্দ্রনাথের পরবর্তী উপন্যাস ‘চার অধ্যায়’ (১৯৩৪) ‘ঘরে বাইরে’-র মত রাজনৈতিক আন্দোলনের আলোচনার উপর প্রতিষ্ঠিত। ইহাতে স্বদেশী আন্দোলনের অঙ্গীভূত একটি বিশেষ প্রচেষ্টা-বিপ্লববাদ-আলোচিত হইয়াছে। ঘর ও বাহিরের যে চিরন্তন বিরোধ তাহারই এক অধ্যায় ইহার আলোচ্য সমস্যা। বাহিরের তীব্র মোহ ও সর্বনাশী প্রলয় যে ঘরের স্নিগ্ধ ও … বিস্তারিত পড়ুন

‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসে শ্রেণিচরিত্র হিসেবে দিব্যনাথের সার্থকতা বিচার করো।

‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসে শ্রেণিচরিত্র হিসেবে দিব্যনাথের সার্থকতা বিচার করো ‘হাজার চুরাশির মা’ উপন্যাসে দিব্যনাথ চরিত্রটি শ্রেণিচরিত্র হিসেবে অত্যন্ত সার্থকভাবে উপস্থাপিত হয়েছে। তার চরিত্রের মাধ্যমে মহাশ্বেতা দেবী সমাজের শ্রেণিভিত্তিক বৈষম্য, ক্ষমতার গঠনতন্ত্র এবং সামাজিক সংকটের একটি গভীর চিত্র তুলে ধরেছেন। দিব্যনাথের শ্রেণিচরিত্র হিসেবে সার্থকতা: ১. সামাজিক অবস্থান ও ক্ষমতার প্রতীক: দিব্যনাথ চরিত্রটি উপন্যাসে উচ্চবর্ণের এক … বিস্তারিত পড়ুন

‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে কুবেরের পত্নীর নাম কী? চরিত্রটির সংক্ষিপ্ত পরিচয় দাও।

‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে কুবেরের পত্নীর নাম কী? -‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে কুবের মণ্ডলের পত্নীর নাম মাধবী। মাধবী কুবেরের জীবনের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ, এবং তার চরিত্রের মাধ্যমে উপন্যাসের নানা সামাজিক ও পারিবারিক উপাদানগুলি প্রকাশ পায়। ‘পদ্মানদীর মাঝি’ উপন্যাসে কুবেরের পত্নী মাধবীর পরিচয় এবং ভূমিকা: পারিবারিক জীবন: মাধবী কুবের মণ্ডলের স্ত্রী এবং একটি গৃহিণী হিসেবে উপন্যাসে চিত্রিত। তিনি … বিস্তারিত পড়ুন

bn_BDBengali
Powered by TranslatePress